রাজধানীর মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে প্রতিদিন একটা না একটা দুর্ঘটনা ঘটছে।
এতে অনেকেই হতাহত হচ্ছেন। গতকালও ওই ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন দুইজন। এতে করে ফ্লাইওভারটি যেনমৃত্যুর ফাঁদে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয়রা। তবে দ্রুত সময়ের মধ্যে ওই ফ্লাইওভারে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে বেপরোয়া গাড়ি চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হলে দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে মনে করছেন ভুক্তভোগীরা।
সর্বশেষ গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে ওয়ারী থানার সুপার মার্কেট মসজিদ সংলগ্ন হানিফ ফ্লাইওভারে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় দুই যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- মাসুম ও নাসির হোসেন।
ওয়ারী থানার এসআই মিজানুর রহমান একেটিভিকে জানান, রাজধানীর সুপার মার্কেট মসজিদ সংলগ্ন হানিফ ফ্লাইওভার ব্রিজে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুজন দুর্ঘটনার শিকার হন। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় আমরা দুজনকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
ওয়ারী থানায় ওসি কবির হোসেন হাওলাদার জানান, নিহতরা যাত্রাবাড়ী থেকে গুলিস্তানে যাওয়ার পথে ফ্লাইওভারের মোটরসাইকেলটি দুর্ঘটনায় পড়ে। নিহত দুইজনের মধ্যে ৩৮ বছর বয়সি নাসির হোসেন ঠিকাদারি করতেন। তার গ্রামের বাড়ি বরিশালে। স্ত্রী-সন্তান নিয়ে তিনি থাকতেন শ্যামপুর এলাকায়। অপরজন ৩০ বছর বয়সি মাসুম মিয়ার গ্রামের বাড়ি জামালপুর জেলায়। তিনি রাজধানীর কাজলা এলাকায় পরিবারের সাথে বসবাস করতেন। তারা একে অপরের পরিচিত ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ওসি কবির হোসেন বলেন, ফ্লাইওভারের সুপার মার্কেট মসজিদ সংলগ্ন এলাকায় নাসিরদের মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা খায়। গুরুতর অবস্থায় পুলিশ তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন।
শুধু মাসুম ও নাসির নয়, সম্প্রতি হানিফ ফ্লাইওভারের ওপর মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় টিপু নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও দু’জন। নিহত টিপু ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের স্টাফ আব্দুর রহিমের ছেলে। এ্যালিফ্যান্ট রোড স্টাফ কোয়ার্টারে পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। এছাড়াও গত জানুয়ারি মাসে হানিফ ফ্লাইওভারে যাত্রীবাহী বাসচাপায় এক কমিউনিটি পুলিশ ও এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছিলেন। এদিকে, পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২ মাসে হানিফ ফ্লাইওভারে সড়ক দুর্ঘটনায় ৯ জন নিহত ও আরো অনেকে আহত হয়েছেন। এছাড়া যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী থানা ও ট্রাফিক পুলিশ সূত্র জানায়, ২০১৬-১৭ সালে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে দুই শতাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ৪০ জন মারা গেছেন, আহত হয়েছেন দেড় শতাধিক। সম্প্রতি শুধু যাত্রাবাড়ী থানার তথ্যে দেখা যায়, ২০১৯ সালে ৩৩ জন, ২০২০ সালে ৫৭ এবং ২০২১ সালের ৯ আগস্ট পর্যন্ত ৩৯ জন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। তাদের মধ্যে অনেকেরই মৃত্যু হয়েছে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারে, যাদের বড় একটি অংশ বাইকার। এসব মৃত্যুর মামলা হয়েছে যাত্রাবাড়ী থানায়।
ফ্লাইওভারে নিয়মিত যাতায়াতকারী আবুল হোসেন মোল্লা নামে এক ব্যবসায়ী জানান, ফ্লাইওভারে দুর্ঘটনা নিত্য দিনের ঘটনা। ফ্লাইওভারে উঠলেই কারো আর হুঁশ থাকে না। সবাই গতির প্রতিযোগিতায় লিপ্ত হয়। বাস, ট্রাক, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল চালকরা কে কাকে ওভারটেক করতে পারে সেটা নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফ্লাইওভারে সর্বোচ্চ গতিসীমা ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার নির্ধারণ করে দেয়া হলেও তা কেউ মানে না। বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় চালকরা সীমা অতিক্রম করে বেশি গতিতে গাড়ি চালায়। সবাই যদি গতিসীমা মেনে গাড়ি চালায় তবে দুর্ঘটনা অনেকাংশে কমে যাবে বলে মনে করি। পুরো ফ্লাইওভারে সিসি ক্যামেরা বসিয়ে গতি পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণের দাবি জানান তিনি।
কাজলা এলাকার বাসিন্দা রবিউল ইসলাম নামের আরেক ব্যক্তি বলেন, এই ফ্লাইওভারটি সঠিকভাবে নির্মাণ করা হয়নি। কারণ ফ্লাইওভারের দিয়ে দুটি লাইন থাকবে, যা হবে অনেক চওড়া। যাতে বিভিন্ন ধরনের যানবাহন সহজেই চলাচল করতে পারে। বর্তমানের ফ্লাইওভারের যে করুণ অবস্থা গাড়ী চলাচল করতে অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। ফ্লাইওভারে উপরে সবসময় যানজট লেগেই থাকে। এর কারণে প্রতিদিন দুর্ঘটনা ঘটছে।
তবে দুর্ঘটনার কারণ জানতে চাইলে ওয়ারী থানায় ওসি কবির হোসেন হাওলাদার একেটিভিকে বলেন, ফ্লাইওভারে কোনো স্পিড ব্রেকার নেই। তাই চালকরা বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চলান। তবে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করা হলে দুর্ঘটনা কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব বলে জানিয়েছেন পুলিশের ওই কর্মকর্তা। তবে সিসি ক্যামেরার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরা রয়েছে।
Edited by: sa srk
চিত্রনায়িকা আঁচল আঁখি বেশ কিছু সিনেমা নিয়ে এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
করোনাকালীন একের পর এক নতুন সিনেমার খবরে ছিলেন তিনি। ‘ভুল’ সিনেমার মাধ্যমে ঢাকাই সিনেমায় আঁচলের আত্মপ্রকাশ। এরপর ‘জটিল প্রেম’ দিয়ে নজর কাড়েন এবং ‘সুলতানা বিবিয়ানা’র মাধ্যমে প্রশংসিত হন। এরপর আরো তার অভিনীত বেশ কিছু সিনেমা দর্শকপ্রিয় হয়েছে। মুক্তির অপেক্ষা থাকা সিনেমা গুলোতে চমক রয়েছে বলে জানান লাস্যময়ী এই নায়িকা।
সম্প্রতি তিনি কুমিল্লা ম্যাজিক প্যারাডাইস পার্কে অংশ নিয়েছেন ফরিদুল হাসান পরিচালিত ‘কর্পোরেট’ সিনেমার গানের দৃশ্যের চিত্রায়নে। এই সিনেমায় আঁচলের বিপরীতে অভিনয় করছেন চিত্রনায়ক রোশান। জানা গেছে, আগামী ৯, ১০ ও ১১ তারিখ তেজগাঁওয়ে শেষ দৃশ্যের শুটিং দিয়ে বন্ধ হচ্ছে সিনেমাটির ক্যামেরা। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরই সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।
মুক্তির অপেক্ষায় আছে আঁচল অভিনীত‘চিৎকার’, ‘আয়না’, ‘কাজের ছেলে’, ‘যমজ ভুতের গল্প’ ও ‘রাগী’ সিনেমাগুলো। নির্মাণাধীন রয়েছে ‘চাঁদনী’ ও ‘এক পশলা বৃষ্টি’। এছাড়াও তার হাতে রয়েছে নতুন কয়েকটি সিনেমার কাজ। বর্তমানে নতুন কয়েকটি সিনেমার চিত্রনাট্য নিয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। সিনেমাগুলো নিয়ে আশাবাদী আঁচল।
আঁচল বলেন, ‘কাজের তো অনেক প্রস্তাব আসে তবে, বুঝে শুনে গল্প ও চরিত্র পছন্দ হলেই কাজ করছি। প্রতিটি সিনেমায় আমার চরিত্রে ভিন্নতা রয়েছে। নিজেও চেষ্টা করেছি সেরাটি দিয়ে কাজটি করতে। এই সিনেমা কটি করে নিজেও অনেক তৃপ্তি পেয়েছি। সিনেমাগুলো মুক্তি পেলে আমার চরিত্রগুলো দর্শকদের নতুন করে ভাবাবে। আশা করি, সবার হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।
এছাড়া আঁচল যুক্ত হয়েছেন ‘মাফিয়া’ নামের ওয়েব সিরিজে। তারকাবহুল ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করছেন শাহীন সুমন। এরই মধ্যে প্রথম দফায় শুটিং করেছেন এই অভিনেত্রী। দ্বিতীয় দফায় ফের অংশ নিচ্ছেন আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত। একটানা কাজ করে শেষ হবে বাকি অংশের শুটিং।
সাংগঠনিক রোডম্যাপ চূড়ান্ত হবে মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৩ জেলার সম্মেলনের তারিখ নির্ধারিত হবে
দল গোছানোর সাংগঠনিক রোডম্যাপ ঠিক করতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার বৈঠকে বসছে আওয়ামী লীগ।
সকাল ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐ বৈঠকেই দলীয় সভানেত্রীর প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা নিয়েই দল গোছাতে মাঠে নামবেন কেন্দ্রীয় নেতারা।
চলতি মাস থেকে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে সাংগঠনিক সফরের মাধ্যমে দলকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামবে ইতিপূর্বে গঠিত দলের শক্তিশালী আট বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক টিম। আগামীকালের বৈঠকে মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৩ জেলার সম্মেলনের তারিখও চূড়ান্ত হতে পারে।
জানা গেছে, আট বিভাগে আওয়ামী লীগের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৪৩টি এখনো মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ১৫টি, চট্টগ্রামের সাতটি, ময়মনসিংহের পাঁচটি, রাজশাহীর চারটি, বরিশালের চারটি, রংপুরের তিনটি, খুলনার চারটি এবং সিলেট বিভাগের একটি সংগঠনিক জেলা। অন্যদিকে সারা দেশে আওয়ামী লীগের উপজেলা, থানা ও পৌর কমিটির সংখ্যা প্রায় ৬৫০-এর মতো।
এর মধ্যে ঢাকা বিভাগে ১৬০টি, চট্টগ্রামে ১২৯টি, রাজশাহীতে ৮৩টি, খুলনায় ৭৪টি, রংপুরে ৬৬টি, বরিশালে ৫৩টি, সিলেটে ৪৯টি এবং ময়মনসিংহ বিভাগে ৩৯টির মতো কমিটি রয়েছে। জাতীয় সম্মেলনের আগে ১৩৮টির মতো উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের পরও বেশ কিছু উপজেলা, থানা ও পৌরসভা কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে প্রায় ৬৫০ বিভিন্ন শাখা কমিটির মধ্যে এখনো ৩৫০-এর অধিক কমিটি মেয়াদোত্তীর্ণ।
এছাড়া সম্মেলন হওয়া কমিটির অর্ধেকের বেশির পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠকের পর মেয়াদোত্তীর্ণ ৪৩টি সাংগঠনিক জেলার সম্মেলন আগামী কেন্দ্রীয় সম্মেলনের আগেই শেষ করার টার্গেট নিয়ে কাজ শুরু করবেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা। গত কেন্দ্রীয় সম্মেলনের পর এখন পর্যন্ত দলের ৭৮টি সাংগঠনিক জেলার মধ্যে ৩১টি মেয়াদোত্তীর্ণ জেলার সম্মেলন হয়েছে। কিন্তু সম্মেলন হওয়া বেশ কয়েকটি জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এখনো ঘোষণা করা সম্ভব হয়নি।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের পাঁচ জন সদস্য জানান, ঝিমিয়ে পড়া সাংগঠনিক শক্তি চাঙ্গা, সারা দেশে দ্বন্দ্ব-বিভেদ মিটিয়ে দলকে ঐক্যবদ্ধ করা, আগামী জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে মেয়াদোত্তীর্ণ মহানগর-জেলা কমিটির সম্মেলন দ্রুত সম্পন্ন এবং নির্বাচন কমিশন ঘোষিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে দলের প্রার্থীদের বিজয়ের ধারা বজায় রাখাকে প্রাধান্য দিয়ে চলতি মাসেই মাঠে নামছে আওয়ামী লীগ।
দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দুই মাস পরপর কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু বৈশ্বিক মহামারি করোনার কারণে প্রায় এক বছর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরামের এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারেনি।
সর্বশেষ গত বছরের ৩ অক্টোবরে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সর্বশেষ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। করোনা সংক্রমণ কিছুটা কমে আসায় আগামীকাল বৈঠক আহ্বান করা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ এখনো বিদ্যমান থাকায় কেন্দ্রীয় কমিটির সকল সদস্যের পরিবর্তে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার স্বার্থে সর্বোচ্চ ৫০ জন কেন্দ্রীয় নেতা বৈঠকে অংশগ্রহণ করতে পারেন। ২০১৯ সালের ২০ ও ২১ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী এই কমিটির মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছর ডিসেম্বরে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, করোনার মধ্যেও বাংলাদেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা অব্যাহত রয়েছে। যতই প্রতিকূলতা আসুক এই অগ্রযাত্রাকে থামানো যাবে না।
বুধবার বেলা সোয়া ১১টায় গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ভূমি ভবন ও ভূমি তথ্য ব্যাংকের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিন ভূমি ভবন, উপজেলা ও ইউনিয়ন ভূমি অফিস ভবন, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ কার্যক্রম এবং ভূমি তথ্য ব্যাংকের উদ্বোধন করেন সরকার প্রধান।
এসময় ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী, ভূমি সচিব মোস্তাফিজুর রহমানসহ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়, ভূমি মন্ত্রণালয় ও তার অধীনস্থ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রহস্যজনকভাবে মৃত্যুবরণ করেন সালমান শাহ। ক্ষণজন্মা এই নায়কের স্টাইল পরবর্তীকালে অনেকেই অনুসরণ করেছেন। মৃত্যুর ২৫ বছর পরও প্রয়াত এই নায়কের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। আজ তার প্রয়াণ দিবসে তাকে স্মরণ করে অনেকই স্মৃতিচারণ করছেন।
তাকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান সুপারস্টার শাকিব খান।
সালমানের প্রয়ান দিবসে ফেসবুকে শাকিব লিখেছেন, একজন শিল্পীর মৃত্যুর পর ধীরে ধীরে তার অনুসারীরা ভুলতে শুরু করেন।
তবে ক্ষণজন্মা নায়ক সালমান শাহর ক্ষেত্রে সেটা একেবারে বিপরীত! অকালে চলে যাওয়ার ২৫ বছর পরেও তার জনপ্রিয়তা আজও আকাশচুম্বী। ৯০-এর দশকে চলচ্চিত্রে সালমান শাহর আবির্ভাব তারুণ্যের উচ্ছ্বাস তৈরি করেছিল। ভক্তদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের মানুষও তার স্মৃতিগুলো এখনও লালন করেন। তাই আমার কাছে সালমান শাহ হলেন ভাটির আগে উজানের ঢেউ। তিনি বেঁচে থাকলে হয়তো চলচ্চিত্র মাধ্যমটি আরও বর্ণিল করতে পারতেন।
শাকিব আরও লেখেন, শিল্পীর ভালো কাজের জন্য অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়। অনুপ্রেরণা থেকে শিল্পীরা নিজেদের সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করেন। সালমান শাহর অভিনয় দেখে, তার সিনেমা দেখে আমারও সেই অনুপ্রেরণা হতো! একটা প্রজন্মের কাছে আইডলে পরিণত হয়েছিলেন সালমান শাহ নামের সেই পরশ পাথর, যার ছোঁয়ায় বাংলা চলচ্চিত্রে বিপ্লব ঘটেছিল। তিনি আমাদের চলচ্চিত্রের এমন ধ্রুবতারা যিনি দূর আকাশে অবস্থান করেও আলোকিত করেন মানুষের হৃদয়। তার মৃত্যুদিন এলে তাই স্বভাবতই আমাদের মন খারাপ হয়ে যায়। আবার কিছুদিন পরেই আসে তার জন্মদিন; তখন আবার এই ভেবে ভালো লাগে যে সালমান শাহ স্বল্পায়ু হলেও অন্তত বাংলাদেশে জন্মেছিলেন- সেটাই আমাদের সৌভাগ্য।
২৫তম প্রয়াণ দিবসে প্রিয় নায়ক সালমান শাহকে স্মরণ করছি বিনম্র শ্রদ্ধায়। যেখানেই থাকুন ভালো থাকুন আমাদের সালমান শাহ। লিখেছেন শাকিব খান।
বিশ্বের এক-চতুর্থাংশ দেশের কোটি কোটি শিশুর শিক্ষা ব্যবস্থা উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে শিশু কল্যাণে নিয়োজিত আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেন।
সংস্থাটির গবেষণায় করোনারোধী টিকাদানের পরিসর, জলবায়ু পরিবর্তন, শারীরিক আক্রমণ এবং স্কুল-শিক্ষার্থীদের বাড়িতে ইন্টারনেট সংযোগের মতো বিষয়গুলোও বিবেচনা করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে নাইজেরিয়া, সোমালিয়া, আফগানিস্তান, দক্ষিণ সুদান, সুদান, মালি,লিবিয়ায়, ইয়েমেন এবং বুরকিনা ফাসো, বাংলাদেশসহ আরও ৪৮টি দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ভেঙে পড়ার ‘উচ্চ ঝুঁকি’ রয়েছে।
বর্তমানে উন্নয়নশীল বিশ্বের দেশগুলো চরম দারিদ্র্য, কোভিড-১৯, জলবায়ু পরিবর্তন, আন্তঃসম্প্রদায় সহিংসতাসহ নানা সমস্যায় জর্জরিত। এর ফলে সেখানে ‘শিক্ষার্থীদের একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্ম’ তৈরি হওয়ার আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে।
ইউনিসেফের শিক্ষা বিষয়ক বৈশ্বিক পরিচালক রব জেনকিন্সের মতে, করোনা মহামারির আগেও বিশ্বের বেশিরভাগ অঞ্চল শিক্ষা সংকটের মুখে ছিল। তিনি বলেন, এখন আমরা শিক্ষার্থীদের একটি প্রজন্ম হারানোর ঝুঁকিতে রয়েছি। এটি আজীবন প্রভাব ফেলতে পারে যদি না আমরা শিশুদের পূর্ণাঙ্গ ও ব্যাপক সহায়তা প্রদান করে এমন কর্মসূচির দিকে না যাই।
ইউনিসেফের তথ্যমতে, উন্নত দেশগুলোর বেশিরভাগ অংশে স্কুলগুলো ফের চালু হলেও বাকি বিশ্বের অন্তত ১৬টি দেশে কঠোর লকডাউনের কারণে ১০ কোটিরও বেশি শিশু ক্লাসের বাইরেই থাকছে।
সেভ দ্য চিলড্রেন যুক্তরাজ্যের প্রধান নির্বাহী গোয়েন হাইনস বলেন, আমরা জানি যে, করোনায় স্কুল বন্ধের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দরিদ্র শিশুরা। কিন্তু দুঃখজনক-ভাবে, শিশুদের শিক্ষা ও জীবনকে হুমকির মুখে ঠেলে দেওয়া বিষয়গুলোর মধ্যে মাত্র একটি হচ্ছে কোভিড-১৯।
গত এক বছরে ফেসবুক থেকে আপত্তিকর কনটেন্ট গণ্য করে প্রায় ৫ হাজার লিংক অবসান করেছে বিটিআরসি।
সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) বিটিআরসির কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত এক বছরে প্রায় ১৮ হাজার ৮৩৬টি লিংক অপসারণের জন্য ফেসবুকের কাছে অনুরোধ করা হয়। যার মধ্যে ৪ হাজার ৮৮৮টি লিংক অপসারণ করা হয় এবং এখনও ১৩ হাজার ৯৮৪টি লিংক একটিভ রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসি কর্তৃক প্রকাশিত একটি পরিসংখ্যানে আরও জানানো হয়, ইউটিউবের কাছে ৪৬১টি লিংক অপসারণ করার অনুরোধ করলে সেখানে ৬২টি লিংক অপসারণ করা হয়। এখনও ৩৬৯টি লিংক অ্যাকটিভ রয়েছে।
সম্মেলনে পরিসংখ্যান উপস্থাপনকালে বিটিআরসির সিস্টেম এন্ড সার্ভিস বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ জানান, ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তফা জব্বারের নির্দেশনা মোতাবেক সাইবার থ্রেট ডিটেকশন এন্ড রেসপন্ড (সিটিডিআর) নামের একটি কারিগরি সিস্টেম ইতোমধ্যে প্রায় ২২ হাজারেরও বেশি পর্ণোগ্রাফি এবং জুয়ার সাইটে প্রবেশ বন্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও এই সিস্টেমের মাধ্যমে ডিজিটাল মাধ্যম থেকে ১ হাজার ৬০টি ওয়েবসাইট বা আপত্তিকর কনটেন্টের লিংক অপসারণ করা হয়েছে। যা এই সিস্টেমে অনুরোধের শতভাগ কার্যক্রম বলে উল্লেখ করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও জানানো হয়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ ধারা ৮ (১ ও ২) অনুযায়ী ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সির মাধ্যমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মহাপরিচাক ডিজিটাল মাধ্যম থেকে কনটেন্ট অপসারণ/ব্লক করার জন্য বিশেষ অনুরোধ করা হলে তারা এ কার্যক্রম সম্পন্ন করেন।
নারায়ণগঞ্জের বন্দরে একটি রাজনৈতিক ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে বিআইডব্লিউটিএর ওপর ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সরকারদলের স্থানীয় নেতারা। শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর অংশে ওই ব্যানার অপসারণের ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এ নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে তুমুল আলোচনা সমালোচনা।
শনিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ব্যানারটি না ভেঙে খুলে নেওয়ার সময় দিতে বার বার অনুরোধ করা সত্ত্বেও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ওই ব্যানারটি ভেকু দিয়ে ভেঙে দেয়।
যদিও বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষের দাবি, সরকারি নিয়মানুযায়ী অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের অংশ হিসেবেই সব ভাঙা হয়েছে।
জানা যায়, শনিবার সকাল ১১টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত শীতলক্ষ্যা নদীর বন্দর ও শহরের কয়েকটি এলাকায় ৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বিআইডব্লিউটিএ নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দর কর্তৃপক্ষ। দুপুরের দিকে উচ্ছেদকারী দল বন্দরের ১ নম্বর খেয়া ঘাটে উচ্ছেদ করতে গিয়ে সেখানে একটি রাজনৈতিক ব্যানার অপসারণের সময় স্থানীয় নেতাকর্মীরা প্রথমে বাধা দেন। পরে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ ব্যানারটি ভেকু দিয়ে ভেঙে ফেলে।
