ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার এক মাস পূর্ণ হতে যাচ্ছে আগামীকাল বৃহস্পতিবার ২৪ মার্চ। এই সময়ের মধ্যে রুশ সেনাদের অব্যাহত হামলার মুখে অগণিত মানুষের প্রাণহানির পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে ইউক্রেনের বেশির ভাগ শহর। রাজধানী কিয়েভ দখলের পথেও হাঁটছে রাশিয়া। ব্যবহার শুরু হয়েছে হাইপারসনিক, ক্রুজ মিসাইলের। এবার মস্কো বলছে, বাধ্য করা হলে বা তাদের অস্তিত্ব হুমকিতে পড়লে ব্যবহার করা হবে পারমাণবিক অস্ত্রও।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ মঙ্গলবার ২২ মার্চ এক সাক্ষাৎকারে সংবাদমাধ্যম সিএনএন ইন্টারন্যাশনালকে বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তার একটি রূপরেখা আছে এবং তা সর্বজনীন। রাশিয়া কোন প্রেক্ষাপটে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারে তার সকল কারণ সেখানে উল্লেখ করা আছে। যে কেউ চাইলে তা পড়তে পারেন। ইউক্রেনের সংঘাত যদি রাশিয়ার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়, কেবল তখনই আমরা পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করব।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যে ইউক্রেনে পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করবেন না, এ বিষয়ে দিমিত্রি পেসকভ ‘আত্মবিশ্বাসী’ কি না; সিএনএনের হয়ে সাক্ষাৎকার নেওয়া ক্রিশ্চিয়ান আমানপুরের এমন প্রশ্নের জবাবে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে এসব কথা বলেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র।
এর আগে, ইউক্রেনে দুই দফায় হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রোববার ২০ মার্চ ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর একটি জ্বালানি তেল মজুত স্থাপনা লক্ষ্য করে এ হামলা চালানো হয়। এতে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে স্থাপনাটি।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, রোববার ২০ মার্চ ইউক্রেনে ‘কিনঝাল’ হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় রাশিয়ার সেনারা। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, শব্দের চেয়ে ১০ গুণ গতির এই কিনঝাল ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় ইউক্রেন সেনাবাহিনীর একটি স্থাপনা পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে।
শনিবার ১৯ মার্চ ও রোববার ২০ মার্চ ইউক্রেন সেনাবাহিনীর বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে এই ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়। সফলভাবে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানে ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। এর মধ্যে শনিবারের হামলায় একটি প্ল্যান্ট পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই প্ল্যান্টে যুদ্ধে ক্ষতিগ্রস্ত ইউক্রেনের সাঁজোয়া যানগুলো মেরামত করা হতো। আর রোববার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের হামলায় একটি তেল মজুতের স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে।
অ্যাসাঞ্জ কারাগারেই আজ বিয়ে করছেন