এ বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হুমায়ূন কবির মৃধা বলেন, একটি ব্যানার নিশ্চয়ই নদী দখল করে ফেলেনি। তারপরও যেহেতু নদীর জায়গায় ব্যানার ছিল তাই কর্মীরা অনুরোধ করেছিল, সেটি সরিয়ে নেওয়ার সময় দিতে।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জুয়েল হোসেন জানান, নদীর পাড়ের সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করার জন্যই কর্মকর্তারা উচ্ছেদ অভিযানে গিয়েছিলেন। কিন্তু তার মানে এই না যে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রী এবং আমাদের স্থানীয় দুই এমপি ও উপজেলা চেয়ারম্যানের ছবি সম্বলিত ব্যানার ভেঙেই করতে হবে।
বিআইডব্লিউটিএর নারায়ণগঞ্জের উপপরিচালক মাসুদ কামাল জানান, উচ্ছেদ কার্যক্রম হয়েছে আইন অনুযায়ী ও ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে। ব্যানার ভাঙার বিষয়টি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করা হচ্ছে। মূলত বন্দর ঘাটের অবৈধ দখলদাররা বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা অপপ্রচার করছে। এগুলো সাজানো নাটক।
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় ভারত যতই বিপর্যস্ত হোক না কেন, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জনপ্রিয়তায় কোনও আঁচড় পড়েনি তাতে। কারোনকালে বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতার আসনে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। জনপ্রিয়তার হিসাব করা বিশ্বব্যাপী এক সমীক্ষায় উঠে এল এই চমকপ্রদ তথ্য।
আমেরিকার ডেটা ইন্টেলিজেন্স সংস্থা ‘মর্নিং কলসাল্ট’-এ এই তথ্য উঠে এসেছে। এটি একটা বিলিয়ন ডলার সংস্থা যা ডেটা ইন্টেলিজেন্স নিয়ে কাজ করে।
এই সমীক্ষায় জনপ্রিয়তার নিরিখে সবার উপরে রয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন মেক্সিকোর রাষ্ট্রপতি লোপেজ ও’ ব্র্যাডর। নরেন্দ্র মোদির সমর্থনে রয়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ সমর্থন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লোপেজের পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৬৪ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছেন ইতালির প্রধানমন্ত্রী মারিও দ্রাঘি। তার পক্ষে ৬৩ শতাংশ সমর্থন রয়েছে। চতুর্থ স্থানে আছেন জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মের্কেল। তিনি ৫২ শতাংশ সমর্থন পেয়েছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন রয়েছেন পঞ্চম স্থান। তার পক্ষে রয়েছে ৪৮ শতাংশ সমর্থন। একই জায়গায় রয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনও।
এই সমীক্ষায় ৭০ শতাংশ সমর্থনের অর্থ হল, বিশ্বের ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকার ও তার নীতিগুলিকে সমর্থন করেন। তবে জো বাইডেনের এত নিচে থাকার কথা না। কিন্তু সাম্প্রতিক সময় আফগানিস্তান ইস্যুতে মার্কিন সরকারের ব্যর্থতার চেহারা প্রকাশ্যে আসার পরই তার সমর্থন মারাত্মকভাবে কমে গেছে।
‘মর্নিং কলসাল্ট’ নামক এই সংস্থা বর্তমানে অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইটালি, জাপান, মেক্সিকো, দক্ষিণ কোরিয়া, স্পেন, ব্রিটেন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তার হিসাব রাখে। প্রত্যেক ৭ দিন অন্তর এই ১৩ টি দেশের রাজনৈতিক নেতাদের জনপ্রিয়তা কতটা বাড়ল বা কতটা কমল, সেই তথ্য় প্রকাশ করা হয়। গতকাল শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) নতুন করে এই তথ্য প্রকাশ্যে আসার পরই তা কার্যত গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক মহলকে চমকে দিয়েছে।
কিন্তু হঠাৎ কী ভাবে এতটা জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে ফেললেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি? একাধিক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, সাম্প্রতিক সময় অলিম্পিক ও প্যারাঅলিম্পিকের অসংখ্য ক্রীড়াবিদদের নিরন্তর উৎসাহ জুগিয়ে গিয়েছেন তিনি। অলিম্পিকের সময় কেউ পদক জিতলে তাকে ফোন করে নিজে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। যে ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। একই ভাবে, প্যারাঅলিম্পিকের প্রত্যেকটি পদক এবং সাফল্য নিয়েও টুইট করতে দেখা গিয়েছে তাকে। যা এক ধাক্কায় আন্তর্জাতিক স্তরে তার হারানো জনপ্রিয়তা পুনরুদ্ধারে অনেকটাই সাহায্য করেছে
মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না, এটি এখন সবচেয়ে বড় জাতীয় সংকট।
সিলেট-৩ আসনের উপনির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। ফাঁকা কেন্দ্রের সামনে পাহারায় এক গ্রাম পুলিশ। গতকাল সকাল সাড়ে আটটায় সিলেটের দক্ষিণ সুরমার পূর্বভাগ মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোটকেন্দ্রে।
বর্তমান নির্বাচন কমিশনের কঠোর সমালোচনা করে জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের সাংসদেরা বলেছেন, এক দিনের যে গণতন্ত্র ছিল, সেটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে গেছে। ভোটাররা যদি ভোটকেন্দ্রে না যান, তাহলে নির্বাচন কমিশন (ইসি) দিয়ে কী হবে, সে প্রশ্নও তুলেছেন তাঁরা।
গতকাল শনিবার দুপুরে সংসদে যখন এই আলোচনা চলছিল, তখন সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, ফেঞ্চুগঞ্জ ও বালাগঞ্জ উপজেলা) সংসদীয় আসনে উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ করা হচ্ছিল। সেখানেও ভোটার উপস্থিতি ছিল কম। মূলত ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিভিন্ন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কম দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থার জন্য বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়ী—এই অভিযোগ করে আসছে বিএনপি, জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। দেশের বিশিষ্ট নাগরিকেরাও নির্বাচনী ব্যবস্থাকে ভেঙে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করছেন।
গতকাল জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ বিল, ২০২১ পাস হয়েছে। এর ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে বিএনপির দুজন এবং জাতীয় পার্টির (জাপা) একজন সাংসদ নির্বাচনী ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।
জাপার সাংসদ শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাচ্ছে। একদিনের যে গণতন্ত্র ছিল, সেটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সংসদে বিরোধী দল দাঁড়াতে না পারলে সরকার অত্যাচারী হয়ে যেতে বাধ্য। ‘অ্যাবসলিউট পাওয়ার করাপ্টস অ্যাবসলিউটলি’ (নিরঙ্কুশ ক্ষমতা সর্বগ্রাসী দুর্নীতির জন্ম দেয়) সে রকম হোক, তা তাঁরা চান না।
বর্তমান সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপার এই সাংসদ বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের আগে আমাদের দেখা দরকার মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন কি না? আজও (গতকাল) সিলেটে ভোট হচ্ছে, কতজন কেন্দ্রে যাবেন, জানি না। মানুষ যদি ভোটকেন্দ্রে না যান, তাহলে সীমানা নির্ধারণ করে কী করব, ইলেকশন কমিশন বা বাজেট দিয়ে কী করব?’ তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে নিরঙ্কুশ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারা ক্ষমতার বাস্তবায়ন করে না। মানুষ ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না, এটি সবচেয়ে বড় জাতীয় সংকট।
২০১৪ সালের একতরফা জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই মূলত ভোটের প্রতি মানুষের একধরনের অনাগ্রহ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন নির্বাচন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, বিভিন্ন নির্বাচনে নানা অনিয়ম ও জবরদখলের ঘটনায় নির্বাচনী ব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। ভোটের ফল নির্ধারণে ভোটারদের গুরুত্ব নেই—এমন একটি ধারণা তৈরি হয়েছ। এ কারণে বড় অংশের ভোটারের মধ্যে ভোটবিমুখতা তৈরি হয়েছে।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, এখন ভোটের ফল নিয়ে সাধারণ মানুষের খুব বেশি মাথাব্যথা নেই। কারণ, এখানে তাঁদের পাওয়ারও কিছু নেই। তা ছাড়া মানুষ কোনো ঝামেলায় জড়াতে চান না। ব্যক্তিগত নিরাপত্তাই এখন মানুষের কাছে প্রধান। এটাকেই বড় করে দেখছেন তাঁরা। বলা যায়, আস্থা বা নিরাপত্তাহীনতার কারণেই মানুষ গণতন্ত্রবিমুখ হয়ে পড়ছেন।
রুমিন ফরহানা সংরক্ষিত আসনের সাংসদ বিএনপি
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ছিল ৮০ শতাংশ। তবে সে নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক বিতর্ক আছে। বিএনপির অভিযোগ, অনেকগুলো কেন্দ্রে ভোটের আগের রাতে আওয়ামী লীগ ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রেখেছিল। ওই নির্বাচনে ১০৩টি আসনের ২১৩টি কেন্দ্রে শতভাগ ভোট পড়েছিল। এই নির্বাচনের পর স্থানীয় সরকার নির্বাচনগুলোতে ভোটার উপস্থিতি কমতে থাকে।
গতকাল সংসদে পাস হওয়া নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনে বলা হয়েছে, সীমানা নির্ধারণ নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এই বিধান বাতিলের প্রস্তাব করে বিএনপির সাংসদ হারুনুর রশীদ বলেন, নির্বাচন কমিশন এখন আস্থাহীন জায়গায় দাঁড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে নির্বাচনের ক্ষেত্রে যদি ব্যত্যয় ঘটে, তাহলে প্রার্থী যাবেন কোথায়? এ আইন অসম্পূর্ণ। অবশ্যই আইনে উচ্চ আদালতে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে।
আইন প্রণয়নের আলোচনায় সংরক্ষিত নারী আসনের বিএনপির সাংসদ রুমিন ফারহানা বলেন, সংবিধানে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ গঠনের কথা বলা আছে। প্রত্যক্ষ নির্বাচন কেমন, তা ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দেখা গেছে। একটা ভোট পড়ার আগেই সরকার গঠনে প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে বেশি আসন আওয়ামী লীগ পেয়ে গিয়েছিল। ভবিষ্যতে মানুষ কবে প্রত্যক্ষ ভোট দিতে পারবে, তা ‘আল্লাহই মালুম’।
রুমিন বলেন, এখন ভোটার দিবস, ভোটার তালিকা, সীমানা নির্ধারণ—এসব কথা শোনা যায়। ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর এসবের আর প্রাসঙ্গিকতা আছে কি না, সে প্রশ্ন রাখেন তিনি। নির্বাচন কমিশন গঠনপ্রক্রিয়া নিয়েও কথা বলেন রুমিন। তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনের জন্য একটি আইন থাকতেই হবে। এই আইনের ভিত্তিতে ইসি গঠন করতে হবে, এটা বাধ্যতামূলক। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন গঠন অসাংবিধানিক।
বিরোধী দলের সদস্যদের বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, সংবিধানের বিধানমতে কোনো অন্যায় হলে তা দেশের সুপ্রিম কোর্টে তোলা যাবে। সেই আইন সব সময় বলবৎ আছে। বিএনপির মতো মার্শাল ল দিয়ে এটা বাতিল করা হয়নি। কিন্তু নির্বাচন করার জন্য যদি কোনো কাজ কমিশন করে, তখন নির্বাচনটিকে স্থগিত করার জন্য সঙ্গে সঙ্গে কোর্টে যাওয়া যাবে না। নির্বাচনটি সুষ্ঠুভাবে করার জন্য এই বিধান প্রয়োজন।
বিএনপির উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, ওনারা তো কোনো দিন সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করেননি, ওনারা এটা বুঝবেন না।
একদিনের যে গণতন্ত্র ছিল, সেটাও বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
শামীম হায়দার পাটোয়ারী সাংসদ, জাপা
নির্বাচনী ব্যবস্থা এবং ভোটার উপস্থিতি কমে যাওয়া নিয়ে বিরোধী দলের সাংসদেরা প্রশ্ন তুললেও আইনমন্ত্রী এ বিষয়ে সরাসরি কোনো মন্তব্য করেননি। উল্লেখ্য, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে গুরুতর অসদাচরণ, অনিয়মসহ ৯টি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে তা তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল গঠনের দাবি জানিয়ে গত ১৪ ডিসেম্বর রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দেন দেশের ৪২ জন বিশিষ্ট নাগরিক। এরপর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি তাঁরা দ্বিতীয় দফায় আরেকটি চিঠি রাষ্ট্রপতিকে দেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে কোনো উত্তর তাঁরা পাননি।
নির্বাচনী ব্যবস্থা ও ভোটের প্রতি মানুষের আস্থা কমে যাওয়া নিয়ে সংসদে বিরোধী দলের সদস্যদের আলোচনার বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিকের (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার প্রথম আলোকে বলেন, ভোটারদের মধ্যে এমন ধারণা সৃষ্টি হয়েছে, ক্ষমতাসীন দল যাঁকে মনোনয়ন দেবে, তিনিই জয়ী হবেন। ফলে ভোট দিতে যাওয়া-না যাওয়াতে কিছু আসে যায় না। ভোট এখন অর্থহীন আনুষ্ঠানিকতায় পরিণত হয়েছে। তবে নির্বাচনই ক্ষমতা পরিবর্তনের একমাত্র সাংবিধানিক পথ। এটি রুদ্ধ হয়ে গেলে অশান্তিপূর্ণ ও অসাংবিধানিক পথে ক্ষমতা বদলের সুযোগ তৈরি হয়, এটি কারও জন্য কল্যাণ বয়ে আনবে না।
৩য় বিয়ে করলেন লাখো তরুণীর ক্রাশ জনপ্রিয় অভিনেতা অপুর্ব, স্ত্রী কে এই শাম্মা?
টিভি নাটকের সবচেয়ে জনপ্রিয় নায়ক জিয়াউল ফারুক অপূর্ব। তার বিয়েতে সানাই বাজবে, হৈ হুল্লোড় হবে- থাকবে নানা আয়োজন। এটাই স্বাভাবিক।
তবে এগুলোর তেমন কিছুই হলো না। কারণটা করোনা মহামারি। বেশ ঘরোয়াভাবে কাবিন ও নিবন্ধন সম্পন্ন করে ২ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় হলো তার বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। পাত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক শাম্মা দেওয়ান। পারিবারিকভাবেই তার সঙ্গে অপূর্বর পরিচয়।
রাজধানীর একটি কনভেনশন সেন্টারে শুরু হয় বিবাহোত্তর সংবর্ধনা। সেখানে হাতেগোনা স্বজন ও অতিথিরা উপস্থিত ছিলেন।
অপূর্ব বলেন, ‘করোনার কারণে বড় পরিসরে কিছু করা সম্ভব হয়নি। দুই পরিবারের কিছু মানুষ আমাদের দোয়া করতে আসবেন- এটুকুই।
জানা যায়, অনুষ্ঠানে শ’খানেক অতিথি দাওয়াত পেয়েছিলেন। এতে অভিনয়শিল্পী আফরান নিশো, মেহজাবীন চৌধুরী, সাবিলা নূর, নির্মাতা শিহাব শাহীনসহ শোবিজ অঙ্গনের কিছু মানুষ উপস্থিত হন।
অপূর্ব জানান, একেবারেই পারিবারিক সিদ্ধান্তে এই বিয়ের উদ্যোগ। স্ত্রী শাম্মা মিডিয়ার বাইরের মানুষ। ওর জন্ম ও বেড়ে ওঠা আমেরিকায়। তবে তার পৈতৃক নিবাস ঢাকার লালমাটিয়ায়।
অপূর্বর তৃতীয় বিয়ের খবরটি ফলাও করে প্রকাশ করেছে ভারতের গণমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। এ ছাড়াও বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি অনলাইন গণমাধ্যমে খবরটি প্রকাশ হয়েছে। অপূর্ব এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত শোবিজ জগতের দু-একজন সাংবাদিকের সঙ্গে কথা বলে নিজের বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে, গত বছর নাজিয়া হাসান অদিতির সাথে ভেঙে যায় অপূর্বর দ্বিতীয় সংসার। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ ৯ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন এই তারকা অভিনেতা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক পাতায় লিখে বিচ্ছেদের কথা জানান নাজিয়া হাসান অদিতি।
অপূর্ব গণমাধ্যমকে বলেন, ‘বিয়ে করছি। চুরি বা ক্রাইম তো না। ফলে এটা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। আমি বিয়ে করছি, এটা সত্যি।
অপূর্ব আরও বলেন, ‘আমার প্ল্যান ছিল বিয়ের অনুষ্ঠানে মিডিয়ার সবাইকে দাওয়াত করবো। কিন্তু করোনার কারণে সেটা সম্ভব হচ্ছে না। পরে ভাবলাম বিয়ের পরদিন বন্ধুদের সঙ্গে বসে খবরটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবো। সেটাও সম্ভব হচ্ছে না। এরইমধ্যে বিষয়টি নিয়ে কানাঘুষা শুরু হয়েছে। তাই বিষয়টি চাপিয়ে রাখার আগ্রহ পাইনি। আমি পবিত্র একটি সম্পর্কে জড়াচ্ছি। এ বিষয়ে সবার দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছি।
অপূর্বর তৃতীয় এবং তার স্ত্রী শাম্মার এটি দ্বিতীয় বিয়ে। ‘বড় ছেলে’ খ্যাত এই অভিনেতা প্রথম বিয়ে করেন ২০১০ সালের ১৮ আগস্ট মডেল ও অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে। ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তারা। মাত্র ছয় মাস টিকেছিল সে সংসার। প্রভার সাবেক প্রেমিক রাজিবের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্কের কথা এবং আপত্তিকর কিছু ভিডিও প্রকাশ হওয়ায় ২০১১ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি তাকে ডিভোর্স দেন অপূর্ব।
ওই বছরেরই ২৮ ডিসেম্বর নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন অভিনেতা। ৯ বছর সংসার করার পর গত বছরের ১৭ মে বিকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের সংসার ভাঙার খবর প্রকাশ করেন অদিতি। দ্বিতীয় সংসারে অপূর্বর ৬ বছর বয়সী এক ছেলে সন্তান রয়েছে। নাম আয়াশ। কয়েক মাস আগে অদিতি আবার বিয়ে করেছেন। এবার নতুন সংসার পাততে চলেছেন অপূর্বও।
এদিকে অপূর্বর বিয়ের দিনে গণমাধ্যমে অপূর্বর সাবেক স্ত্রী নাজিয়া হাসান অদিতিও নিজের বিয়ের কথা জানালেন। বৃহসপতিবার সকালে অদিতি নিজেই বিয়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘অপূর্বর সাথে আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদের এক বছরেরও বেশি সময় পর বিয়ে করেছি আমি। সেটা পারিবারিকভাবেই। বরের নাম নাম মাহবুব পারভেজ।
নাজিয়া হাসান অদিতি বলেন, ‘অপূর্বর সাথে আমার ছয় মাস সেপারেশন থাকার পর ডিভোর্স পেপারে সাইন করি। সেটা ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে। আর আমরা ডিভোর্সের নিউজ প্রকাশ করি ২০২০ সালের মে মাসে। আমার দ্বিতীয় বিয়ের কাবিন হয় ২০২১ সালের জানুয়ারিতে।
অদিতি যাকে বিয়ে করেছেন তিনি করপোরেট অঙ্গনে চাকরি করেন। নাম মাহবুব পারভেজ। তার সঙ্গে অদিতি ও অপূর্বের পরিচয় হয়েছে বিচ্ছেদের প্রায় এক বছর পর। অদিতির দাবি, আমার তখন কারো সঙ্গে সম্পর্কে জড়ানোর মানসিকতা বা মানসিক অবস্থা কোনোটাই ছিল না। আমি পাত্রকে জানাই পারিবারিকভাবে প্রস্তাব দিতে, কেননা তখন আমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো ক্ষমতাও হয়তো ছিল না। অত্যন্ত অমায়িক ওই ভদ্রলোককে আমার মা-বাবা পছন্দ করেন এবং খুবই ছোট পরিসরে আমাদের কাবিন সম্পন্ন হয়।
অপূ্র্বের বিয়ের দিনে নিজের খবর কেনো জানাচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপে দেখলাম আমার নামে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। আমি নাকি পরকীয়া করে বিয়ে করেছি। তাই অপূর্বের সাথে আমার কবে বিচ্ছেদ হয়েছে আর আমরা কবে বিয়ে করেছি সেটা পরিষ্কার করতেই আজ বিষয়টি গণমাধ্যমে জানালাম।
চলতি মাসের ১২ তারিখ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলে দেয়ার চিন্তা রয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৃহস্পতিবার রাতে একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ তথ্য জানান।
ডা. দীপুমণি জানান, গত সপ্তাহে নেয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে নেয়া সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চলমান ছুটি ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়। দীর্ঘ ১৭ মাস শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার কারণে শিশু-কিশোররা স্বাভাবিক বেড়ে ওঠার সুযোগ বঞ্চিত হচ্ছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, বিশেষজ্ঞদের সাথে আজকেও (বৃহস্পতিবার) কথা হয়েছে, তারা মনে করছেন আমরা যে সংক্রমণের হার অনেক কম রাখতে পেরেছি, তার অন্যতম কারণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা। অন্য অনেক কারণের পাশাপাশি এটিও অনেক ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন তারা।
করোনাভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দ্রুত খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশনে বক্তব্যে এ কথা বলেন সরকারপ্রধান।
তিনি বলেছেন, করোনাভাইরাসের প্রকোপ কিছুটা কমেছে। কিন্তু কমলেও সবাইকে সাবধানে থাকা উচিত। হয়তো লকডাউন তুলে নিয়েছি। কিন্তু স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলার জন্য সবাইকে অনুরোধ করব। খুব তাড়াতাড়ি স্কুল কলেজ খুলে দেওয়ার জন্য ইতোমধ্যে নির্দেশ দিয়েছি। সেই ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের টিকা দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, শিক্ষকদের সঙ্গে সঙ্গে স্কুলে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পরিবারের সবাইকে যেন টিকা দেওয়া হয়। আমরা বিভিন্ন সংস্থা বা স্বাস্থ্যকর্মী থেকে শুরু করে সবাইকে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েছি।
টিকার বিষয়ে সরকার প্রধান বলেন, ‘আর টিকার কোনো সমস্যা নেই। যেখান থেকে যতটুকু পারছি আমরা নিয়ে আসছি।’
বাংলাদেশে গত বছর ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। কয়েক ধাপে তা আগামী ১২ জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
তামিম ইকবাল আসছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন।
গতকাল নিজের ফেসবুকে এক ভিডিও বার্তায় দেশের অন্যতম সেরা ওপেনার জানিয়েছেন, কেন তিনি বিশ্বকাপ স্কোয়াডের অংশ হতে চান না। তাঁর অপারগতার কথা তিনি জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন ও বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসানকে। তামিমের যুক্তিগুলো মেনে নিয়েছেন তাঁরা। আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলটাকে যে তামিমের মতো একজন শীর্ষ ক্রিকেটারকে ছাড়াই হচ্ছে, এটি একপ্রকার নিশ্চিতই।
২০০৭ সাল থেকে তামিম বাংলাদেশ দলের অংশ। অবিচ্ছেদ্য অংশই। ওয়ানডে বিশ্বকাপ কিংবা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অথবা আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি, ক্রিকেটের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় তামিমকে ছাড়া বাংলাদেশ দল এত বছর কল্পনাই করা যায়নি। সবশেষ ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তামিম সেঞ্চুরি করেছিলেন একটি ম্যাচে (ওমানের বিপক্ষে), দলের অন্যতম বড় ভরসার জায়গা ছিলেন। এবার তিনি নিজেই নিজেকে সরিয়ে রাখছেন বিশ্বকাপ থেকে। ব্যাপারটি যেকোনো বিচারেই অনেক বড় ঘটনা।
বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন তাঁর সাবেক সতীর্থ মাশরাফি বিন মুর্তজা? বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক গতকাল তামিমের ঘোষণাটি আসার পর ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে এ ব্যাপারে নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। দেশের ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এই তারকার মতে, ‘এটি পুরোপুরি তামিমের নিজের সিদ্ধান্ত এবং এ সিদ্ধান্তের প্রতি সকলের সম্মান জানানো উচিত।
মাশরাফি লিখেছেন, তামিম যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, এর পেছনে বেশ কিছু যুক্তি আছে, ‘কোনো সন্দেহ নেই তামিম বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ওর পরিসংখ্যানও তা-ই বলে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলার সব যোগ্যতাই ওর আছে। ক্রিকেট বোর্ড, টিম ম্যানেজমেন্ট সবাই ওকে টিমে রাখবে, এটা সবারই জানা। তামিম কেন এ সিদ্ধান্ত নিল, তার যুক্তিও আছে অনেক।
তামিম নিজের ফেসবুকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দলে না থাকার জন্য যে কারণগুলো বর্ণনা করেছেন, মাশরাফির মতে সেগুলো সঠিকই, ‘তামিমের চোট, এটা প্রথম ব্যাপার। তার ওপর সে গত চারটি সিরিজের ১৬টা ম্যাচ খেলতে পারেনি। কোনো ম্যাচ না খেলে হঠাৎ করে মাঠে নামার পর নিজের ওপর বিশাল চাপ সৃষ্টি হবে। পরে সেটি ওয়ানডে আর টেস্টেও রয়ে যেতে পারে।
তামিমের বদলে এই কয়েকটি সিরিজ যাঁরা খেলেছেন, তাঁরাও নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করেছেন। তামিম নিজেও মনে করেন, তিনি বাইরে থেকে এসে দলে যোগ দিলে তাঁদের প্রতি অন্যায় করা হয়। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য সৌম্য, লিটন, নাঈমদের প্রস্তুতি যে তামিমের চেয়ে অনেক ভালো; সেটি গতকালকের ভিডিও বার্তায় স্পষ্ট করেই স্বীকার করেছেন দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ দল থেকে সরে দাঁড়ানোর বড় কারণ এটিই।
মাশরাফিও মনে করেন, তামিম যদি এভাবে পুরো বিষয়টি ভেবে থাকেন, তাহলে ঠিক করেছেন। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক এর সঙ্গে যোগ করেছেন অস্ট্রেলিয়া সিরিজে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের কঠিন কন্ডিশনে সৌম্য, নাঈমদের ব্যাটিংয়ের কথাও, ‘যে উইকেটে খেলা হচ্ছে, সেখানে রিয়াদ (মাহমুদউল্লাহ) ছাড়া দলের আর কোনো খেলোয়াড়ই ৫০ ছুঁতে পারেনি। সৌম্য, লিটন বা নাঈমদের সত্যিকারের ব্যাটিং উইকেটে খেলতে না দিয়ে বিচার করাটা সত্যিই অন্যায় হবে। কঠিন সিরিজগুলো তো এই ছেলেরাই পার করেছে।’
মাশরাফির মতে, হুট করে দলে ঢুকে গেলে এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের ড্রেসিংরুম তামিমকে কতটা আন্তরিকতার সঙ্গে ‘গ্রহণ’ করত, সেটি নিয়ে সন্দেহ আছে। আর সেটি মনেপ্রাণে ভেবেই নাকি তামিম বিশ্বকাপ দল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয়টা হচ্ছে, তামিমকে ড্রেসিংরুমে সবাই খুবই পছন্দ করে। কিন্তু ১৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ বা অনুশীলন ম্যাচ ছাড়া দলে ঢুকলে এবার ওকে সবাই কতটা স্বাগত জানাত, সেটি হয়তো ওকে ভাবিয়েছে।
তামিমের এভাবে অন্যদের কথা ভেবে বিশ্বকাপের দল থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে দলে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা আরও বাড়াবে বলেই মনে করেন মাশরাফি, ‘কোনো কোনো সিদ্ধান্ত মানুষের জীবন পাল্টে দেয়। এ সিদ্ধান্তের পর তামিম যখন পরের ম্যাচে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামবে, তখন সৌম্য, লিটন, নাঈমরাই ওর জন্য জীবন বাজি রেখে খেলবে। কারণ, কেউ রাখুক আর না-ই রাখুক, তামিম ওদের কঠোর পরিশ্রমের প্রতি শ্রদ্ধা রেখেছে।
মাশরাফি শেষ করেছেন এভাবে, ‘তামিম এখনো সেরাদের সেরা এবং সে সেরাদের সেরা হয়েই থাকবে। টি-টোয়েন্টিতে জোর করে খেলে অবশ্যই টেস্ট আর ওয়ানডেতে দলের সেরা ব্যাটসম্যানকে নিষ্প্রভ কেউ দেখতে চাইবে না। তামিমের এখনো অনেক ম্যাচ জেতানোর বাকি আছে। তামিম, তোমাকে আমরা অবশ্যই টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মিস করব।
বহুল আলোচিত হলমার্ক কেলেঙ্কারির সঙ্গে সম্পৃক্ত ও ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আব্দুল মালেককে ব্ল্যাকমেইল করে কোটি টাকা চাঁদাবাজির ঘটনায় কথিত দুই সাংবাদিককে গ্রেফতার করেছে র্যাব। হলমার্ক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হওয়ায় মালেককে গ্রেফতার করা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত তারা হলেন-একটি বেসরকারি টেলিভিশনের সাংবাদিক মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী মোহাম্মদ আমিরুল ইসলাম। এ সময় তাদের কাছ থেকে ক্যামেরা ও একটি বেসরকারি টেলিভিশনের বুম, পাঁচ লাখ টাকা, দুইটি ব্যাংকের (৪৫ লাখ ও ৫০ লাখ টাকার) চেক উদ্ধার করা হয়। এই চক্রটি সাংবাদিকতার আড়ালে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও অপরাধীদের টার্গেট করে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিতো। বেশ কিছুদিন ধরে চক্রটি রাজধানীর উত্তরায় অপরাধ কার্যক্রম চালাচ্ছিল বলে র্যাব জানিয়েছে।
বুধবার বিকালে রাজধানীর কাওরান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন এ সব তথ্য জানান।
খন্দকার আল মঈন জানান, ৩১ আগস্ট দুপুরে আব্দুল মালেককে উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে ডেকে নিয়ে কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে চক্র। খবর পেয়ে ওই হোটেলে অভিযান চালিয়ে মালেককে উদ্ধার করে র্যাব। এ সময় ইকবাল হোসেন ও তার সহযোগী আমিরুল ইসলামকে আটক করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতরা মালেককে ব্ল্যাকমেইল করতে বেশ কিছুদিন ধরে তথ্য সংগ্রহ করছিল। ঘটনার দিন দুপুরে মালেক উত্তরখানে তার এক আত্মীয়র বাসায় গেলে পরিকল্পনাকারীরা সেখানে যায়। সেখান থেকে তারা মালেককে উত্তরার একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর মালেকের কাছে তারা এক কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা পরিশোধ না করলে তার বিরুদ্ধে হলমার্ক কেলেঙ্কারি বিষয়ে রিপোর্ট প্রকাশ করার হুমকি দেয়।
অভিযুক্তরা একটি চাঁদাবাজ দলের সক্রিয় সদস্য বলে স্বীকার করেছে। তাদের দলে ১০-১৫ জন সদস্য আছে বলে র্যাবকে জানিয়েছে। চক্রের সদস্যরা এলাকায় প্রাণের বাংলাদেশ, স্বাধীন সংবাদ, বিডাব্লিউ নিউজ, প্রথম বেলা, ডেইলি নিউজসহ আরও কয়েকটি সংবাদপত্রের পরিচয় দিত। তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর উত্তরা ও উত্তরখান এলাকায় এসব সংবাদপত্রের পরিচয় দিয়ে ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি ও সাধারণ মানুষকে ভয়ভীতি ও হুমকি দিয়ে চাঁদাবাজি করে আসছিল। ইকবাল হোসেন ও আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণার মামলা রয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে র্যাব মুখপাত্র বলেন, আমরা বেসরকারি ওই টেলিভিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তারা জানিয়েছে- চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগে সাংবাদিক ইকবালকে কয়েকমাস আগে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
এই সব সাংবাদিকদের যারা নিয়োগ দিয়ে ব্ল্যাকমেইল করার সুযোগ দিচ্ছে সেইসব সম্পাদক- প্রকাশক ও মালিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে খন্দকার আল মঈন বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এই প্রতারণার সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পাশাপাশি যারা এই পেশাকে কুলষিত করছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান বলেছেন, ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে বাঙালি জাতিকে দিয়েছেন স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। জাতিকে দিয়েছেন আত্মমর্যাদা ও নিজস্ব পরিচয়। জাতির রিয়েল হিরোই তিনি।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে মিরর ম্যাগাজিন আয়োজিত ‘অনলাইন রিয়েল হিরোজ অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
এসময় প্রতিমন্ত্রী পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের মর্মস্পর্শী ঘটনা উল্লেখ করে বলেন,বাংলাদেশের ইতিহাসে জঘন্যতম একটি নাম খন্দকার মোশতাক আহমেদ। তার বিশ্বাসঘাতকতার পেছনে বড় খায়েশ ছিল দেশের রাষ্ট্রপতি হওয়ার। বাংলার মাটিতে রচিত হলো বেঈমানের ইতিহাস। আর বঙ্গবন্ধুর হত্যার পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নকারী হচ্ছেন জিয়া। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে খুনি জিয়ার মরণোত্তর বিচার অবশ্যই হবে।
মিরর ম্যাগাজিন আয়োজিত অনলাইন রিয়েল হিরো অ্যাওয়ার্ড লাভ করেছেন যমুনা টেলিভিশনের অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর ও উপস্থাপক রোকসানা আনজুমান নিকোল। সেরা নারী সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে এই অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন তিনি।
প্রধান অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. মুরাদ হাসান এমপি রোকসানা আনজুমান নিকোলের হাতে অনলাইন রিয়েল হিরো অ্যাওয়ার্ড তুলে দেন।
নানা মাধ্যমে অবদান রাখায় ৫০ জন পান এ অ্যাওয়ার্ড। অনুষ্ঠানের মূল কো-অর্ডিনেটর ছিলেন, মিরর ম্যাগাজিনের ভাইস প্রেসিডেন্ট মালা খন্দকার।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন-সংসদ সদস্য বীরেণ শিকদার, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ ও বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক এর অভিনেতা আরেফিন শুভসহ মিডিয়ার গুণীজন।
অনুষ্ঠান শেষে ঐতিহ্যবাহী নাচ, র্যাম্প শো ও গান পরিবেশিত হয়।
ভারতর নাগপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যাওয়া বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পাইলট ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমকে বনানী কবরস্থানে তার মায়ের কবরের পাশে দাফন করা হবে।
আজ সকালে ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইউমের মরদেহে শ্রদ্ধা জানানোর পর বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী এ কথা জানান।
এর আগে, তার মরদেহ ভারতের নাগপুর থেকে সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে (বিজি-০২৬) হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
পাইলট নওশাদের মরদেহ দেশে
নওশাদের মরদেহ বিমান থেকে নামানোর পর পর্যটন প্রতিমন্ত্রী ছাড়াও শ্রদ্ধা জানান সচিব মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুল ইসলাম, বাংলাদেশ পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাহবুবুর রহমানসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা।
গত শুক্রবার সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে ১২৪ যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ হার্ট অ্যাটাকের শিকার হন। সঙ্গে সঙ্গে ক্যাপ্টেন নওশাদ ফ্লাইটটিকে কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন।
শতাধিক যাত্রীকে বাঁচানো ক্যাপ্টেন নওশাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে কাছের নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান। ঐ দিনই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। মধ্যরাতের পর প্লেনটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বিএনপির প্রতি আহ্বান করে জানান, জিয়াউর রহমানের লাশ কবরে থাকলে ডিএনএ টেস্ট করে প্রমাণ করতে।
বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মহান মুক্তিযুদ্ধে নৌ-কমান্ডোদের বীরত্বগাঁথা ‘অপারেশন জ্যাকপট’ গ্রন্থের মোড়ক উম্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান সাধারণ কোনো নাগরিক ছিলেন না। তিনি যেভাবেই হোক রাষ্ট্রপতি হয়েছিলেন। কাজেই তার সে সময়ের কোনো ছবি থাকবে না- এটা হতে পারে না।
মন্ত্রী আরও বলেন, কাউকে সম্মান জানানোয় সরকার বাধা দিতে পারে না। শুধু জিয়াউর রহমানের কবর নয়, সংসদ ভবন এলাকায় নকশা বহির্ভূত স্থাপনা সরিয়ে ফেলার জন্য স্পিকার বরাবর আবেদন করা হয়েছে।
দেশ-বিদেশে পুলিশের অর্জন ও পজিটিভ বাংলাদেশকে তুলে ধরার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পুলিশ নিউজ পোর্টাল চালু করেছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. বেনজীর আহমেদ। তিনি বলেছেন, ‘নিউজ পোর্টালটির থাকবে পৃথক রিপোর্টিং টিম, যারা সবাই পুলিশের সদস্য। পুলিশ নিউজে সাংবাদিকতার গোল্ডেন রুলস অনুসরণ করে সংবাদ পরিবেশন করা হবে।
দুপুরে পুলিশ সদর দফতরে নিউজ ডট পুলিশ ডট গভ ডট বিডি (news.police.gov.bd) পোর্টালটির উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন। পোর্টালে দেশ-বিদেশের সাম্প্রতিক নিউজ ছাড়াও পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের অর্জনগুলো দ্রুততম সময়ে তুলে ধরা হবে বলেও জানান আইজিপি।
উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, প্রাথমিকভাবে বাংলায় নিউজ পোর্টালটি চালু হয়েছে। পরবর্তীতে আমরা ইংরেজি ভার্সন চালু করবো। মূলত পুলিশের অর্জনগুলো তুলে ধরা হবে এ পোর্টালে। এছাড়াও প্রতিদিন বাংলাদেশে অসংখ্য পজিটিভ সংবাদ থাকে, সেগুলোও তুলে ধরা হবে এখানে।
পুলিশ নিউজে সাংবাদিকতার গোল্ডেন রুলস অনুসরণ করে সংবাদ পরিবেশন করা হবে।
ড. বেনজীর আরো বলেন,পুলিশ নিউজে মূলত পুলিশ সদস্যরাই নিউজ করবেন। পাশাপাশি বিভিন্ন গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলে তাদের নিউজগুলো অনুমতি সাপেক্ষে ক্রেডিট দিয়ে ছাপানো হবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ অবাধ তথ্যপ্রবাহে বিশ্বাস করে। এরই অংশ হিসেবে এ নিউজ পোর্টাল। আমি যখন ডিএমপি কমিশনার ছিলাম তখন সরকারি দফতর হিসেবে প্রথমবারের মতো মিডিয়া সেন্টার করা হয়। সাংবাদিকদের সুবিধার্থে সেখানে ডেস্কটপ দেয়া হয়েছে, ওয়াই-ফাই, লাউঞ্জ করা হয়েছে। এছাড়াও আমি যখন র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) ছিলাম তখন সাংবাদিকদের সুবিধার্থে মিডিয়াপাড়ায় র্যাবের মিডিয়া সেন্টার করি। ডিএমপি নিউজ (https://dmpnews.org/) প্রতিষ্ঠা করেছি, এ পোর্টালটি এ পর্যন্ত ১৮ কোটি পাঠক ভিজিট করেছে।
ফের বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হতে যাচ্ছেন জনপ্রিয় অভিনেতা জিয়াউল ফারুক অপূর্ব।
ইতিমধ্যে পাত্রী দেখার কাজটি সম্পন্ন হয়ে গেছে। পাত্রী যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক শাম্মা দেওয়ান। গত রোববার উত্তরার বাসাতে অপূর্ব ও শাম্মার বাগদান সম্পন্ন হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা কবুল বলার। বুধবার হতে যাচ্ছে অপূর্বর বিয়ের সকল আনুষ্ঠানিকতা। তবে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সাদামাটা ভাবেই হবে সকল অনুষ্ঠান। গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন তারকা অভিনেতা অপূর্ব।
অপূর্ব বলেন, ‘বিয়ের মত একটা পবিত্র কাজ করতে যাচ্ছি। এটা নিয়ে লুকোচুরির কিছু নেই। আমি চেয়েছিলাম বিয়ের পরদিন সবাইকে জানাতে। কিন্তু বিষয়টা চেপে রাখতে পারিনি। সবাই যেহেতু আগেই জেনে গেছে তাই ভাবলাম জানিয়েই দেই। শাম্মার জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রেই। যেহেতু সে একটা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তাই বিয়ের পর আসা যাওয়ার মধ্যেই থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আজকে আমি যা তার পেছনে আমার শুভাকাঙ্ক্ষী, ভক্ত দর্শকের অবদান সবচেয়ে বেশি। তারা সবসময় আমাকে যে সাপোর্ট এবং ভালোবাসা দিয়েছেন তাতে আমি কৃতজ্ঞ। আমি চাইবো সবসময়ের মত আমার এই নতুন যাত্রায় এভাবেই আমার পাশে থাকবেন সবাই এবং আমাদের জন্য দোয়া করবেন। সবার কাছে দোয়া চাই।
অপূর্ব জানান, একেবারেই পারিবারিক সিদ্ধান্তে এই বিয়ের উদ্যোগ। হবু স্ত্রী মিডিয়ার বাইরের মানুষ। ওর জন্ম ও বেড়ে ওঠা যুক্তরাষ্ট্রে। তবে তার পৈত্রিক নিবাস ঢাকার লালমাটিয়া।
এর আগে, গত বছর নাজিয়া হাসান অদিতির সাথে ভেঙে যায় অপূর্বর দ্বিতীয় সংসার। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে দীর্ঘ ৯ বছরের সংসার জীবনের ইতি টানেন এই তারকা অভিনেতা। ২০২০ সালের ১৭ মার্চ করোনা মহামারির মধ্যে ফেসবুক পাতায় লিখে বিচ্ছেদের কথা জানান নাজিয়া হাসান অদিতি।
এছাড়া ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট পালিয়ে গিয়ে অভিনেত্রী সাদিয়া জাহান প্রভাকে বিয়ে করেছিলেন অপূর্ব। যদিও এর পরের বছরের ফেব্রুয়ারিতেই ডিভোর্স হয়ে যায় তাদের। ওই বছরের ১৪ জুলাই অপূর্ব পারিবারিকভাবে নাজিয়া হাসান অদিতিকে বিয়ে করেন।
মাদক মামলায় গ্রেফতার হওয়া চিত্রনায়িকা পরীমণি কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন।
আজ বুধবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে তিনি মুক্তি পান।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে ৫০ হাজার টাকা মুচলেকায় পরীমণির জামিন আদেশ দেন।
রবিবার (২৯ আগস্ট) উচ্চ আদালতের নির্দেশে পরীমণির জামিন শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ। এর আগে গত ৪ আগস্ট সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে পরীমণিকে তার বনানীর বাসা থেকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। অভিযানে ভয়াবহ মাদক এলএসডি, মদ ও আইস উদ্ধার করা হয়। পরীমণির ড্রয়িংরুমের কাভার্ড, শোকেস এবং ডাইনিংরুম, বেডরুমের সাইড টেবিল ও টয়লেট থেকে বিপুল পরিমাণ মদের বোতল উদ্ধার করা হয়।
সুপারস্টার আসলে সুপারস্টারই। শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বে নজির রয়েছে যে, একটি আলোচিত বিষয়ে যখন কোনো সুপারস্টার ব্যাক্তি বা বিষয়ের পক্ষে কথা বলেন, পুরো দেশ বা জাতি সে পক্ষে চলে আসে। তারই প্রমান আলোচিত নায়িকা পরীমণির মুক্তি।
৪ আগস্ট পরীমনির বাসায় অভিযান পরিচালনা করে রেব বিদেশি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ, মদের বোতলসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করে তাকে ধরে নিয়ে যায় রেব। এরপর ৫ আগস্ট চার দিন এবং ১০ আগস্ট দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুরের পর ১৩ আগস্ট পরীমণিকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে৭ আগস্ট এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে পরীমণির সদস্যপদ স্থগিত করেছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি।
পরীমণিকে আটকের শুরুর থেকে শিল্পীদের তেমন কাউকেই পরীর পক্ষে কথা বলতে দেখা যায়নি। শুধু সাংবাদিকদেরকে গঠন মূলক প্রতিবেদন লিখতে দেখা গেছে। দু একজন তারকা নীতিকথা বললেও তা সামাজিক মাধ্যমে চোখে পরেনি। তবে এ সময় জোড়ালো ভুমিকা রখেছেন সুপারস্টার শাকিব খান। ১৪ আগস্ট মহা এই নায়ক ক্ষিপ্ত হয়ে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দীর্ঘ একটি স্ট্যাটাস দেন।
সেখানে শাকিব খান বলেছেন, খেয়াল করছিলাম, অপেক্ষাও করছিলাম। প্রত্যাশা ছিলো পরীকে ছেড়ে দেওয়া হবে, বিপরীতে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা ছিলো।
সহকর্মী হিসেবে যতদূর জানি পরীমণি বাবা-মা হীন। তার বেড়ে ওঠা পারিবারিকভাবে আর পাঁচটা তরুণ-তরুণীর বেড়ে ওঠা, স্ট্রাগলে যথেষ্ট পার্থক্য আছে। হয়তো সঠিক দিক-নির্দেশনার অভাবে পরীমণি অনেক সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
১০ আগস্ট আদালত চত্বরে পরীমণির শতবর্ষী নানা তার নাতনিকে দেখতে ছুটে গিয়েছিলেন। করোনার এই ভয়াবহতাও আটকাতে পারেনি তার বৃদ্ধ নানাকে। রক্তকে উপেক্ষা করতে পারেনি রক্ত। কিন্তু সময় কি নিষ্ঠুর! পরীমণির সঙ্গে নাকি দেখাই হলো না বৃদ্ধ নানার। আদালত চত্বরেই পরীমণির নানাকে বলতে শুনেছি, পরীমণি নিজের জন্য জীবনে কিছুই করেনি। সব মানুষের জন্য দান করে গেছে। আর এখন পরিস্থিতির শিকার হয়েছে।
পরীমণির মামলা এখন বিচারাধীন। ওই বিষয়ে কিছু বলছি না। সে যে মামলায় গ্রেফতার হয়েছে, তার কী অপরাধ সেটা বিশ্লেষণে যাচ্ছি না। দেশের প্রচলিত আইন আদালতের প্রতি শ্রদ্ধা রয়েছে। নিশ্চয়ই নিরপেক্ষ তদন্ত শেষে সঠিক বিচার হবে। কিন্তু তার আগে পরীমণির জীবন ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে যেভাবে তাকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, এটা সত্যি দুঃখজনক।
সহশিল্পী হিসেবে আশা রাখি, পরীমণির ক্ষেত্রে আইন তার স্বকীয়তা বজায় রাখবে। পরীমণি যখন ফিরবে তার ভুল থেকে শিক্ষাও নেবে। যে শিক্ষা তার আগামী জীবনে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করবে।’
শাকিব খানের আবেগঘন ও গঠনমূলক স্ট্যাটাসে শিল্পী সমাজ ও ভক্তদের টনক নড়ে। জনপ্রিয নায়ককের কথায় পরীর পক্ষে সোশ্যাল মিডিয়া সরব হয়ে ওঠে। রাস্তায় নেমে পরে সংস্কৃতি লালন করে এমন লোকজন। এতোদিন যারা মুখে কুলুপ দিয়ে বসে ছিল তারাও তারাও নানা ভাবে প্রতিবাদ করে। পরীর পক্ষ নেয় বেশ কয়েকজন। তারা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করে পরীমনির জামিন করেন। সুপারস্টার শাকিব খানের এমন উদ্যোগে ভক্ত ও চলচ্চিত্র বোদ্ধারা প্রশংসা করেছেন। একজন সিনিয়র পরিচালক বলেছেন ‘সুপারস্টার আসলে সুপারস্টার।
পরীমণির মুক্তি ‘শাকিব খান একটা সাবজেক্ট’ ছিল
শুধু পরীমনির ক্ষেত্রেই নয়, সিনেমার নানা সমস্যায় শাকিব খান হাল ধরেছেন। চলচ্চিত্রর খারাপ সময়ে নিজে সিনেমায় অর্থলগ্নি করেছেন। এই করোনায় অসচ্ছল শিল্পী ও কলাকুশলীদের মাঝে নিরবে দান করেছেন।
শুধু তাই নয়, শাকিব খান জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতি ভালো হলে ইন্ডাস্ট্রির সবার কথা ভেবে, চলচ্চিত্রের ভালোর কথা ভেবে আবার যৌথ প্রযোজনায় নাববেন।
এ মাসেই নামী শাকিব খান সরকারী অনুদান পাওয়া ‘গলুই’ শিরোনামের একটি সিনেমার শুটিং শুরু করবেন। যেটি পরিচালনা করবেন হৃদয়ের কথা, আরও ভালোবাসবো তোমায় খ্যাত পরিচালক এস এ হক অলিক। সিনেমায় শাকিব খানের নায়িকা হওয়ার কথা রয়েছে পূজা চেরির।
ইতোমধ্যে ‘গলুই’-এর জন্য শাহ আলম সরকারের লেখা ও ইমন সাহার সুরে কুমার বিশ্বজিত গানে কণ্ঠ দিয়েছেন।
শাকিব খানের ছবি মানেই সুপার হিট। প্রযোজকদের নির্ভরতার প্রতিক। তার কথায়, আচরণে এসেছে পরিবর্তন। দেশে নয়, বিদেশে রয়েছে তার সিনেমার কদর। ঢালিউড চলচ্চিত্র একযুগ শাসন করা নায়কে সুপারস্টার বলতেই হয়।
সুপারস্টার শাকিব খানের জন্ম ১৯৭৯ সালে। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদীতে। বাবা-মায়ের দেয়া নাম ছিল মাসুদ রানা। বাবা সরকারি কর্মচারী হওয়ায় চাকরির সুবাদে তার শৈশব কৈশোর থেকে বেড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জ জেলায়। আজকের সুপারস্টারের শৈশবের স্বপ্নের গল্পটাও ছিল আপনার আমার মতোই খুব সাধারণ। আট-দশ জনের মতোই ডাক্তার বা ইঞ্জিনিয়ার হয়ার ইচ্ছে থাকলেও শেষমেষ হয়ে গেলেন অভিনেতা।
‘অনন্ত ভালোবাসা’ সিনেমা দেখে কী কখনো মনে হয়েছিল বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে একদিন রাজত্ব করবে সেই হ্যাংলা-পাতলা ছেলেটি! এখন বাংলাদেশের সিনেমা মানেই শাকিব খান।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্রে এক চেটিয়া রাজত্ব করে যাচ্ছেন তিনি। বর্তমানে সাফল্য ও দর্শকপ্রিয়তার বিচারে শাকিব খানের ধারে-কাছেও কোনো নায়ককে পাওয়া দুস্কর। তবে একজন সাধারণ মাসুদ রানা থেকে সুপারস্টার শাকিব খান হয়ে ওঠার পথটা সহজ ছিল না। নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ শাকিব রাজত্ব করছেন এই চলচ্চিত্র অঙ্গনে। ব্যক্তিগত জীবনে শাকিব খান এক পুত্রের জনক। তবে ভেঙে গেছে তার দাম্পত্য জীবন। ২০১৯ সালের বছরের মার্চ মাসে স্ত্রী চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাসকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি।
শুরুটা হয়েছিল ১৯৯৯ সালে। পরিচালক আফতাব খান টুলুর হাত ধরে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেও শাকিব খান অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত অনন্ত ভালবাসা। অনন্ত ভালোবাসা খুব একটা সফল না হলেও নায়ক হিসেবে শাকিব সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। অভিনয় জীবনের দ্বিতীয় বছরেই সে সময়ের শীর্ষ অভিনেত্রী শাবনূরের বিপরীতে গোলাম সিনেমায় অভিনয় করে আলোচনায় আসেন তিনি। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। একে একে দুজন দুজনার, বিষে ভরা নাগিন, শিকারী, স্বপ্নের বাসর, মায়ের জেহাদ, রাঙ্গা মাস্তান, হিংসার পতন, বন্ধু যখন শত্রুর মতোন জনপ্রিয় সিনেমা।
তবে এর মাঝে দেখেছেন ব্যর্থতার রুপ ও। তবু থেমে থাকেনি তার পথ চলা। চিত্রনায়ক মান্নার মৃত্যুর পর চলচ্চিত্র যখন থমকে যাওয়ার উপক্রম, সেখানেই হুট করে জ্বলে উঠেন শাকিব। জ্বলছেন আজও। আজ ঢাকা তো কাল ভারত, মালয়েশিয়া, স্কটল্যান্ড, লন্ডন হয়ে অস্ট্রেলিয়া। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় অপ্রতিদ্বন্দ্বী পথচলা অভিযাত্রী শাকিব খানের।
তবে ২০১৬ সালে যৌথ প্রযোজনার সিনেমা শিকারি দিয়ে পর্দায় এক নতুন শাকিব খানের দেখা মেলে। চারদিকে সাড়া ফেলে তার সেই নতুন রূপ। বাংলাদেশের পাশাপাশি শাকিব ভারতের পশ্চিমবঙ্গেও হয়ে উঠেন আলোচিত। বলা যায় তারকা শাকিবের নবজন্ম ছিল সেই বছর। এরপর নবাব, শিকারী, সত্ত্বা এবং বীর সিনেমা দিয়েও হইচই ফেলে দেন শাকিব।
২২ বছরের কর্মজীবনে শাকিবের ঝুলিতে এসেছে একাধিক পুরস্কার। যার মধ্যে রয়েছে চারটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটটি মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার, তিনটি বাচসাস পুরস্কার ও চারটি সিজেএফবি পারফরম্যান্স পুরস্কার।
ভালোবাসলেই ঘর বাঁধা যায় না, খোদার পরে মা, আরো ভালোবাসবো তোমায় এবং সত্তা সিনেমার জন্য চারবার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন।
সুভা, আমার প্রাণের স্বামী, প্রিয়া আমার প্রিয়া, ও বলবো কথা বাসর ঘরে, আদরের জামাই, ডন নাম্বার ওয়ান, পূর্ণদৈর্ঘ্য প্রেম কাহিনী, রাজনীতি, চালবাজ, ভাইজান এলো রে, নাকাব ইত্যাদি তার উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
তবে শুধু সিনেমাতে অভিনয়ই নয় চলচ্চিত্র প্রযোজনা, মঞ্চ পরিবেশনা ,বিজ্ঞাপনেও রয়েছে তার বিচরণ। এছাড়াও ২০১১ সালে মনের জ্বালা চলচ্চিত্রে প্রথমবারে মতো তিনি নেপথ্য সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে গানে কন্ঠ দেন।
সাফল্য শাকিবকে এত উচ্চতায় নিয়ে গেছে যে, ভক্তরা নামে নয়, ‘সুপারস্টার’, ‘কিং খান’, ‘ঢালিউড কিং’ এইসব বিশেষণে ডাকতেই বেশি আনন্দ পান। তবে সেই সাধারণ মাসুদ রানা থেকে আজকের এই সুপারস্টার শাকিব হতে পাড়ি দিতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই। ভালোবাসা, কঠোর পরিশ্রম, আর স্বপ্নকে বাস্তব হতে দেখার জন্য ব্যর্থতার পরও কাজ করে যাওয়া এই মন্ত্রেই তিনি হয়ে উঠেছেন আজকের সুপারস্টার।
স্পেনে পাড়ি জমাচ্ছেন শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন
‘পাঠান’ ছবির শ্যুটিং এর জন্যে খুব শীঘ্রই স্পেনে পাড়ি জমাচ্ছেন শাহরুখ খান আর দীপিকা পাড়ুকোন। যশরাজ ফিল্মের ব্যানারে এই ছবির হাত ধরেই ফের রুপোলি পর্দায় জুটি বাঁধছেন শাহরুখ-দীপিকা। জানা গিয়েছে, পাঠানের একটি গানের দৃশ্যের শ্যুটিংয়ের জন্য স্পেনে পাড়ি জমাচ্ছেন শাহরুখ খান এবং দীপিকা পাড়ুকোন। সম্প্রতি, ইউরোপ থেকে এই ছবিরই এক দফা শ্যুটিং সেরে ফিরেছেন তারা।
বলিউড সিনেমাকে বিশ্বের মানচিত্রে আরও বড় করে পরিচিত দিতে স্পেনের ওই জায়গায় শ্যুটিং করবেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক সিড আনন্দ এবং প্রযোজক আদিত্য চোপড়া। কোনওভাবে ওই শ্যুটিংয়ের অংশ যাতে বাইরে আসতে না পারে, তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা।
পরিচালক বলছেন, ‘স্পেন এই ছবির একটা অংশ। ছবিটির প্রেক্ষাপট স্পেন নয়। গল্পের প্রয়োজনে একটা অংশের শ্যুটিং হবে স্পেনে। প্রকৃতির সৌন্দ্যর্য্য তুলে ধরতেই বেছে নেওয়া হয়েছে স্পেনকে। তিন মাস ধরে শ্যুটিং আটকে থাকার পর ফের পুরোদমে কাজ শুরু করা হয়েছে।’ ‘পাঠান’ ছবির শুটিংয়ের সুবাদে সেপ্টেম্বরের শেষ কিংবা অক্টোবরের শুরুর দিকে স্পেনে উড়ে যাবেন শাহরুখ-দীপিকা।
উল্লেখ্য, এর আগে বলিউডের কোনও ছবির গানের দৃশ্য স্পেনে শ্যুট করা হয়নি। ‘পাঠান’ দেখে দর্শক যাতে মুখ ফেরাতে না পারেন, সে বিষয়ে সবদিক থেকে চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও খবর।
অন্যদিকে, জানা গিয়েছে আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে চলেছে ‘বাদশাহী অ্যাকশন’ ছবির শ্যুটিং। তামিল পরিচালক অ্যাটলি কুমার-এর প্রথম হিন্দি ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন কিং খান। ছবিতে তাঁর ডাবল রোল। এই ছবিতে শাহরুখের বিপরীতে রয়েছেন জনপ্রিয় দক্ষিণী নায়িকা নয়নতারা। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় দেখা যাবে সুনীল গ্রোভার এবং সানিয়া মালহোত্রাকে
একাদশ জাতীয় সংসদের চতুর্দশ অধিবেশন আগামীকাল (বুধবার) বিকাল ৫টায় শুরু হচ্ছে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার এ অধিবেশন চলবে মাত্র চার কার্যদিবস। অধিবেশনে এবারও মানা হবে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ অধিবেশন শুরু হবে।
আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য অধ্যাপক মো. আলী আশরাফের মৃত্যুতে সংসদের প্রথম দিনের বৈঠক শোকপ্রস্তাব গ্রহণের পর মুলতবি হবে। তার আগে পাঁচ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের নাম ঘোষণা করা হবে।
চলতি সংসদের কোনো সদস্য মারা গেলে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রেওয়াজ অনুযায়ী বৈঠক মুলতবি করা হয়। তার আগে ওই সংসদ সদস্যকে শ্রদ্ধা জানিয়ে সংসদে আলোচনা হয়।
করোনাভাইরাসের কারণে এবার শুক্রবারও জাতীয় সংসদের বৈঠক বসবে। তৃতীয় দিন শুক্রবার ছুটির দিন হলেও অধিবেশন বসবে। ওই দিন বিকাল ৪টায় বসবে অধিবেশন। করোনার কারণে তাড়াতাড়ি অধিবেশন শেষ করতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে এবারও সাংবাদিকরা সেখানে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন না।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন।
এক শোক বার্তায় ড. মোমেন বলেন, নওশাদ কাইয়ুমের মৃত্যুতে আমরা একজন মেধাবী ও দক্ষ পাইলটকে হারালাম। মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সোমবার (৩০ আগস্ট) ভারতের নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স সূত্রে জানা যায়, সবকিছু ঠিক থাকলে ২ সেপ্টেম্বর ক্যাপ্টেন নওশাদ কাইয়ুমের লাশ দেশে আনা হতে পারে। কাতারের দোহা থেকে ঢাকাগামী বিমানের ফিরতি ফ্লাইটে তার লাশ ভারতের নাগপুর থেকে দেশে আনার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।
২৭ আগস্ট সকালে ওমানের মাস্কাট থেকে শতাধিক যাত্রী নিয়ে বিজি-০২২ ফ্লাইটটি নিয়ে ঢাকা আসার পথে ভারতের আকাশে থাকা অবস্থায় ক্যাপ্টেন নওশাদ অসুস্থ বোধ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই তিনি কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) কাছে ফ্লাইটটিকে জরুরি অবতরণের অনুরোধ জানান। একই সময় তিনি কো-পাইলটের কাছে ফ্লাইটের নিয়ন্ত্রণ হস্তান্তর করেন। কলকাতার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল ফ্লাইটটিকে নিকটস্থ নাগপুর বিমানবন্দরে অবতরণ করার নির্দেশ দিলে কো-পাইলট ক্যাপ্টেন মুস্তাকিম ফ্লাইটটি অবতরণ করান।
বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজটির এই ফ্লাইটে ১২৪ জন যাত্রী ছিলেন। তারা সবাই নিরাপদে ছিলেন। শুক্রবারই আরেকটি ফ্লাইটে করে আট সদস্যের একটি উদ্ধারকারী দল নাগপুরে যায়। ওইদিন মধ্যরাতের পর বিমানটিকে যাত্রীসহ ঢাকার বিমানবন্দরে নিয়ে আসা হয়।
ফ্লাইটটি অবতরণের পর ক্যাপ্টেন নওশাদকে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে ২ দিন চিকিৎসার পর অবস্থার অবনতি হলে রোববার তাকে হাসপাতালের সার্জিক্যাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (এসআইসিইউ) কোমায় নেওয়া হয়। সেখানে তাকে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়। হার্ট অ্যাটাকের পর তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বলে জানান হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
২৯ আগস্ট রাতে নাগপুরের কিংসওয়ে হাসপাতালে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ আতাউল কাইউমের দুই বোন। তারা চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে ক্যাপ্টেন নওশাদের ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা চালু রাখার পক্ষে মত দেন। তবে চিকিৎসকদের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়ে ৩০ আগস্ট বেলা ১১টার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান ক্যাপ্টেন নওশাদ।
নওশাদ ও তার ফার্স্ট অফিসারের কারণে এবার জীবন রক্ষা পেয়েছে ওমান থেকে ঢাকার উদ্দেশে আসা ১২৪ যাত্রীর। তবে এটিই প্রথম নয়, পাঁচ বছর আগে ২০১৬ সালে আরেকটি দুর্ঘটনার হাত থেকে ১৪৯ যাত্রী আর সাত ক্রু’র জীবন বাঁচিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন নওশাদ।
২০১৭ সালে ক্যাপ্টেন নওশাদকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়ে প্রশংসাপত্র পাঠায় আন্তর্জাতিক পাইলট অ্যাসোসিয়েশনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ক্যাপ্টেন
২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র সূচকে ভারতের র্যাঙ্কিং হ্রাস পেয়েছে। পররাষ্ট্র বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট কর্তৃক প্রকাশিত ডেমোক্রেসি ইনডেক্সে গত ছয় বছরে ভারত ২৬ ধাপ নেমে ২৭তম স্থানে থেকে ৫৩তম অবস্থানে চলে এসেছে।
মার্চ মাসে, ফ্রিডম হাউস ভারতকে মুক্ত থেকে আংশিকভাবে মুক্ত হিসাবে চিহ্নিত করে। ভারতের সাথে একই অবস্থানে রয়েছে ইকুয়েডর, মোজাম্বিক এবং সার্বিয়ার মতো দেশগুলো। একই মাসে, সুইডেনের ভি-ডেম (ভ্যারাইটিস অফ ডেমোক্রেসি) ইনস্টিটিউট আরও এক ধাপ এগিয়ে ঘোষণা দিয়েছিল যে, ভারত একটি নির্বাচনী গণতন্ত্র হওয়া পুরোপুরিভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। ভি-ডেম এখন ভারতকে একটি নির্বাচনী স্বৈরতন্ত্র হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করে, যার অবস্থান চীন এবং সৌদি আরবের মতো বন্ধ স্বৈরতন্ত্রের উপরে এবং জাপান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো উদার গণতান্ত্রিকতা থেকে নীচে।
গত দশকে সবচেয়ে বেশি গণতান্ত্রিক ভিত্তি হারানো দশটি দেশের ভি-ডেম তালিকায় ভারতের অবস্থান সপ্তম। এই পরিমাপের দ্বারা, তারা হাঙ্গেরি এবং তুরস্কের চেয়ে এগিয়ে কিন্তু বলিভিয়া এবং থাইল্যান্ডের চেয়েও অনেক পিছিয়ে। ভারতে ৬০ কোটিরও বেশি ভোটার ২০১৯ সালের সাধারণ নির্বাচনে ভোট দিয়েছেন। ফলে অনেকে গণতান্ত্রিক পতনের অভিযোগকে ভারতকে ছোট করার পশ্চিমা প্রচেষ্টা হিসাবে দেখছেন। মার্চ মাসে একটি মিডিয়া কনক্লেভে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছিলেন, আপনি গণতন্ত্র এবং স্বৈরতন্ত্রের দ্বিচারিতা ব্যবহার করেন। আপনি কি সত্য উত্তর চান? এটা ভন্ডামি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে জাতীয়তাবাদী অনুভূতিতে জাগ্রত ভূমিতে এ ধরনের আক্রমণাত্মক প্রতিক্রিয়া ভাল ভূমিকা রাখে।
যে কোনও ভুলের জন্য বিদেশী হাত কে দোষারোপ করার স্বাধীন ভারতের একটি ভয়াবহ ইতিহাস রয়েছে, যা মোদি সরকার দক্ষতার সাথে পুনরুজ্জীবিত করেছে এমন একটি ঐতিহ্য।
কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিভ্রান্তিকর উত্তর আসল প্রশ্নের উত্তর দেয় না: দারিদ্র্যের মধ্যে গণতন্ত্র রক্ষার জন্য ভারত দীর্ঘকাল উত্তর-উপনিবেশিক বিশ্বে বহিরাগত হিসাবে বিবেচিত হওয়ায় হঠাৎ তার উজ্জ্বলতা হারিয়েছে কেন? এর আগে মার্চে, ওয়াশিংটন ভিত্তিক গণতন্ত্রপন্থী থিংক ট্যাঙ্ক এবং ওয়াচডগ ফ্রিডম হাউস তার প্রতিবেদনে বলেছিল যে, প্রধানমন্ত্রী মোদির অধীনে ভারত কর্তৃত্ববাদের কাছাকাছি চলে আসছে বলে মনে হচ্ছে।
পদ্মা সেতুর স্প্যানে ফেরির ধাক্কা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
পদ্মা সেতুর স্প্যানে ফেরির ধাক্কার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। এ সময় সেতুমন্ত্রী আরও বলেন, এ ঘটনা ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মন্ত্রী। তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা শেখ ওয়ালিদ ফয়েজ এ তথ্য জানান।
শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে আজ ১৫ দিন ধরে (১৮ আগস্ট থেকে) ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। তাই পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে চাপ বেড়েছে। তাই শিমুলিয়া থেকে ফেরিটি পাটুরিয়া যাচ্ছিল। ফেরিটি ফাঁকা ছিল।
এর আগে আরও ৫ বার পদ্মা সেতুর খুটিতে ফেরির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় তদন্ত কমিটি হয়েছে। মাস্টর ও সুকানিকে সাময়িক বরখাস্তও করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জিয়াউর রহমান সেক্টর কমান্ডার ছিলেন ঠিক আছে।
কিন্তু তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গুলি চালিয়েছেন এমন নজির নেই। ফলে তিনি যুদ্ধ করেননি। মঙ্গলবার মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ৭৫-এর খুনি ও অপশক্তির উৎস ছিলেন জিয়াউর রহমান। ৭৫ এর খুনিদের সাথে সবসময় ছিলেন জিয়াউর রহমান। অবৈধভাবে ক্যু করে ক্ষমতা দখল করেন। বেঈমানির কারণেই মেজর থেকে পদন্নোতি পেয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দেশে শিক্ষার কোনো পরিবেশ ছিলো না। ছিলো অস্ত্রের ঝনঝনানি।
শেখ হাসিনা বলেন, মেধাবী ছাত্রদের অস্ত্র, মাদক ও অর্থ তুলে দিয়ে বিপথে নিয়ে গেছে জিয়াউর রহমান। তার স্ত্রী খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে হুমকি দিয়েছিল, আওয়ামী লীগকে মোকবিলা করতে তার ছাত্রদলই যথেষ্ট। তিনিও ছাত্রদলের হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের পায়ে পায়ে শত্রু আছে। আমাদের চলার পথ মসৃণ না, কন্টকাকীর্ণ। সে কথা মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে। পরিস্থিতি প্রতিকূল হলেও সৎ পথে থাকলে, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগুলে, সফলতা আসবেই। তবে সত্যের পথ সব সময় কঠিন থাকে। এই কঠিনকে সঙ্গে করে যারা এগিয়ে যেতে পারে, তারাই সাফল্য আনতে পারে।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ৭৫ এর পর বঙ্গবন্ধু নামটা মুছে ফেলা হয়েছে। বিকৃত ইতিহাস প্রচার করা হতো। জয় বাংলা স্লোগানও নিষিদ্ধ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও আদর্শ নিষিদ্ধ করা হয়। ভাবখানা এমন দেশ স্বাধীন হয়নি। আজকে আর বঙ্গবন্ধুর নাম মুছা যাবে না। স্বাধীনতার ইতিহাস মুছা যাবে না। বঙ্গবন্ধুর আত্মজীবনী, আমার দেখা নয়া চীন ও গোয়েন্দা ডায়েরী ৭ খণ্ডে প্রকাশ করেছি। সেখান থেকেই বাংলাদেশের ইতিহাস এবং সত্য বেরিয়ে আসে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বদৌলতেই জিয়াউর রহমান মেজর থেকে মেজর জেনারেল হয়েছিল। পাকিস্তান থাকলে সে কিন্তু মেজরই থেকে যেতো।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। পড়াশোনার পাশাপাশি দেশ ও জনগণের কাজে ছাত্রলীগকে মনোনিবেশ করারও নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী।
আগামী মাসে বাজারে আসছে চলেছে আইফোনের ত্রয়োদশ সংস্করণ।
তার আগেই আইফোন ১৩-কে ঘিরে নানা জল্পনা ছড়িয়েছে। তাতে নতুন সংযোজন করলেন অ্যাপল বিশেষজ্ঞ মিং চি কুও। তার দাবি, মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকলেও কল করা যাবে আইফোন ১৩-তে। লো-আর্থ-অরবিটের স্যাটেলাইট ফোন আনতে চলেছে অ্যাপল।
কোয়ালকম কাস্টমাইজড এক্স৬০ বেসব্যান্ড চিপ থাকতে পারে আইফোন ১৩-য়। এতে ফোরজি বা ফাইভজি নেটওয়ার্ক না থাকলেও কল করতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এর জন্য মার্কিন স্যাটেলাইট কমিউনিকেশন কোম্পানি ‘গ্লোবালস্টার’ সঙ্গে কাজ করতে হবে টেলিকম অপারেটরদের। বলা যায়, গ্লোবালস্টারের উপগ্রহ ব্যবহার করে গ্রাহকদের পরিষেবা দেবে তারা। স্মার্টফোনে স্যাটলাইন সংযোগ নিয়ে আশাবাদী অ্যাপল। এই সংক্রান্ত গবেষণাও করছে তারা।
এখনও পর্যন্ত কোনও স্মার্টফোনে স্যাটেলাইট কলের সুবিধা নেই। অ্যাপল ছাড়াও একাধিক সংস্থা এনিয়ে কাজ করছে। শোনা যাচ্ছে, ১৪ সেপ্টেম্বর আত্মপ্রকাশ করতে পারে আইফোন ১৩। চারটি মডেল থাকতে পারে। আইফোন ১৩, আইফোন ১৩ প্রো, আইফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ও আইফোন ১৩ মিনি। ডিসপ্লে মিনি ভার্সনের ৫.৪ ইঞ্চি ও প্রো ভার্সনের ৬.১ ইঞ্চি হতে পারে।
শিশুশিল্পী থেকে প্রার্থনা ফারদিন দীঘি এখন চিত্রনায়িকা।
তুমি আছো তুমি নেই ও টুঙ্গিপাড়ার মিয়াভাই নামে দুটি ছবি মুক্তি পেয়েছে তার। দুটি ছবিতেই দীঘিকে নায়কের স্ত্রীর চরিত্রেই দেখা গেছে। সামনে দীঘির নতুন বেশ কয়েকটি সিনেমার শুটিংয়ের কথা আছে তার।
ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের মুম্বাইয়ের অংশের শুটিং শেষ করেছেন চিত্রনায়িকা প্রার্থনা ফারদিন দীঘি।এরপর করোনার কারণে দীর্ঘদিন লকডাউনে ছিলেন দীঘি।
চলচ্চিত্র পর এবার দীঘিকে দেখা যাবে হিন্দি গানে মডেল হিসেবে।আর এ গানটির গানের শিরোনাম ‘হোট ও পে নাম তেরা’। সুদীপ কুমার দীপ এর কথায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন ন্যানসি ও প্রেম।
প্রথমবার মিউজিক ভিডিওতে মডেল হওয়া প্রসঙ্গে দীঘি বলেন,ক্যারিয়ারে এই প্রথম মিউজিক্যাল ফিল্মে কাজ করলাম।আসলে সিনেমা আর বিজ্ঞাপনের বাইরে এর আগে কখনও কাজ করা হয়নি। গানের কথা আর গায়কী খুবই চমৎকার হয়েছে। সবকিছু পছন্দ হওয়ায় কাজটি করি। আশা করছি, আমার ভক্তরা নিরাশ হবেন না।
মুম্বাইয়ের বহুল জনপ্রিয় অডিও ও ভিডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান টি সিরিজ-এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে হোট ও পে নাম তেরা গানটি রিলিজ হবে। যেখানে শাহরুখ খান, সালমান খানের সিনেমার গান থেকে শুরু করে বলিউডের নামীদামি শিল্পীদের গান প্রকাশিত হয়। প্রথমবারের মত বলিউডের এই শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করলেন দীঘি।পাশাপাশি গানটির ভিডিও বাংলা ভাষায়ও দেশীয় একটি ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পাবে।
মেডিকেলে প্রথমবর্ষে (২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে ওই ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ও উত্তরপত্র কেন আদালতে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল ত্রুটিপূর্ণ দাবি করে বাতিল চেয়ে ১৯৫ ভর্তিচ্ছুর করা এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ রোববার এ রুল দেন। স্বাস্থ্য সচিব, শিক্ষা সচিব ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ পাঁচ বিবাদীকে ১০ দিনের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ৪ এপ্রিল ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রথমবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। জাতীয় মেধার ভিত্তিতে সরকারি ৩৭টি মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য চার হাজার ৩৫০ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীকে নির্বাচন করা হয়। পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৪৮ হাজার ৯৭৫ শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৩৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ। ত্রুটিপূর্ণ উল্লেখ করে ওই ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন মেধা তালিকায় ভর্তি চেয়ে ৩২৪ শিক্ষার্থী ১৯ মে রিট করেন। শুনানি নিয়ে ২৭ মে হাইকোর্টের অপর একটি দ্বৈত বেঞ্চ পর্যবেক্ষণ নিয়ে রিটটি নিষ্পত্তি করে দেন।
এরপর এদের ১৯৫ শিক্ষার্থী নতুন করে ১৭ আগস্ট আরেকটি রিট করেন, যা রোববার শুনানির জন্য ওঠে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী।
আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির বলেন, ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে। প্রথম রিটে যারা আবেদনকারী ছিলেন, তাদের মধ্যে ১৯৫ জন দ্বিতীয় রিটটি করেন। কেননা আগের রিটের প্রেক্ষিতে তারা ভর্তির ফলাফলে ত্রুটি উল্লেখ করে প্রতিকার চেয়ে স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবর আবেদন করেন। স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তর ১৯৫ শিক্ষার্থীর আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন, তবে শিক্ষার্থীর ভর্তির বিষয়ে কোনো কাক্সিক্ষত প্রতিকার পাননি।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ‘শিকারি নেকড়ে’ অ্যাখা দিয়ে দেশটির কঠোর সমালোচনা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি। ডোনাল্ড ট্রাম্প আর জো বাইডেনের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
গত শুক্রবার কাবুল বিমানবন্দরের ভয়াবহ আত্মঘাতী বোমা হামলায় হতাহতের প্রতি গভীর শোক প্রকাশ করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা খামেনি। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ডের জন্যই এমন ঘটনা ঘটেছে মনে করেন তিনি।
খামেনি বলেন, আফগানিস্তানের এসব সংকট যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি, যারা দেশটিকে বিশ বছর ধরে দখলে রেখেছে ও আফগানদের ওপর নানা ধরনের জুলুম চাপিয়ে দিয়েছে। আফগানিস্তানের অগ্রগতির জন্য যুক্তরাষ্ট্র গত ২০ বছরে একটি পদক্ষেপও নেয়নি।
আফগানিস্তানের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকরা খামেনির কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র হলো নেকড়ে, মাঝে মধ্যে শেয়ালের ভূমিকা রাখে। এর অন্যতম উদাহরণ হলো, আফগানিস্তানের বর্তমান চিত্র। ট্রাম্পের সঙ্গে বাইডেনের কোনো পার্থক্য নেই। তাদের নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
আফগানিস্তান প্রসঙ্গে ইরানের নীতির কথা তুলে ধরে খামেনি বলেন, আমরা আফগান জনগণের পক্ষে রয়েছি। কারণ সরকারগুলো অতীতের মতো আসবে আর যাবে কিন্তু আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে চিরকাল থাকতে হবে সেখানকার জনগণকে।
যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী হারিকেন ‘আইডা’। এরই মধ্যে নিউ অরলিন্স শহরটির বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। শহরটিতে শুধুই জেনারেটর চলছে।
এই ঝড় শহরে আঘাত হানার সময় বাতাসের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৫০ মাইল বা ২৪০ কিলোমিটার। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে না গিয়ে শহরে রয়ে গেছেন তাদের নিরাপদে আশ্রয় নিতে বলা হয়েছে। খবর বিবিসির।
এরই মধ্যে গাছ ভেঙে পড়ে একজন মানুষের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। ২০০৫ সালে হারিকেন ক্যাটরিনার আঘাতে ১৮০০ মানুষ মারা যাওয়ার পর নিউ অরলিন্সে একটি বন্যা প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে। হারিকেন আইডার মাধ্যমে সেই ব্যবস্থার একটা পরীক্ষা হয়ে যাবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, আইডা ‘প্রাণঘাতী’ হতে পারে, উপকূলে প্রচুর ধ্বংসযজ্ঞের আশঙ্কা ব্যক্ত করেছেন তিনি।
লুইজিয়ানা রাজ্যে সাড়ে সাত লাখের বেশি মানুষ এখন বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন, বাইডেন বলছেন বিদ্যুৎ পুনঃবহাল করতে কয়েক সপ্তাহ লেগে যেতে পারে।
মেক্সিকো উপসাগর থেকে শক্তি সঞ্চয় করে আমেরিকায় আঘাত করেছে আইডা। রোববার ক্যাটাগরি-৪ হারিকেন হিসেবে এটি নিউ অরলিন্সে আঘাত করে- এই ক্যাটাগরির ঝড় ভবন, গাছপালা ও বিদ্যুৎ ব্যবস্থায় আঘাত হানে বলে আশঙ্কা করা হয়ে থাকে।
তবে এখন এটা দুর্বল হয়ে ক্যাটাগরি-৩ হারিকেনের রূপ ধারণ করেছে। কোথাও কোথাও ঝড়ের কারণে সমু্দ্রের পানি ১৬ ফুট পর্যন্ত উঠে গেছে, যার কারণে উপকূলের নিম্নভূমি প্লাবিত হয়েছে।
নিউ অরলিন্স এখন একটা ভীতিকর শহরে পরিণত হয়েছে, চারদিকে অন্ধকার, বিভিন্ন জায়গায় ধ্বংসস্তূপ পড়ে আছে, গাছপালা পড়ে আছে পথে-ঘাটে। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকাও মুশকিল হয়ে গেছে, ৭০ মাইল বেগে হাওয়ার সঙ্গে বৃষ্টি।
বেশিরভাগ মানুষ ঘরের ভেতর আশ্রয় নিয়েছে, তাদের জন্য হারিকেন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
গত বছরের ৮ মার্চ করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ার পর দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয় সরকার। এরমধ্যে কয়েকবার চেষ্টা করেও এই মহামারির কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো আর খোলা সম্ভব হয়নি। তবে এবার খুব শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা হচ্ছে- এমনটাই বক্তব্য আসছে সরকারের পক্ষ থেকে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও দ্রুত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এরপর থেকেই জোরেশোরে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন সংশ্লিষ্টরা। গত ২৪ আগস্ট শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনিও রাজধানীর একটি অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। খুব শিগগিরই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
এদিকে রোববার দুপুরের দিকে সদর উপজেলার গড়পাড়া শুভ্র সেন্টারে উপজেলা যুবলীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার ব্যাপারে তাগিদ দিচ্ছেন। দেড় বছর ধরে স্কুল-কলেজ বন্ধ রয়েছে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের টিকা দিয়েই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, মেডিকেল সাইডে লেখাপড়া কিন্তু কখনোই বন্ধ হয়নি। ইতোমধ্যে আমরা এমবিবিএস প্রথম বর্ষের পরীক্ষা নিয়েছি। দ্বিতীয় বর্ষের পরীক্ষারও ব্যবস্থা হয়ে গেছে। এ ছাড়া ৫ম বর্ষের পরীক্ষা চলমান রয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী প্রতিবেশী ভারতসহ ইউরোপের বিভিন্ন রাষ্ট্রের সঙ্গে তুলনা করে বলেন, ওই সব দেশের সরকার করোনা নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের মতো দেশ করোনার টিকার ব্যবস্থা করতে পারেনি। পক্ষান্তরে আমাদের ছোট দেশে প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় খুব সুষ্ঠুভাবে আমরা করোনা মোকাবিলা করে যাচ্ছি। করোনা পরীক্ষার একটি ল্যাব থেকে এখন দেশে সাড়ে ৭০০ ল্যাব হয়েছে। দেশের মানুষ করোনা পরীক্ষা করতে পারছে। রাস্তাঘাটে পড়ে কেউ মারা যায়নি। হাসপাতালে পর্যাপ্ত বেড রয়েছে। সেখানে ওষুধপত্রসহ সব কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। চলমান এই ছুটি আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে গত ২৬ আগস্ট। সে অনুযায়ী, আগামী ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলমান ছুটি অব্যাহত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কক্সবাজার হবে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ সমুদ্র সৈকত এবং পর্যটন কেন্দ্র। ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ সম্ভাবনাময়। তাই বাংলাদেশকে সারা বিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চাই।
রোববার গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধনকালে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, সার্বিকভাবে ভৌগলিক অবস্থানটাকে সামনে রেখে সারাবিশ্বের সঙ্গে যোগাযোগের একটা কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে চাই আমাদের দেশটাকে। তাতে আর্থিকভাবেও আমাদের দেশ অনেক বেশি লাভবান হবে।
বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ বিশ্ব যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু হলেও আগামীতে বাংলাদেশ সেই কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে।
কক্সবাজার ঘিরে সরকারের পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক চিন্তা ও পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে এবং কক্সবাজার নিয়ে তো আরও বেশি। কক্সবাজার হবে বিশ্বে সর্বশ্রেষ্ঠ সি বিচ এবং পর্যটন কেন্দ্র এবং অত্যন্ত আধুনিক শহর। সেইভাবে পুরো কক্সবাজারটাকে আমরা উন্নত-সমৃদ্ধ করব।
তিনি বলেন, দেশে প্রথমবারের মতো আধুনিক প্রযুক্তি দিয়ে এই যে জলভাগের ওপর আমরা একটা রানওয়ে নির্মাণ করছি সেটাও দৃষ্টিনন্দন হবে এবং অনেকে এটা দেখতে যাবে। তিনি জলভাগের ওপর এই রানওয়ে নির্মাণের সাহস নিয়ে কাজ শুরু করতে যাওয়া সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানান।
যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন রুটে বিমানের ফ্লাইট চালুর পরিকল্পনার কথা জানান সরকার প্রধান।
বিমানের সেবা বাড়াতে এবং এর আধুনিকায়নে সংশ্লিষ্টদের সততা এবং দক্ষতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই রানওয়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে আমি মনে করি‑ যে ওয়াদা জনগণের কাছে দিয়েছিলাম সেখানে আরও একটা ধাপ আমরা এগিয়ে যাচ্ছি।
জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া সরকারের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ২১টা বছর এদেশের মানুষের জীবনের কোনো উন্নয়নের দিকে যারা ক্ষমতায় এসেছিল তারা তাকায়নি।
ক্ষমতা তাদের কাছে ভোগের বস্তু ছিল, লুটপাটের জায়গা ছিল। নিজেদের আগের গোছানোর ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ যে অবহেলিত সেই অবহেলিত থেকে যায়। বাংলাদেশ যতটুকু জাতির পিতা করে গিয়েছিলেন তার থেকেও পেছনে নিয়ে যাওয়া হয়।
রোববার সকালে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সিংয়ের মাধ্যমে কক্সবাজার বিমানবন্দরের রানওয়ে সম্প্রসারণ কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে স্বপ্ন দেখেছিলেন ১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট তাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যার পর সেই স্বপ্ন অপূর্ণ রয়ে যায়।
কক্সবাজার বিমানবন্দর প্রান্ত থেকে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মো. মাহবুব আলী, মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল এম মফিদুর রহমান অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
বিমান বাহিনী প্রধান শেখ আব্দুল হান্নানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যারা পরবর্তীতে ক্ষমতায় আসে তারা তো অনেক বড় বড় কথা বলেই এসেছিল। জাতির পিতার প্রতি অনেক কুৎসা রটনা করেছিল এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের সব চেতনাগুলো নষ্ট করেছিল। তারা তো দেশের উন্নয়নে কাজ করেনি। কারণ তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসই করত না। জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া এরা কেউই বাংলাদেশের স্বাধীনতায়ও বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের উন্নতিতেও বিশ্বাস করে না। তাই যদি করত তাহলে ১২ বছরের মধ্যে আমরা যেটা করতে পেরেছি, ২১ বছরে তারা তা করতে পারত, করেনি। কারণ তারা করবে না।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, জাতির পিতা একটা স্বপ্ন নিয়েই এই দেশকে গড়তে চেয়েছিলেন। তার স্বাধীনতা অর্জনের পেছনে লক্ষ্যই ছিল বাংলাদেশটা উন্নত, সমৃদ্ধ হবে এবং বিশ্বের বুকে মর্যাদার সাথে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর মাত্র সাড়ে ৩ বছর তিনি সময় পেয়েছিলেন। হাতে সময় ছিল না, সময়ই দেয়নি। কিন্তু এই সাড়ে তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে একটা স্বল্পোন্নত রাষ্ট্র হিসেবে তিনি প্রতিষ্ঠা করে দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপরে যারা অবৈভভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে এবং মার্শাল ল জারি করে ক্ষমতা দখল করে, একের পর এক ছিল ক্ষমতা দখলের পালা। ২১টা বছর এদেশের মানুষের জীবন থেকে হারিয়ে যায়।
দেশের ব্যাংক ও শেয়ার মার্কেট আগামীকাল (সোমবার) বন্ধ থাকবে। ফলে এদিন ব্যাংক ও শেয়ার মার্কেটে কোনো লেনদেন হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ছুটির বিষয়টি জানিয়েছে।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠান জন্মাষ্টমী উপলক্ষে সোমবার সরকারি ছুটি রয়েছে। তবে মঙ্গলবার থেকে ব্যাংক ও শেয়ার মার্কেটে আবারও স্বাভাবিক লেনদেন চলবে।
পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ কোনটি, জানতে চাইলে অনেকেই হয়তো বলবেন গ্রিনল্যান্ডের কথা।
কিন্তু গ্রিনল্যান্ড আসলে আর্কটিক অঞ্চলে বিশাল এক স্বায়ত্তশাসিত এলাকা। ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন এই এলাকায় রয়েছে অনেকগুলো দ্বীপ। এরই একটি দ্বীপকে পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন বিজ্ঞানীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি জানায়, বিজ্ঞানীরা এত দিন জানতেন, বিশ্বের সর্ব উত্তরের দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের ওদাক দ্বীপ। ১৯৭৮ সালে এই দ্বীপের সন্ধান পাওয়া যায়। গত জুলাইয়ে এক দল গবেষক ওই দ্বীপ থেকে নমুনা সংগ্রহের উদ্দেশে রওনা হন। ওই অভিযানে তাঁরা আবিষ্কার করে বসেন একেবারেই নতুন একটি দ্বীপ, যেখানে এর আগে মানুষের পা পড়েনি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, দ্বীপটি উত্তর মেরুর সবচেয়ে নিকটবর্তী ভূখণ্ড। এটি দৈর্ঘ্যে ৬০ মিটার, প্রস্থে ৩০ মিটার।
ডেনমার্ক ও সুইজারল্যান্ডের এক দল গবেষক দ্বীপটি আবিষ্কার করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, তাঁরা ওদাক দ্বীপ থেকে নমুনা সংগ্রহ করতে গিয়েছিলেন। অবস্থানের হিসাব অনুযায়ী জায়গামতো পৌঁছে তাঁরা হেলিকপ্টার অবতরণ করান। কিন্তু কর্দমাক্ত সেই দ্বীপের সঙ্গে ওদাক দ্বীপের মিল খুঁজে পাচ্ছিলেন না গবেষকেরা। এই অবস্থায় তাঁরা আর্কটিক অঞ্চলে ডেনমার্কের নিয়ন্ত্রণাধীন এলাকার অবস্থান চিহ্নিতকরণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে থাকা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এ সময় তাঁরা জানতে পারেন, ওদাক দ্বীপ থেকে আরও ৮০০ মিটার উত্তরে চলে গেছেন তাঁরা।
ইউনিভার্সিটি অব কোপেনহেগেনের গ্রিনল্যান্ডে অবস্থিত আর্কটিক স্টেশনের প্রধান গবেষক মর্টেন রাশখ বলেন, ‘ওদাক দ্বীপটি এত দিন পৃথিবীর সর্ব উত্তরের দ্বীপ হিসেবে পরিচিত ছিল। আমরা ছয়জন একটা হেলিকপ্টারে চেপে রওনা হয়েছিলাম। কিন্তু মানচিত্র অনুযায়ী ওদাক দ্বীপের অবস্থানে পৌঁছানোর পরও দ্বীপটি খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
মর্টেন রাশখ বলেন, ‘উত্তেজনাকর কয়েক মিনিট পার করার পর আমরা অদ্ভুত এক জমিতে নামলাম, যা ছিল নুড়িপাথর আর কাদায় পরিপূর্ণ। দ্বীপটির চারপাশ ঘিরে শুধু বরফ আর বরফ। মোটেই অনুকূল কোনো পরিবেশ নয় সেটি। সেখান থেকে ফিরে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা শেষে আমরা এখন উপলব্ধি করতে পেরেছি, আমরা আসলে দুর্ঘটনাবশত বিশ্বের সর্ব উত্তরের দ্বীপটি আবিষ্কার করেছি।
ইতালির উপকূল থেকে পাঁচ শতাধিক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করেছে দেশটির কোস্টগার্ড। আজ রোববার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।
গতকাল শনিবার ইতালির লামপেদুসা দ্বীপের কাছ থেকে ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীদের উদ্ধার করা হয় বলে জানায় কর্তৃপক্ষ। উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মোট সংখ্যা ৫৩৯। তাদের মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।
ইতালির কর্তৃপক্ষের ভাষ্যমতে, ওই অভিবাসনপ্রত্যাশীরা একটি জরাজীর্ণ মাছ ধরার নৌকায় ছিল। তারা সাগরপথ পাড়ি দিয়ে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছিল।
উদ্ধারের পর অভিবাসনপ্রত্যাশীদের লামপেদুসা দ্বীপে আনা হয়। এ কাজে ইতালির কোস্টগার্ড ও অর্থসংক্রান্ত অপরাধ পুলিশের নৌযান সহায়তা করে।
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে গতকাল ইতালির উপকূল থেকে এক দিনে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক অভিবাসনপ্রত্যাশীকে উদ্ধার করা হলো।
লামপেদুসা দ্বীপের মেয়র তোতো মার্তেল্লো বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন উদ্ধার অভিযানের মাধ্যমে যত অভিবাসনপ্রত্যাশীকে এই দ্বীপে আনা হয়েছে, তার মধ্যে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক লোককে গতকাল আনা হয়েছে।
সাগর পাড়ি দিয়ে ইউরোপে ঢুকতে আগ্রহী অভিবাসনপ্রত্যাশীদের অন্যতম একটি গন্তব্যস্থল ইতালির লামপেদুসা দ্বীপ।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য এই দ্বীপে আশ্রয়শিবির আছে। এই আশ্রয়শিবিরের ধারণক্ষমতা ৩০০ জন। কিন্তু সেখানে পাঁচ গুণ বেশি অভিবাসনপ্রত্যাশী আছে।
ডক্টরস উইদাউট বর্ডারসের এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, গতকাল যেসব অভিবাসনপ্রত্যাশী উদ্ধার হয়েছে, তাদের মধ্যে কিছুসংখ্যক সহিংসতার শিকার হয়েছে। ইউরোপে আসতে লিবিয়ায় নৌকার জন্য অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় তারা সহিংসতার শিকার হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
উদ্ধার হওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে লিবিয়ায় ঠিক কী হয়েছে, তা খতিয়ে দেখছেন ইতালির তদন্তকারীরা।
ওমানের মুদ্রা নিয়ে অভিনব কায়দায় প্রতারণার অভিযোগে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।
গতকাল শনিবার কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে ওই দুই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।এ তথ্য জানান পিবিআইয়ের ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার খোরশেদ আলম।
গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির কাছ থেকে বৈদেশিক মুদ্রা জব্দ করা হয়েছে বলে পিবিআই জানায়। তবে গ্রেপ্তার হওয়া দুই ব্যক্তির নাম-পরিচয়সহ এ-সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে জানায়নি পিবিআই।
খোরশেদ আলম বলেন, ওমানের মুদ্রা নিয়ে একটি সংঘবদ্ধ চক্র দীর্ঘদিন থেকে প্রতারণা করে আসছিল।
খোরশেদ আলম আরও বলেন, চক্রটি ওমানি মুদ্রা নিয়ে প্রলোভনের ফাঁদ পাতত। তারা সহজ-সরল মানুষকে এই ফাঁদে ফেলে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।
Edited By: Farhana Zerin
ওয়েবসাইটে তথ্য বদলে দিয়ে রিমতিকে এসএসসি পাশ করালেন তারা
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটের তথ্য পরিবর্তন করে জাল সনদ তৈরির অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ । গতকাল শুক্রবার রাজধানীর মোহাম্মদপুর, রমনা ও চকবাজার এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি বলছে, এই চক্রের সদস্যরা প্রথমে ঢাকা বোর্ডসহ অন্যান্য শিক্ষা বোর্ডের বিভিন্ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের তথ্য পরিবর্তন করে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের তথ্য সংযোজন করে। তারপর জাল সনদ তৈরির মাধ্যমে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নেয়।
গ্রেপ্তার সাতজন হলেন- নূর রিমতি, জামাল হোসেন, এ কে এম মোস্তফা কামাল, মো. মারুফ, ফারুক আহম্মেদ স্বপন, মাহবুব আলম ও মো. আবেদ আলী।
চক্রের সাত সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে এই চক্রের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানান ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
হাফিজ আক্তার বলেন, গ্রেপ্তার নূর রিমতি ২০১৯ সালে রাজধানীর সিটি মডেল কলেজ থেকে এসএসসি পরীক্ষায় নিয়ে অকৃতকার্য হন। ইতালি যেতে এসএসসি পাশের সার্টিফিকেট প্রয়োজন। এ কারণে জাল সনদ তৈরি করতে তার মামা জামাল হোসেন তিন লাখ টাকায় এ কে এম মোস্তফা কামালের সঙ্গে চুক্তি করেন।
মোস্তফা কামাল শিক্ষা বোর্ডের দালাল মো. মারুফ, মাহবুব আলম, ফারুক আহম্মেদ স্বপন এবং আবেদ আলীর মাধ্যমে নূর তাবাসসুম নামে এক শিক্ষার্থীর জেএসসি এবং এসএসসি পাসের সব তথ্য সংগ্রহ করেন। তারপর নূর তাবাসসুমের জায়গায় নূর রিমতির সব তথ্য সংযোজন করতে শিক্ষা বোর্ডের নির্ধারিত ফরমেটে আবেদন করেন।
চক্রের সদস্যরা বোর্ডের ওয়েবসাইটের ফলাফল আর্কাইভে সংরক্ষিত কৃতকার্য শিক্ষার্থী নূর তাবাসসুমের তথ্য পরিবর্তন করে অকৃতকার্য শিক্ষার্থী নুর রিমতির তথ্য আপলোড করে জাল সনদ তৈরি করে। তথ্য পরিবর্তনের পর শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে নূর তাবাসসুমের জায়গায় নূর রিমতির তথ্য প্রদর্শিত হয়।
এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ভুক্তভোগী নূর তাবাসসুম সুলতানা ২০১৯ সালে ধানমন্ডি কামরুননেছা গভঃ গার্লস হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন। গত ২১ আগস্ট শিক্ষা বোর্ডে দেওয়া মোবাইল নম্বরে জরুরি প্রয়োজনে যোগাযোগ করার জন্য একটি খুদে বার্তা আসে। ওই বার্তায় তার রোল ও রেজিস্ট্রেশন নম্বর ঠিক থাকলেও নিজের নাম ও পিতা-মাতার নামসহ জন্ম তারিখ পরিবর্তিত দেখতে পায়।
তখন তারা স্কুল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে ঢাকা শিক্ষা বোর্ডে যোগাযোগ করে পরিবর্তনের বিষয়টি জানতে পারেন। এ ঘটনায় ধানমন্ডি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করেন তিনি। ওই মামলার তদন্তে এই চক্রের সদস্যদের শনাক্ত করে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। নূর তাবাসসুমের মতো কেউ যদি ভুক্তভোগী হয়ে থাকেন, তবে ডিবির সঙ্গে যোগাযোগ করার অনুরোধ জানান তিনি।
Edited By: Farhana Zerin
রোনালদোর ঘরে ফেরার দিনে তাঁর বান্ধবী খোঁচালেন রিয়াল কোচকে
ঘরে অর্থাৎ ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ইংল্যান্ডের এই ক্লাবের হয়েই প্রথম বিশ্বসেরা হওয়ার স্বাদ পেয়েছিলেন তিনি। প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগও জিতেছেন ওল্ড ট্র্যাফোর্ডের ক্লাবটির হয়ে। স্বাভাবিকভাবেই রোনালদোর এই ঘরে ফেরা উদ্যাপন করছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা। রোনালদোর প্রেমিকা জর্জিনা রদ্রিগেজ এই খুশিতে রিয়াল মাদ্রিদ কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে খোঁচা মারার লোভ সামলাতে পারলেন না।
কাল রোনালদোর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফেরার খবর নিজেদের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম এল চিরিঙ্গিতো টিভি। ঘরে স্বাগতম—লিখে পোস্টটি করে তারা। সেখানে জর্জিনা রদ্রিগেজের মন্তব্য, আশা করি আনচলেত্তি এখন যেন এটাও অস্বীকার না করে। মন্তব্যের শেষে হাসির ইমোজি।
জর্জিনার এমন মন্তব্যের পটভূমি রয়েছে। পর্তুগিজ তারকার দলবদল নিয়ে নাটক তো কম হলো না! গত সপ্তাহেও স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমে হঠাৎ জোর আলোচনা শুরু হলো, রোনালদোকে ফেরাতে চান এই মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদে কোচ হয়ে ফেরা আনচেলত্তি।
এ নিয়ে জল্পনা–কল্পনা শুরু হলে রিয়াল কোচ আনচেলত্তি বাধ্য হয়ে টুইট করেন, ক্রিস্টিয়ানো রিয়াল মাদ্রিদ কিংবদন্তি। তাঁর প্রতি আমার ভালোবাসা ও সম্মান আছে। তাঁকে কখনো সই করানোর কথা ভাবিনি। আমরা ভবিষ্যতের দিকে তাকাচ্ছি। সংবাদমাধ্যম চিরিঙ্গিতো তাদের ইনস্টাগ্রাম একাউন্টে আনচেলত্তির এই টুইটের ছবি দিলে রোনালদো প্রেমিকা জর্জিনা সেখানে মন্তব্যের ঘরে লেখেন, হা হা হা হা…।
এবার রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগ দেওয়ার পর আনচেলত্তির সঙ্গে মজা করার লোভ সামলাতে পারলেন না জর্জিনা। রোনালদো রিয়ালে থাকার সময়ে আনচেলত্তি যখন কোচ ছিলেন, তখন কিন্তু ইতালিয়ান এই কিংবদন্তি কোচের সঙ্গে দারুণ সম্পর্ক ছিল রোনালদোর।
তবে ৩৬ বছর বয়সী রোনালদোর পিছু ছোটা অস্বীকার করে আনচেলত্তির ভবিষ্যতে তাকানোর কথাটা জর্জিনার সম্ভবত ভালো লাগেনি। হাজার হোক রোনালদো এখনো বিশ্বসেরা খেলোয়াড়দের একজন।
কাল রোনালদোর দলবদল নিয়ে ভীষণ নাটকীয়তা চলেছে। শুরুতে খবর বেরোয়, রোনালদোর ম্যানচেস্টার সিটিতে যোগ দেওয়া মোটামুটি নিশ্চিত। বেশ কিছু সংবাদমাধ্যম খবরটি নিশ্চিতও করে ফেলেছিল।
কিন্তু বাংলাদেশ সময় বিকেল থেকে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পাশার দান পুরো ১৮০ ডিগ্রি উল্টে যায়। রোনালদো ম্যানচেস্টারে গেলেন ঠিকই, তবে সেটি নীল অংশ নয়, লাল অংশে—ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে।
ক্লাবটি বিবৃতিতে লিখেছে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড আনন্দের সঙ্গে নিশ্চিত করছে যে, ব্যক্তিগত চুক্তি, ভিসা ও স্বাস্থ্যপরীক্ষা সফলভাবে শেষ করার শর্তসাপেক্ষে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর দলবদলের জন্য আমাদের ক্লাব জুভেন্টাসের সঙ্গে সমঝোতায় পৌঁছেছে। ক্লাবের অফিশিয়াল একাউন্টে লেখা হয়, ঘরে স্বাগতম, ক্রিস্টিয়ানো।
Edited By: Farhana Zerin
শরৎকালেও গ্রীষ্মকালের গরম
এখন শরৎকাল। এই সময়ে আকাশে সাদা মেঘের ওড়াউড়ি আর দমকা হাওয়া থাকার কথা। কিন্তু ঢাকায় এখন গ্রীষ্মকালের মতো ঠা ঠা রোদ আর রাতে ভ্যাপসা গরম। মৌসুমি বায়ু এখনো বিদায় নেয়নি। তাই মাঝেমধ্যে বৃষ্টি হচ্ছে। তাতে শহরের উষ্ণতা কিছুটা কমছে, কিন্তু বৃষ্টি শেষে আবারও সেই অস্বস্তিকর আবহাওয়া।
আগস্টে দেশের পাঁচটি প্রধান শহরে দিনে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যেখানে থাকার কথা ৩২ থেকে ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, সেখানে থাকছে ৩৪ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টিতে তাপমাত্রার খুব বেশি হেরফের হয়নি। গত এপ্রিল থেকে এই সময় পর্যন্ত দিনের বেলা গ্রীষ্মের সময়ের তাপমাত্রাই পরিলক্ষিত হচ্ছে।
বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট—এই পাঁচ প্রধান শহরের তাপমাত্রার পরিবর্তন নিয়ে একটি গবেষণা করেছে। তাতে দেখা গেছে, বর্ষা মৌসুমেও রাজধানীসহ এই শহরগুলোর দিনের তাপমাত্রা গ্রীষ্মকালের মতো উত্তপ্ত থাকে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম শহর থেকে দিনের বেলা শীতকাল হারিয়েই গেছে। এই দুই শহরে শীতকালে দিনের বেলা শরৎকালের মতো আধা উষ্ণ তাপমাত্রা থাকছে। গত ১৬ বছরে ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা ও সিলেটের তাপমাত্রা বেড়েছে। এর মধ্যে ঢাকায় গড়ে ৩ ডিগ্রি আর চট্টগ্রামে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা বেড়েছে।
বাংলাদেশে ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সময়কে শীতকাল ধরা হয়। এই সময়ে ঢাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থাকার কথা। চট্টগ্রামে ১৩ থেকে ১৬ ডিগ্রি। শীতে কোনো এলাকার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামলে সেখানে শৈত্যপ্রবাহ হচ্ছে বলে বলা হয়। দেশের বেশির ভাগ এলাকায় শীতকালে ছয় থেকে দশটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যায়। এই দুই শহরে গত পাঁচ বছরে শৈত্যপ্রবাহ হয়নি। শীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৫ থেকে ১৮ ডিগ্রি থাকছে।
রাজধানীর মোহাম্মদপুরের আদাবরের বাসিন্দা আবদুর রহমান গরমের উত্তাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি পেতে শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্র লাগিয়েছেন। তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়ায় একসময়ের বিলাসী পণ্য এসি এখন আর সেই তালিকায়ও থাকছে না।
গবেষণা দলের দলনেতা ও কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আশরাফ দেওয়ান বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনায় শুধু বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। কিন্তু এই তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে বড় শহরগুলোর অভ্যন্তরীণ কারণে বেড়ে যাওয়া তাপমাত্রা যোগ হচ্ছে না। ঢাকাসহ দেশের বড় শহরগুলো ধীরে ধীরে অসহনীয় হয়ে উঠছে। পরিকল্পিত বৃক্ষরোপণ ও জলাভূমি না করতে পারলে এই শহরগুলোকে বসবাসের উপযোগী রাখা যাবে না।
চলতি মাসে প্রকাশিত বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞানীদের প্যানেল-আইপিসিসির ষষ্ঠ মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৩০০ বছরে বিশ্বের তাপমাত্রা গড়ে ১ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়েছে। এই শতাব্দীর মধ্যে তাপমাত্রা দেড় ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি যাতে না বাড়ে, সে ব্যাপারে প্যারিস চুক্তির আওতায় বিশ্বের রাষ্ট্রগুলো কাজ করছে। অথচ ঢাকাসহ দেশের প্রধান পাঁচটি শহরের তাপমাত্রা গত ১৬ বছরে ৩০০ বছরের বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির তুলনায় অনেক বেশি।
ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী ও সিলেট বিভাগের ২০০৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তাপমাত্রা কতটা বেড়েছে, তা বিশ্লেষণ করে গবেষণাটি করা হয়েছে। বৈশ্বিক তাপমাত্রা বৃদ্ধির সঙ্গে এসব শহরে অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে উষ্ণতা বেড়ে যাওয়ায় ঋতুচক্রের এ পরিবর্তন ঘটছে বলে গবেষণাটিতে বেরিয়ে এসেছে। চলতি মাসে বিজ্ঞান সাময়িকী সায়েন্স ডাইরেক্ট গবেষণাটির ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে।
গবেষণার জন্য ২০০৩ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত প্রতিদিনের চারটি সময়ের তাপমাত্রা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। ওই পাঁচ শহরের সকাল সাড়ে ১০টা, বেলা দেড়টা আর রাত সাড়ে দশটা ও দেড়টার তাপমাত্রা স্যাটেলাইট থেকে চিত্র ও তথ্য–উপাত্ত নিয়ে বিশ্লেষণ করা হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, ওই পাঁচ নগরে শীতের সময়ে রাতে ও দিনের তাপমাত্রায় খুব বেশি পার্থক্য থাকছে না। ফলে গরম কাপড় কম পড়তে হচ্ছে। ঘরে বেশির ভাগ সময় বৈদ্যুতিক পাখা ব্যবহার করতে হচ্ছে। শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে। এতে নগরবাসীর ব্যয় ও বিদ্যুৎ খরচ বেড়েছে। আর বিদ্যুৎ ব্যবহারে বেড়ে গেছে কার্বন নিঃসরণের পরিমাণও।
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকার নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের বিদ্যমান জলাভূমি ও সবুজ এলাকা রক্ষা, রাজধানীর খালগুলো দখলমুক্ত করে সবুজায়ন এবং বাড়ির ছাদে বাগান করলে ১০ শতাংশ গৃহ কর মওকুফ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। মেয়রের আশা, এতে রাজধানীর তাপমাত্রা বৃদ্ধির হার কমে আসবে।
অবশ্য বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৯৯৯ সালে ঢাকা শহরের ৬৫ ভাগ কংক্রিট বা অবকাঠামোতে আচ্ছাদিত ছিল। ২০১৯ সালে তা বেড়ে হয় প্রায় ৮২ ভাগ। এই সময়ে জলাশয় ও খোলা জায়গা প্রায় ১৪ ভাগ থেকে কমে ৫ ভাগের নিচে নেমেছে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের শিক্ষক আদিল মুহাম্মদ খান বলেন, ঢাকা বিশ্বের বসবাসের অযোগ্য নগরগুলোর শীর্ষে থাকছে। চট্টগ্রামসহ অন্য বড় শহরগুলোতেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। এভাবে বেশি দিন চলতে থাকলে দেশের বেশির ভাগ বড় শহর ঢাকার মতো বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠবে।
Edited By : Farhana Zerin
মিরপুরে গ্যাসলাইনে বিস্ফোরণ: দগ্ধ আরও দুজনের মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরে গ্যাসলাইন বিস্ফোরণে দগ্ধ আরও দুজন মারা গেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই দুজন মারা যান।
সর্বশেষ মারা যাওয়া দুজন হলেন শফিকুল ইসলাম (৩৫) ও সুমন (৪০)। এই দুজনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়ে পল্লবী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান প্রথম আলোকে বলেন, শফিকুলের শরীরের ৮৫ শতাংশ ও সুমনের ৪৫ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
একই ঘটনায় দগ্ধ রিনা বেগম (৫০) গতকাল রাত ১০টার দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর শরীরের ৭০ শতাংশ পুড়ে গিয়েছিল।
এ নিয়ে এ ঘটনায় মোট তিনজন মারা গেলেন। মারা যাওয়া রিনা বেগম ভবনমালিক ফুল মিয়ার দ্বিতীয় স্ত্রী। মারা যাওয়া শফিকুল হলেন রিনা বেগমের ছেলে। মারা যাওয়া অপর ব্যক্তি সুমন হলেন গ্যাসমিস্ত্রি।
এ ঘটনায় দগ্ধ অন্যরা হলেন ফুল মিয়ার প্রথম স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৭০), ভবনের নিচতলার ভাড়াটে রেনু বেগম (৩৫), পাশের বাসার বাসিন্দা নাজনীন (২৫) ও তাঁর মেয়ে নওশীন (৫)। সবাই শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, রওশন আরা বেগমের শরীরের ৮৫ শতাংশ, রেনু বেগমের ৩৮ শতাংশ, নাজনীনের ২৭ শতাংশ ও শিশু নওশীনের শরীরের ২৭ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।
ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক পার্থ শংকর পাল প্রথম আলোকে বলেছেন, দগ্ধ ব্যক্তিদের সবার শ্বাসনালি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় কেউ শঙ্কামুক্ত নন। তাঁদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
গত বুধবার রাত ১১টার দিকে মিরপুর-১১ নম্বরের সি-ব্লকের ১১ নম্বর রোডের ছয়তলা বাড়ির গ্যাসলাইন মেরামত করার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে নারী, শিশুসহ মোট সাতজন দগ্ধ হন।
ভবনমালিকের ছেলে রফিকুল ইসলামের ভাষ্য, কয়েক দিন ধরেই বাসার গ্যাসের লাইনে সমস্যা হচ্ছিল। বেশ কয়েকবার মিস্ত্রি ডেকে মেরামত করা হলেও গ্যাসলাইন পুরোপুরি ঠিক হয়নি। এ কারণে বুধবার রাতে মিস্ত্রি সুমন গ্যাস-সংযোগ মেরামত করতে আসেন। মেরামত শেষে লাইন পরীক্ষা করতে নিচতলার চুলা জ্বালালে বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় চারপাশে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
Edit By : Farhana Zerin
কাবুলে ১৫ বাংলাদেশি অক্ষত, ফিরে গেছেন আবাসস্থলে
আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় সেখানে আটকে থাকা ১৫ বাংলাদেশি অক্ষত আছেন। সুস্থ আছেন। এ ঘটনার পর তাঁরা বিমানবন্দর এলাকা থেকে যে যাঁর আবাসস্থলে চলে গেছেন। তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীও নিজ নিজ আবাসে ফিরে গেছেন।
জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার ব্যবস্থাপনায় একটি বিশেষ ফ্লাইটে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৫ বাংলাদেশির দেশে আসার কথা ছিল। তাঁদের সঙ্গে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ জন আফগান শিক্ষার্থীরও বাংলাদেশে আসার কথা ছিল। গত বুধবার দুপুর থেকে তাঁরা কাবুলের হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন। গতকাল সন্ধ্যায় কাবুলে হামিদ কারজাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের পর রাতে তাঁরা নিজ নিজ আবাসস্থলে ফিরে যান।
কাবুলের স্থানীয় সময় সন্ধ্যার দিকে বিমানবন্দরের আবে গেটের অদূরে প্রথম বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। দ্বিতীয় বিস্ফোরণ ঘটে কিছুটা দূরে ব্যারন হোটেলের কাছে। হামলায় অন্তত ৯০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫০ জনের বেশি। হতাহত ব্যক্তিদের মধ্যে মার্কিন সেনা ও বেসামরিক আফগান নারী-শিশু রয়েছে।
১৫ বাংলাদেশির একজন রাজীব বিন ইসলাম গতকাল দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বুধবার বেলা দুইটা থেকে আমরা বিমানবন্দরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলাম। আমরা বিমানবন্দরের গেটের বাইরে ছিলাম। সন্ধ্যার দিকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। তবে আমরা সবাই সুস্থ আছি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা বাংলাদেশিরা গত রাতে যে যার আবাসস্থলে চলে গেছি।
রাজীব বিন ইসলাম আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় মোবাইল অপারেটর ওয়্যারলেসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে তাঁরা আবার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। কর্তৃপক্ষ পরবর্তী সময়ে যখন তাঁদের বিমানবন্দরে আসতে বলবে, তখন তাঁরা আসবেন।
রাজীব জানান, গত মঙ্গলবার তাঁদের দেশের উদ্দেশে যাত্রার কথা ছিল। কিন্তু তখন অনুমতি না পাওয়ায় কাবুল বিমানবন্দরের উদ্দেশে যাত্রা করেও মাঝপথে তাঁদের ফিরে যেতে হয়েছিল। পরে বুধবার বিমানবন্দরে এসে তাঁরা জানতে পারেন, বৃহস্পতিবার তাঁদের জন্য অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার জেরে তাঁরা দ্বিতীয় দফার চেষ্টাতেও দেশে ফিরতে পারলেন না।
আটকে পড়া এই বাংলাদেশিদের দেশে ফেরানোর বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন গতকাল বিকেলে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। সেখানকার পরিস্থিতি এখনো ঘোলাটে।
অন্যদিকে চট্টগ্রামের এশিয়ান ইউনিভার্সিটি ফর উইমেনের ১৬০ শিক্ষার্থী আফগানিস্তানে ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। তালেবান দেশটির ক্ষমতা দখলের পর তাঁরা আটকে পড়েন।
এর আগে গত রোববার আফগানিস্তানে আটকে পড়া ২৯ বাংলাদেশির মধ্যে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে কর্মরত ফারুক হোসেন ও মহিউদ্দিন যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবাহিনীর একটি ফ্লাইটে কাবুল থেকে কাতারে যান। একই দিনে ব্র্যাক ইন্টারন্যাশনালের তিন কর্মকর্তাকে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে কাবুল থেকে কাজাখস্তানের রাজধানী নুর সুলতানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।
মুক্তিপণের টাকা আনতে গিয়ে জনতার হাতে এএসপিসহ আটক ৩
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় গতকাল মঙ্গলবার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) রংপুরের তিন সদস্যকে আটক করে জনতা থানায় সোপর্দ করেছেন। তাদের মধ্যে সিআইডির একজন সহকারী পুলিশ সুপারও (এএসপি) আছেন। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁরা উপজেলার নান্দেরাই গ্রামে মা-ছেলেকে আটক করে মুক্তিপণ দাবি করেছিলেন।
আটক তিন পুলিশ সদস্য হলেন রংপুর সিআইডির এএসপি মো. সারোয়ার কবির, সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) মো. হাসিনুর রহমান ও কনস্টেবল আহসানুল হক। আর ওই মা-ছেলে হলেন চিরিরবন্দর উপজেলার নান্দেরাই গ্রামের সলেমান শাহ পাড়ার লুৎফর রহমানের স্ত্রী জহরা বেগম ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম।
মা ও ছেলের স্বজন মো. মামুনের ভাষ্য, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে সিআইডির সদস্য পরিচয়ে লুৎফর রহমানকে আটক করতে আসেন কয়েকজন। পরে লুৎফর রহমানকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী জহরা বেগম ও তাঁর ছেলে জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে নিয়ে যান তাঁরা। জাহাঙ্গীরের মোটরসাইকেলটিও নিয়ে যান তাঁরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালে মা-ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য জাহাঙ্গীরের ফোন থেকে তাঁর পরিবারের সদস্যদের কাছে প্রথমে ৫০ লাখ টাকা চাওয়া হয়। পরে ২০ লাখ, সর্বশেষ ৮ লাখ টাকা দাবি করা হয়।
জাহাঙ্গীরের পরিবারের লোকজন তখন বিষয়টি চিরিরবন্দর থানায় জানায়। দাবিকৃত টাকা নিয়ে মো. জাহাঙ্গীরের স্বজন মামুন ও আফতাবুর জামান এবং চিরিরবন্দর থানা-পুলিশ সদস্য মো. তাজুল ইসলামসহ কয়েকজন ঠিকানা অনুযায়ী রানীরবন্দর এলাকায় যান। সেখানে প্রায় ১ ঘণ্টা থাকার পরে তাদের বলা হয়, কাহারোল উপজেলার দশমাইল এলাকার তেলের পাম্পের কাছে যেতে।
এভাবে কয়েকবার জায়গা বদল করে হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁশের হাট এলাকায় যেতে বলেন সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে। স্থানীয় লোকজন তখন সিআইডির সদস্যদের ধরে ফেলেন। পরে তাদের চিরিরবন্দর থানা-পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। বর্তমানে ৩ পুলিশ সদস্য দিনাজপুরের পুলিশ সুপারের (এসপি) হেফাজতে আছেন।
জানতে চাইলে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, আটককৃতদের দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। তিনি সেখানে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
এ বিষয়ে জানার জন্য দিনাজপুরের এসপি আনোয়ার হোসেনকে কল করলে তিনি বলেন, তাঁরা একটি বৈঠকে আছেন। পরে কথা বলবেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রংপুর সিআইডির ভারপ্রাপ্ত এসপি আতোয়ার রহমান। তিনি বলেন, এএসআই ও কনস্টেবল ২১ আগস্ট থেকে ১০ দিনের ছুটিতে ছিলেন। তাঁরা একটি অভিযোগের ভিত্তিতে সেখানে যান। তিনি বলেন, সরকারি গাড়ি ব্যবহার না করে আমার অনুমতি ছাড়া ভাড়া করা একটি গাড়ি নিয়ে তাঁরা অপারেশনে যান। আটক হওয়ার পর আমাকে জানানো হয়েছে। তাঁরা যে আমাদের সদস্য, তা আমি জানিয়েছি। এর বাইরে কিছু জানি না।
ঘটনার বিষয়ে সিআইডির প্রধান কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মো. আজাদ রহমান বলেন, অভিযোগ ওঠা সিআইডির চার সদস্যের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আগামী নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়বেন দুতার্তে
ফিলিপাইনে দুতার্তে ২০২২ সালের নির্বাচনে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে। এ পদে নির্বাচিত হয়ে তিনি ফিলিপাইনে বিদ্রোহী ও মাদকের বিরুদ্ধে ক্রুসেড চালিয়ে যাবেন বলে উল্লেখ করেছেন। গতকাল মঙ্গলবার প্রকাশিত রেকর্ড করা এক বক্তব্যে এমন সিদ্ধান্তের কথা জানান দুতার্তে।
বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ফিলিপাইনে প্রেসিডেন্টের চেয়ারে বসেন দুতার্তে। আগামী বছরে জুনে তাঁর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে। দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, প্রেসিডেন্ট হিসেবে কেউ ছয় বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। ফলে, দুতার্তে আর প্রেসিডেন্ট পদে লড়তে পারবেন না।
গতকাল দেওয়া বক্তব্যে দুতার্তে বলেন, আমি ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে লড়ব। তারপর আমি ক্রুসেড চালিয়ে যাব। আমি মাদক ও বিদ্রোহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। ভাইস প্রেসিডেন্টের সরাসরি নির্দেশনা দেওয়ার ক্ষমতা না থাকলেও সাধারণ মানুষের কাছে নিজের মতাদর্শ প্রকাশ করে যাবেন বলে উল্লেখ করেন তিনি।
এদিকে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচনে দাঁড়িয়ে দুতার্তে দেশটির শাসনক্ষমতা আঁকড়ে থাকতে চাইছেন বলে ধারণা করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা। তাঁরা বলছেন, ক্ষমতা হাতছাড়া হলে তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ আনা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দুতার্তে।
ফিলিপাইনের ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেন রদ্রিগো দুতার্তে। মাদকের বিরুদ্ধে এই লড়াইয়ে নিহত হয় বহু মানুষ।মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, এই সংখ্যা হাজার হাজার।
দুতার্তের এই কাজের ব্যাপক সমালোচনা রয়েছে দেশজুড়ে। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য মাঠে নামতে চাইছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের কৌঁসুলিরা। ফিলিপাইনে কয়েক দশক ধরে চলা বিদ্রোহ দমনের দিকেও নজর দেন দুতার্তে। তাঁর শাসনামলে বামপন্থী ও তাদের সমর্থকদের বিরুদ্ধেও অভিযান চালানো হয়।
লেডি ডেলিভারিম্যান, শুক্লার জীবনযুদ্ধ
সকাল আটটা থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত একটি বেসরকারি সংস্থার কাজ শেষ করেই শুক্লা হয়ে যান লেডি ডেলিভারিম্যান। রাত ১০টা পর্যন্ত ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করে বাসায় ফিরতে ফিরতে রাত ১১টা বেজে যায়। আগে বৃষ্টি হলে শুক্লা খুশিতে বলতেন—আহা। আর এখন আকাশে মেঘ দেখলেই প্রার্থনা করতে থাকেন যাতে বৃষ্টি না হয়। বৃষ্টি হলে মোটরসাইকেল চালিয়ে ভিজতে ভিজতেই গ্রাহকের বাড়ির দরজায় খাবার নিয়ে যেতে হয়। এক দিন কামাই করলেই তো মাসের মোট খরচে টান পড়বে।
শুক্লা জুলাই মাসের ৫ তারিখ থেকে খাবার পৌঁছে দেওয়া প্রতিষ্ঠান ফুডপান্ডায় ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ শুরু করেছেন। হাসতে হাসতে বললেন, ২০১৮ সালে এ সংস্থাতেই হিসাব বিভাগে কাজ করার জন্য ডাক পেয়েছিলেন। তবে সাক্ষাৎকার দিতে যাওয়ার আগেই এক দুর্ঘটনায় পড়েন, সেখানে আর উপস্থিত হতে পারেননি। আর জীবনের তাগিদে এখন একই প্রতিষ্ঠানে কাজ করছেন ভিন্ন পরিচয়ে।
শুক্লা বললেন, বাবা স্ট্রোক করেন। এরপর থেকে চোখে প্রায় দেখতেনই না। তখন ভালো বেতনে একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতাম। ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাবাকে ২০১৯ সালে ভারতের চেন্নাই নিয়ে যাই। দেশে-বিদেশে চিকিৎসায় এখন বাবা একটু একটু দেখেন, তবে কোনো কাজ করতে পারেন না। বাবা স্ট্রোক করার আগপর্যন্ত সংসারটা দেখতেন বাবা, আর পরিবারের বড় সন্তান হিসেবে এখন দেখি আমি।
রাজধানীর মিরপুরে শুক্লার বাবা কোনো রকমে একটি ফ্ল্যাট কিনেছিলেন, তাই বাড়িভাড়াটা লাগছে না। তবে ফ্ল্যাটের মেইনটেইনেন্সের নানান খরচ, বাবা ও মায়ের ওষুধ, দশম শ্রেণিপড়ুয়া ভাইয়ের স্কুলের বেতন, একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে বর্তমানে বেকার থাকা বোনের খরচের পাশাপাশি শুক্লার নিজের খরচ তো আছেই। এ ছাড়া আছে একটি ব্যাংকের ঋণ পরিশোধের চাপ। সব মিলে ফুডপান্ডার কাজটি করার সুযোগ পেয়ে শুক্লা একটু নিশ্বাস নেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন বলে সংস্থাটির প্রতি কৃতজ্ঞতা জানালেন।
জোহা জামান কবির রশীদ ফার্ম থেকে শুক্লা চার বছরের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টের কোর্স করেছেন। তবে পরীক্ষায় পাস করতে পারেননি সংসারের নানান ঝামেলায়। একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ভালো বেতনে কাজ করতেন শুক্লা। গত বছর করোনার প্রাদুর্ভাবে সেই প্রতিষ্ঠান তাঁকে ছাঁটাই করে। এরপর বন্ধু, স্বজনদের কাছ থেকে ধারদেনা করে চলেন কিছুদিন। বর্তমানে একটি কোম্পানিতে কাজ আর ডেলিভারিম্যান হিসেবে যা পান, তা দিয়েই সংসার চালাচ্ছেন।
সোমবার শুক্লা জানান, তাঁর টিকে থাকার পেছনে অনেক বড় অবদান রেখেছেন তাঁর বন্ধু আনুশকা। শুক্লা আরও জানান, গানের শিক্ষক হিসেবে চাকরি করা বাবা সব সময় বলতেন, মেয়েদের সব কাজ শিখে রাখা প্রয়োজন, কখন কোনটা কাজে লাগবে তা তো বলা যায় না। মোটরসাইকেল চালানো শিখেছিলেন শুক্লা। বন্ধু আনুশকা বেশ কয়েক বছর আগে মূল্যছাড়ে ৩৩ হাজার টাকা দিয়ে একটি মোটরসাইকেল উপহার দিয়েছিলেন। এখন সেই মোটরসাইকেলটিও বেহাল। আস্তে চালাতে হয়। দুদিন চালালেই তাকে গ্যারেজে পাঠাতে হয়। এরপরও এটি ছিল বলেই কিছুদিন রাইডার হিসেবে এবং পরে ফুডপান্ডায় কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন।
শুক্লা জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবে লকডাউনে জ্যাম ছিল না বলে খাবার ডেলিভারি করা অনেকটাই সহজ ছিল। তবে বর্তমানে জ্যাম বেড়ে যাওয়ায় কাজটা কঠিন হয়ে গেছে। একজন নারী খাবার পৌঁছে দেওয়ার কাজ করছেন, রাত করে বাড়ি ফিরছেন, তা অনেকেই পছন্দ করেন না। শুনতে হয় নানান কটু কথা। খাবার পৌঁছাতে দেরি হলে অনেকেই শেষ মুহূর্তে অর্ডার বাতিল করে দিলে তখন সময়-পরিশ্রম দুটিই বৃথা যায়। মেলে না পারিশ্রমিক।
কিছুদিন আগে সড়ক দুর্ঘটনায় পায়ে বেশ চোট পান শুক্লা। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে হাঁটতে হয়। তবে এ অবস্থাতেও বিশ্রাম নেননি। প্রতিদিনই ডেলিভারিম্যানের কাজটি করছেন। ফুডপান্ডা কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শুক্লা বললেন, এখানে তিনিসহ মোট চারজন নারী কাজ করছেন। আর অন্যরা সবাই পুরুষ। তবে যৌন হয়রানি বা খারাপ আচরণ কেউ করেন না। রাতের বেলায় ঝুঁকিপূর্ণ কোনো এলাকায় কাজের অর্ডার পেলে তা কর্তৃপক্ষকে জানালে তারাই তা পাল্টে দেন।
শুক্লা জানান, তাঁর বোন ফার্মাসিস্ট হিসেবে একটি প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। করোনায় তাঁর চাকরিটিও চলে যায়। শুক্লা বাসায় ছাত্রছাত্রীদের ব্যাচ করে পড়াতেন, করোনায় তা ও বন্ধ হয়ে গেছে।
শুক্লা বললেন, কয়েক বছর আগেও আমাদের অবস্থা বেশ ভালো ছিল। বাবা আমাদের তাঁর সাধ্য অনুযায়ী ভালো রেখেছিলেন। বাবার অসুস্থতা, করোনা সবকিছু পাল্টে দিয়েছে। মায়ের হার্নিয়া অপারেশন হচ্ছে না টাকার অভাবে। আমি একসময় দেশের বাইরে যাওয়ার স্বপ্ন দেখতাম। স্বপ্ন দেখতাম নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে বিয়ে করব। এখন নিজের পরিবার নিয়েই হিমশিম খাচ্ছি, তাই বিয়ের কথা মাথাতেও আনতে পারি না। আর মা–বাবার পাশে দাঁড়ানোর সৌভাগ্য সব মেয়ের হয় না। আমি সুযোগটা পেয়েছি, তাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছি।
ডেলিভারিম্যান হিসেবে কাজ করতে গিয়ে তিক্ত অভিজ্ঞতাও হয়েছে শুক্লার। জানালেন, দুর্ঘটনায় পায়ে ব্যথার জন্য একজন গ্রাহককে তিনতালা থেকে একটু নিচে নেমে আসার অনুরোধ করেছিলেন। সেই গ্রাহক রেগে খাবারটাই বাতিল করে দেন। অনেকে অর্ডার করার পর থেকেই বিরক্তি প্রকাশ করতে থাকেন কেন এত দেরি হচ্ছে। ফোন করে ঠিকানা চাইলেও অনেক গ্রাহক খেপে যান। আবার অনেকে বলেন, আপনি লেডি ডেলিভারিম্যান, তা আগে বলবেন তো।
ফুডপান্ডার ভারী ব্যাগ নিয়ে কাজ করাটা অনেক পরিশ্রমের বলে জানালেন শুক্লা। রাত ১০টা পর্যন্ত প্রতিদিন গড়ে সাতটির মতো অর্ডার পান।
শুক্লা বললেন, বাবার অসুখের সময় ব্যাংক থেকে সাত লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। পাঁচ লাখ টাকা পরিশোধ করেছি। একবার ঋণের টাকা পরিশোধের জন্য মায়ের হাতের সোনার চুড়ি বন্ধক রেখেছিলাম। এ মাসেও ঋণের টাকা কোথা থেকে পরিশোধ করব, তা ভেবেই পাচ্ছি না। আর মেয়েরা সিএসিসি বা যা–ই পড়াশোনা করুক, চাকরির বাজারে এখনো বৈষম্যের শিকার হতেই হচ্ছে। একজন ছেলের যোগ্যতা কম থাকলেও বেশি বেতন দিতে সমস্যা হয় না, কিন্তু নারীদের বেলায় যোগ্যতা থাকলেও ভালো বেতন দিতে চায় না অনেক প্রতিষ্ঠান। নারীদের জন্য কাজের পরিবেশটাও এখনো বড় সমস্যা হিসেবে দেখা দেয়। লোকজনের কথা শোনার ভয়ে ফুডপান্ডার ড্রেসটাও পরতে পারি না।
২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি: প্রাথমিকের ফল প্রকাশ; সবাই মনোনীত মানবিক ও বাণিজ্যের
গুচ্ছভুক্ত ২০টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার প্রাথমিক আবেদনের ফল প্রকাশিত হয়েছে। আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার তথ্য দিয়ে অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে (https://gstadmission.ac.bd/reg/check-elegiblility) এ ফলাফল জানা যাবে।
মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছেন, সবাই চূড়ান্ত আবেদন করার সুযোগ পাবেন। বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৩১ হাজার শিক্ষার্থী ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার জন্য চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন।
প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত ভর্তি পরীক্ষায় দেশের ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক প্রথম বর্ষে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে মোট ৩ লাখ ৬১ হাজার ৪০৬ শিক্ষার্থী প্রাথমিক আবেদন করেছেন। এতে বিজ্ঞান বিভাগে ১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪১ জন, মানবিক বিভাগে ১ লাখ ৭ হাজার ৯৩৩ এবং বাণিজ্য বিভাগে আবেদন করেছেন ৫৮ হাজার ৬৩২ শিক্ষার্থী।
গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মুনাজ আহমেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবেন। এর অন্তত দুদিন আগেই নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা মুঠোফোনে খুদে বার্তার মাধ্যমে ফলাফল, ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড পাবেন।
উপাচার্য আরও বলেন, যেসব শিক্ষার্থীর মুঠোফোন নম্বরের সমস্যায় রয়েছেন, তাঁদের জন্য ওয়েবসাইটে একটি অপশন চালু করা হবে। সেখান থেকে মুঠোফোন নম্বর পরিবর্তন করা যাবে। তবে সেবাটি সব শিক্ষার্থী পাবেন না। শুধু যোগ্য শিক্ষার্থীরাই নম্বর পরিবর্তন করে আবেদন করতে পারবেন।
পরীক্ষার প্রস্তুতি আছে, না পারলে গতবারের মতো: প্রতিমন্ত্রী
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেছেন, স্কুল খুলতে পারলে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা নেওয়া হবে। সেপ্টেম্বরে খুলতে পারলেও প্রস্তুতি আছে, অক্টোবরে খুলতে পারলেও প্রস্তুতি আছে।
তবে করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকলে গতবারের মতো মূল্যায়ন করা হবে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন।
উল্লেখ্য, গতবার পরীক্ষা ছাড়াই শিক্ষার্থীদের ওপরের ক্লাসে ওঠানোর অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, তাঁরা চাচ্ছেন তাড়াতাড়ি স্কুল খুলে দিতে। প্রধানমন্ত্রী দুটি মিটিংয়ে বলেছেন। মন্ত্রণালয়সহ সবাই মিলে স্কুলগুলো সুন্দর রাখা হচ্ছে, যাতে যেকোনো সময় স্কুল খুলে দিয়ে কাজ করা যায়। আগে তাঁদের একটি পরিকল্পনা ছিল যে ধাপে ধাপে খোলা। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম হয়তো দুই দিন করা; প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির জন্য সপ্তাহে এক দিন করে খোলা। এভাবেই করতে চাচ্ছেন।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে।
পরীক্ষার বিষয়ে জাকির হোসেন বলেন, তাঁরা সংক্ষিপ্ত পাঠ্যসূচির চিন্তা–ভাবনা করছেন। সেটা সমাপনীতেও ব্যবহার হবে। কে কীভাবে কী করল, তার মূল্যায়নের ভিত্তিতে রেজাল্ট দেওয়া হবে। সশরীর পরীক্ষা যদি নিতে না পারা যায়, তাহলে মূল্যায়নের ভিত্তিতে ফল দেওয়া হবে। স্কুল খুলতে পারলে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
সেপ্টেম্বরে খুলতে পারলেও প্রস্তুতি আছে, অক্টোবরে খুলতে পারলেও প্রস্তুতি আছে। বাড়ির কাজ (ওয়ার্কসিট) দেওয়া হচ্ছে সিলেবোস অনুযায়ী, এটিও একটি মূল্যায়ন। এটি দেওয়ার কারণে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি অস্বাভাবিক থাকলে গতবারের মতো মূল্যায়ন করা হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা হলো, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। তবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
স্কুল খোলার রূপরেখা নিয়ে জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, ডব্লিউএইচও সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত তো লাগবে। স্কুল হুট করে তো খুলে দেওয়া যাবে না। আরেকটু স্বাভাবিক হলে হয়তো খোলা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে অক্টোবরের আগে সম্ভব কি না, জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা ঠিক তিনি বলতে পারবেন না। যেকোনো সময় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিলে, তারা প্রস্তুত আছেন।
প্রাথমিকের ৮৫ শতাংশ শিক্ষক টিকা নিয়েছেন।প্রতিমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ দেড় বছর থেকে বাচ্চারা বাড়িতে আছে। নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত হচ্ছে। পড়াশোনা থেকে দূরে যাচ্ছে। গ্রামের বাচ্চারা তো খেলাধুলা নিয়ে মত্ত। অনলাইনে অনেকে বাজে গেমস খেলছে। যখন পড়াশোনা থাকে না, স্কুল থাকে না তখন বিভিন্নভাবে আড্ডা দেয়। চরের বাচ্চাদের বাল্যবিবাহের কিছুটা প্রবণতা বাড়ছে।
এসব মিলে তাঁরা চাচ্ছেন, যত তাড়াতাড়ি স্কুল খুলে দিতে। স্কুল খুললে কীভাবে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে, সেই নির্দেশনাও দেওয়া আছে। প্রাথমিকের ৮৫ শতাংশ শিক্ষক ইতিমধ্যে করোনার টিকা নিয়েছেন। সবাইকে টিকা দেওয়া হবে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ আছে। সরকারের সর্বশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, এ ছুটি আছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। দীর্ঘ ১৭ মাস ধরে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে দেশের প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থীর পড়াশোনা মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়েছে।
বিকল্প উপায়ে টিভি, অনলাইন, অ্যাসাইনমেন্টসহ বিভিন্নভাবে শিক্ষার্থীদের সক্রিয় রাখার চেষ্টা করা হলেও বাস্তবতা হলো শ্রেণিকক্ষে যেভাবে পড়াশোনা হতো, তা এসবের মাধ্যমে হচ্ছে না। আবার সবাই এসবের সুবিধাও পাচ্ছে না। শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রে জানা গেছে, তাদের পরিকল্পনা হলো, প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়া। পরে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা। তবে দিনক্ষণ এখনো ঠিক হয়নি।
নারী ব্যাংক কর্মকর্তার আপত্তিকর ভিডিও ছড়ানোর মামলায় কলেজছাত্র গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাগমারায় এক নারী ব্যাংক কর্মকর্তার (৩২) গোসলের দৃশ্য গোপনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় এক কলেজছাত্রকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার ছাত্রের নাম মুরাদ হোসেন (২১)। তিনি একই উপজেলার বাসিন্দা ও নাটোর নবাব সিরাজ উদ দৌলা কলেজের সম্মান শ্রেণির ছাত্র।
আজ সোমবার সকালে মুরাদ হোসেনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই নারী ঢাকায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কাজ করেন।
পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ঈদুল আজহার ছুটিতে ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তা ঢাকা থেকে তাঁর শ্বশুরবাড়ি বাগমারার একটি গ্রামে আসেন। আবদুল আলিম নামের এক তরুণ গোপনে ওই নারীর গোসলের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করেন। পরে সেটি তিনি তাঁর বন্ধু মুরাদ হোসেনকে দেন। মুরাদ ওই নারী ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে ভিডিওটি পাঠিয়ে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা না দিলে তা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। পরে টাকা না পেয়ে মুরাদ হোসেন ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় ওই নারীর স্বামী বাদী হয়ে গতকাল রোববার রাতে থানায় পর্নোগ্রাফি আইনে দুই তরুণের নামে মামলা করেন। পুলিশ অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় রাতেই মুরাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।
তবে গ্রেপ্তার মুরাদ হোসেনের স্বজনদের দাবি, মুরাদের মুঠোফোন ব্যবহার করে এ কাজ করেছেন তাঁর বন্ধু আবদুল আলিম।
মামলার বাদী বলেন, তিনি ও তাঁর স্ত্রী এ ঘটনার পর সামাজিকভাবে হেয় হয়েছেন। তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
উপজেলার ভাগনদি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) সাজ্জাদ হোসেন বলেন, রাতেই অভিযান চালিয়ে এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপরজনকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
রাজধানীতে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত
রাজধানীতে লালবাগ এলাকায় ট্রাকচাপায় চার বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লালবাগ কেল্লার মোড় বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত শিশুটির নাম সামিয়ান। তার বাবা আরমান হোসেন পেশায় রিকশাচালক। শিশুটির মা আসমা বেগম গৃহকর্মীর কাজ করেন।
শিশুটির নানা জাকির হোসেন প্রথম আলোকে জানান, তাঁর মেয়ে আসমা বেগম লালবাগ কেল্লার মোড় বাজার এলাকায় থাকেন। গতকাল রাতে ছেলে সামিয়ানকে নিয়ে দুধ কিনতে বাসা থেকে বের হন তিনি। মোড় বাজারে যাওয়ার পরে একটি ট্রাক তাঁদের ধাক্কা দেয়। এতে গুরুতর আহত হয় সামিয়ান। এ সময় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার ভোররাত চারটার দিকে শিশুটির মৃত্যু হয়।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিনয় কুমার রায় প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মৃত্যুর ঘটনায় ট্রাকচালক মো. নীরবকে আটক করা হয়েছে। শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
বরিশালে ইউএনওর বাড়িতে হামলা ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনায় বরিশাল সদর উপজেলার ইউএনও, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি, এসআইয়ের বিরুদ্ধে করা পৃথক দুটি মামলার আবেদন আমলে নিয়ে আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
আজ রোববার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ এ নির্দেশ দেন। মামলার অভিযোগ দুটি তদন্ত করে আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পিবিআইয়ের বরিশালের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালতের বেঞ্চ সহকারী কামরুল হাসান প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে সকালে বরিশালের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমান, কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুরুল ইসলাম ও উপপরিদর্শক (এসআই) শাহজালাল মল্লিকের নামে পৃথক দুটি মামলার আবেদন করেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা বাবুল হালদার এবং বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র ও জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম।
বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তালুকদার মো. ইউনুস প্রথম আলোকে বলেন, দুটি মামলার আবেদনেই ইউএনও মুনিবুরকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আদালত-সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, মামলার আবেদনে ইউএনও মুনিবুর রহমানকে আসামি করার পাশাপাশি তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পাঁচজন আনসার সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। তবে তাঁদের নাম উল্লেখ নেই। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৪০-৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার ওই দুই আবেদনে বলা হয়, নগরের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করার জন্য সিটি করপোরেশনের সভায় নগরের বিভিন্ন এলাকায় লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণের সিদ্ধান্ত হয়। এর ধারাবাহিকতায় ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল নগরের সিঅ্যান্ডবি সড়কে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসের নেতৃত্বে পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করতে গেলে ইউএনওর নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা বাধা দেন ও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন। ঘটনাটি জেনে সিটি মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে সেখানে যান। এ সময় ইউএনও এবং তাঁর আনসার সদস্যরা মেয়রকে হত্যার উদ্দেশে গুলি ছোড়েন। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববর্ম তৈরি করে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে রক্ষা করেন। এতে মেয়রের বেশ কয়েকজন কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
১৮ আগস্ট রাতে নগরের সিঅ্যান্ডবি সড়কে উপজেলা পরিষদ কম্পাউন্ডে শোক দিবসের ব্যানার অপসারণ নিয়ে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের মধ্যে রাতভর সংঘর্ষ হয়। এ সময় ইউএনওর সরকারি বাসভবনেও হামলার অভিযোগ করা হয়।
ইউএনও মুনিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুকের ব্যানার ও পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসেন। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছে জানিয়ে তাঁদের সকালে আসতে বলা হয়। এ কারণে তাঁরা গালিগালাজ করে। আমার বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়।
এমন অভিযোগে বৃহস্পতিবার ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলায় ২৮ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এ ছাড়া ৭০ থেকে ৮০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এদিকে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই শাহজালাল মল্লিক বাদী হয়ে পৃথক অপর একটি মামলা করেন। দুটি মামলায় মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়।
এদিকে ইউএনও ও পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে দুটি মামলার আবেদন করা হলেও রোববার সকাল থেকে বরিশাল নগরে সার্বিক পরিস্থিতি শান্ত আছে। নগরের কোথাও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের টহল দিতে দেখা যায়নি।
করোনার বছরে দেশের স্থলবন্দরগুলোর জমজমাট ব্যবসা বেড়েছে। একদিকে যেমন আয় বেড়েছে, তেমনি পণ্য আমদানি-রপ্তানিও বেড়েছে। করোনার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিদায়ী অর্থবছরে একাধিকবার নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও স্থলবন্দরগুলো দিয়ে আমদানি-রপ্তানিতে তেমন প্রভাব পড়েনি। বিদায়ী অর্থবছরে এই প্রথম বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আয় ২৫০ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেল। এ ছাড়া স্থলবন্দর দিয়ে বার্ষিক আমদানি-রপ্তানি আবারও দুই লাখ টন ছাড়াল।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। দেশের সব স্থলবন্দর দেখভাল করে এই কর্তৃপক্ষ। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে বিশেষ করে ভারতসহ পার্শ্ববর্তী দেশের সঙ্গে বাণিজ্য সহজ করতে ২০০১ সালে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। বর্তমানে ২৪টি স্থলবন্দর থাকলেও কার্যকর আছে মাত্র ১২টি। তবে বেনাপোল, ভোমরা ও বুড়িমারী-আমদানি-রপ্তানিতে এই তিন স্থলবন্দরের ওপর নির্ভরশীলতা অতি মাত্রায়।
স্থলবন্দরের আয়ের প্রধান উৎসগুলো হলো খালাস হওয়ার অপেক্ষায় থাকা পণ্যের জন্য শেড ও ইয়ার্ড ভাড়া, ওজন মাপার মাশুল, প্রবেশ মাশুল, শ্রমিক মজুরি, দলিলাদি প্রক্রিয়াকরণ মাশুল ইত্যাদি।
এক বছরে স্থলবন্দরের আয় বেড়েছে ৩০%
স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিদায়ী অর্থবছরে স্থলবন্দরগুলো থেকে ২৬৭ কোটি টাকা আয় হয়েছে। এক বছরের ব্যবধানে ৩০ শতাংশের বেশি আয় বেড়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সব মিলিয়ে আয় হয়েছিল ২০৩ কোটি টাকা। বেনাপোল, ভোমরা ও বুড়িমারী—এই তিনটি স্থলবন্দর থেকে মোট আয়ের দুই-তৃতীয়াংশের বেশি এসেছে। এই তিনটি বন্দরের আয় ১৮৩ কোটি টাকা।
করোনার বছরে দেশের স্থলবন্দরগুলোর জমজমাট ব্যবসা বেড়েছে। একদিকে যেমন আয় বেড়েছে, তেমনি পণ্য আমদানি-রপ্তানিও বেড়েছে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আলমগীর বলেন, আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম স্বাভাবিক রাখতে বিধিনিষেধের আওতায় বাইরে ছিল স্থলবন্দরের কার্যক্রম। তাই আমদানি-রপ্তানিও বিঘ্নিত হয়। এ ছাড়া ব্যবসায়ীরা এই করোনার সময়ে আমদানি-রপ্তানি হ্রাস করেননি। ফলে স্থলবন্দরের আয় বেড়েছে। প্রতিটি স্থলবন্দরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কর্মীরা কাজ করেছেন। তিনি জানান, করোনার সময়ে দেশের পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে তুলনামূলক বেশি আমদানি-রপ্তানি হয়েছে।
১০ বছরের ব্যবধানে স্থলবন্দর থেকে আয় প্রায় সাড়ে ছয় গুণ বেড়েছে। ২০১০-১১ অর্থবছরে বার্ষিক আয় ছিল ৪১ কোটি টাকা। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে স্থলবন্দরের আয় শত কোটি টাকা পেরিয়ে যায়। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় ২০০ কোটি টাকা ছাড়ায়।
আমদানি-রপ্তানি আবার ২ লাখ টন ছাড়াল গত অর্থবছরে আবারও স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ দুই লাখ টন ছাড়াল। কয়েক বছর ধরেই স্থলপথে দুই লাখ টনের বেশি আমদানি-রপ্তানি হচ্ছিল। কিন্তু ২০১৯-২০ অর্থবছরের মার্চ মাসে করোনা সংক্রমণ শুরু হলে আমদানি-রপ্তানি কিছুটা শ্লথ হয়। ফলে ওই অর্থবছরে আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ দাঁড়ায় দেড় লাখ টন। তবে বিদায়ী অর্থবছরে তা আবার বেড়ে ২ লাখ ১২ হাজার টন হয়। এর মধ্যে আমদানি হয় ২ লাখ ১ টন পণ্য। আর রপ্তানি হয় ১১ লাখ টনের মতো পণ্য।
স্থলবন্দর দিয়ে যত পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়, তার ৯৯ শতাংশের বেশি হয় ভারতের সঙ্গে। টেকনাফ স্থলবন্দর দিয়ে শুধু মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্য হয়। বছরে এক লাখ টনের মতো পণ্য আসা-যাওয়া করে এই বন্দর দিয়ে। বেনাপোল, ভোমরা ও বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে প্রায় ৮৬ শতাংশ পণ্য আমদানি-রপ্তানি হয়েছে।
তবে বেনাপোল, বুড়িমারী, ভোমরাসহ হাতে গোনা স্থলবন্দর ছাড়া অন্য স্থলবন্দরগুলোর অবকাঠামো খুব উন্নত নয়। তাদের আয়ও খুব বেশি নয়।
স্বাস্থ্য খাতের চরম ব্যর্থতার দায় আড়াল করতেই সরকার গণটিকার ঘোষণা দিয়ে নতুন নাটকের মঞ্চায়ন করেছে। ফলশ্রুতিতে সরকারের গণটিকার কর্মসূচি গণভোগান্তিতে পরিণত হয়েছে। এক কোটিরও কম টিকা মজুত রেখে কিভাবে গণটিকার কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়, তা আমাদের বোধগম্য নয়।
আজ ১১ আগস্ট ২০২১ (বুধবার) ইসলামী যুব আন্দোলন-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ নেছার উদ্দিন ও সেক্রেটারি জেনারেল আতিকুর রহমান মুজাহিদ এক যুক্ত বিবৃতিতে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
নেতৃদ্বয় আরো বলেন, আমাদের মনে হয় করোনার সংক্রমণ রোধে সরকার শুধুমাত্র লকডাউনকেই একমাত্র সমাধান হিসেবে গ্রহণ করেছে। তাই গত দেড় বছরেও স্বাস্থ্যখাতে তেমন কোনো অগ্রগতি উল্লেখ করার মতো নেই।
বিবৃতিতে তারা বলেন, সরকার তার অবৈধ ক্ষমতাকে টিকিয়ে রাখতে শুধুমাত্র রাজনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন নয়; প্রশাসন ও আমলাসহ সকল ক্ষেত্রে দুর্বৃত্তায়নের প্রসার ঘটিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা যায় যে, বিদেশে অবৈধ টাকা পাচারের এক্ষেত্রে অবৈধ ব্যবসায়ী ও রাজনীতিবিদদের থেকে আমলারা কোন অংশেই পিছিয়ে নেই। বরং আমলারাই এখন বেশি টাকা পাচার করেছে। দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ গড়ার প্রতিরোধে সরকারের সকল দপ্তরে জবাবদিহীতামূলক ব্যবস্থা রাখতে হবে। গণটিকাদান কর্মসূচিতে মানুষের ভোগান্তি নিরসনকল্পে পর্যাপ্ত টিকা কেন্দ্র বাড়ানোর জন্য নেতৃবৃন্দ সরকারের প্রতি আহবান জানান।
কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি কর্মসূচি
গণপরিবহন সংকটের এই ঢাকা শহরে প্রতিনিয়ত নাগরিকদের বাসে উঠতে রীতিমতো লড়াই করতে হয়, সেখানে করোনা সংক্রমণের মধ্যে অর্ধেক বাস চালানো কতটা যুক্তিসঙ্গত তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন
বুধবার থেকে দৈনিক মোট গণপরিবহনের অর্ধেক চলাচল করতে পারবে—সরকারের এমন সিদ্ধান্ত কতটা যৌক্তিক, সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আমাদের গণপরিবহন ব্যবস্থার মালিকানার ধরন, নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সক্ষমতা এবং শ্রমিকদের নিয়োজিত করার পদ্ধতি—এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অন্তরায়।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে গণপরিবহন চালানোই যেখানে মূল লক্ষ্য, সেখানে সরকারের নতুন এই সিদ্ধান্ত তা আরও নাজুক করে তুলতে পারে। পাশাপাশি সাধারণ যাত্রীরাও দুর্ভোগে পড়তে পারেন, বাড়তি ব্যয়ের বোঝাও চাপবে।
প্রায় দেড় বছর ধরে দেশে করোনা মহামারি চলমান। করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এরই মধ্যে বিধিনিষেধ, কঠোর বিধিনিষেধ, শিথিল বিধিনিষেধ নামের নানা সিদ্ধান্ত দেখেছে দেশের মানুষ। বেশির ভাগ সিদ্ধান্তই এসেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে।
তবে বরাবরই বিধিনিষেধ বা লকডাউনের কেন্দ্রে থাকে গণপরিবহন তথা ট্রেন, লঞ্চ, বাস ও ফেরি। সাধারণ মানুষের এসব বাহনই বড় ভরসা। এগুলো ভিন্ন ভিন্ন সংস্থার নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হয়। অংশীজন হিসেবে আছেন বেসরকারি উদ্যোক্তারা।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করা হচ্ছে না। ফলে সকালে সিদ্ধান্ত দিয়ে রাতে তা পাল্টাতে দেখা গেছে। বিধিনিষেধ বাস্তবায়নেও হযবরল অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
এই অব্যবস্থাপনার পেছনে আমলাদের ওপর অতি নির্ভরতাকে দায়ী করে থাকেন অনেকে। যখনই কোনো নতুন সিদ্ধান্ত আসে, তখন অংশীজনদের কেউ কেউ তাই রসিকতা করে বলে থাকেন, এক দিন পর এই সিদ্ধান্তও পরিবর্তন হয় কি না দেখেন?
করোনার সংক্রমণের উচ্চ ঝুঁকির মধ্যেই সরকার হঠাৎ করে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ১৫ থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ শিথিলের ঘোষণা দেয়। তখনই জানিয়ে দেওয়া হয়, ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। বন্ধ থাকবে সব শিল্পকারখানা। এই সুযোগে এক কোটির বেশি মানুষ ঢাকা ছাড়ে।
৩০ জুলাই হঠাৎ সিদ্ধান্ত দেওয়া হয় যে ১ আগস্ট থেকে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানা খুলবে। গণপরিবহন বন্ধ রেখেই কারখানা খোলার এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে শ্রমিকেরা দূরদূরান্ত থেকে ভ্যানে, ট্রাকে ও হেঁটে কাজে যোগ দেওয়ার জন্য রওনা দেন।
কিছু দিন আগে কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে গণপরিবহন বন্ধ রেখে কারখানা খোলার অনুমতি দেওয়া হয়, সে সময় ঢাকা ফিরতে মরিয়া শ্রমিকেরা এভাবে মাদারীপুরের বাংলাবাজার ফেরিঘাটে এসে ভিড় করেন
বাড়তি খরচ আর দুর্ভোগ নিয়ে অধিকাংশ শ্রমিক ঢাকায় চলে আসার পর সরকার শ্রমিক আনার কাজে দেড় দিনের জন্য বাস চলতে পারবে বলে মৌখিক নির্দেশনা দেয়। কিন্তু অধিকাংশ শ্রমিক চলে আসার কারণে এই সিদ্ধান্তে শ্রমিকদের কোনো কাজে লাগেনি।
গত বছরও পোশাক কারখানা বন্ধ ও খোলা নিয়ে সিদ্ধান্তে নানা অসংগতি ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে এই নিয়ে সমালোচনার পর সিদ্ধান্ত পাল্টানোর ঘটনা ঘটেছে।
একইভাবে ফেরি চালু রেখে বাস বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা এসেছে বিভিন্ন সময়। এ সময় ফেরিগুলোতে উপচে পড়া ভিড়ে স্বাস্থ্যবিধির কোনো বালাই ছিল না।
এ পর্যন্ত সরকারের লকডাউন এবং বিধিনিষেধসংক্রান্ত সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে কয়েকটি দুর্বলতা দেখা যাচ্ছে। এগুলো হচ্ছে—১. সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তর ও অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা না করা। ২. পোশাক কারখানা খোলার ক্ষেত্রে এই খাতের মালিক সংগঠনগুলোর ইচ্ছাকেই গুরুত্ব দেওয়া। ৩. পোশাক খাতের শ্রমিক এবং নিম্ন আয়ের মানুষের দুর্ভোগের বিষয়টি বিবেচনায় না নেওয়া। ৪. স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে বিজ্ঞান বা বাস্তবতার চেয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের বিবেচনাবোধকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া। ৫. ওপর থেকে নেওয়া সিদ্ধান্ত কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, সেই বিষয়ে মাঠপর্যায়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকা।
এবার প্রতিদিন অর্ধেক গণপরিবহন চালু রাখার নতুন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এর মধ্যেও বিজ্ঞান বা বাস্তবতাবোধের অভাব দেখা যাচ্ছে। ফলে বেশ কিছু সমস্যার উদ্ভব হতে পারে।
পরিবহন ব্যবস্থাই এমন যে অর্ধেক চালু রাখা কঠিন
রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহর এবং দূরপাল্লার পথে প্রায় এক লাখ বাস-মিনিবাস চলাচল করে। এসব বাসের মালিক আছেন প্রায় ৪০ হাজার। সবাই সংঘবদ্ধ বা বড় কোম্পানির অধীনে নয়। এমনও আছে যে তিন-চারজন ব্যক্তি মিলে একটা বাসের মালিক। একজনের একটি বাসের মালিকানাই বেশি। অনেক পরিবহনমালিক মিলে একটা কোম্পানি করে বাস চালিয়ে থাকেন। এর বাইরে দেশে বড় কোম্পানি আছে ২০টির মতো। এসব বড় কোম্পানিতে এক মালিকের অনেক বাস চলে।
এই জটিল মালিকানা ব্যবস্থায় অর্ধেক বাস চালু রাখার যে সিদ্ধান্ত, তা বাস্তবায়ন করা অত্যন্ত কঠিন। প্রথমত, যাঁর একটি বাস আছে বা একাধিক মালিকের যদি একটি বাস থাকে, তাহলে সেখানে অর্ধেক চালানোর সুযোগ নেই। এ ছাড়া প্রভাবশালী পরিবহনমালিক ও শ্রমিকনেতারা রুট কমিটির নামে বিভিন্ন বাস টার্মিনাল নিয়ন্ত্রণ করেন। কোন মালিকের বাস চলবে এবং কারটা বন্ধ থাকবে—এটা ঠিক করতে গিয়ে প্রভাবশালীরা চাঁদাবাজির আশ্রয় নিতে পারেন। মনে রাখা দরকার, গণপরিবহনে চাঁদাবাজি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে।
ঢাকায় সব বাস চললেও যাত্রীদের চাপে এভাবে দাঁড়িয়ে যেতে বাধ্য হন অনেকে, সেখানে অর্ধেক বাস চললে স্বাস্থ্যবিধির কী হবে সেটাই বড় প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে
এ ছাড়া দীর্ঘদিন শ্রমিকেরা বেকার। এখন অর্ধেক বাস চালাতে হলে কাকে বসিয়ে রেখে কাকে চালানোর সুযোগ দেওয়া হবে, এটাও একটি জটিল বিষয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে বলা হয়েছে, স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে অর্ধেক বাস চালানোর বিষয়টি নিশ্চিত করবে। মঙ্গলবার কিছু জেলা ও বিভাগীয় শহরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবহনমালিক-শ্রমিকনেতাদের সঙ্গে বৈঠকের খবর পাওয়া গেছে। কিন্তু পরিবহন খাত নিয়ন্ত্রণ হয় ঢাকা থেকে। কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে কোনো বৈঠক বা আলোচনার খবর পাওয়া যায়নি।
স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠিন হবে
সড়ক পরিবহনের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিআরটিএ মঙ্গলবার এক আদেশে বলেছে, যত আসন, তত যাত্রী পরিবহন করা যাবে। তবে কোনোভাবেই আসনের অতিরিক্ত বা দাঁড়িয়ে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। কিন্তু দীর্ঘদিন পরিবহন বন্ধ থাকার পর স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীর চাপ বাড়বে। এ অবস্থায় আসনের অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করার নির্দেশনা কতটা মানা হবে, সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
গত ৩১ জুলাই পোশাকশ্রমিকদের আনার জন্য বাস চলাচলে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা হয়। কিন্তু শ্রমিকেরা আগেই ঢাকায় চলে আসার কারণে খুব বেশি বাস চলেনি। অর্থাৎ যাত্রী থাকলে পরিবহনমালিক–শ্রমিকেরা তাঁদের নেবেনই। না থাকলে বাস কম চলবে—এর জন্য নির্দেশনার দরকার নেই।
বাংলাদেশ রেলে স্বাভাবিক সময়ে দিনে সাড়ে ৩০০ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করে। সংস্থাটি ১১৪টি ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পবিত্র ঈদুল আজহার সময়ও রেল একই পরিমাণ ট্রেন চালিয়েছিল। সে সময় অর্ধেক আসন ফাঁকা রাখার সিদ্ধান্ত থাকলেও গাদাগাদি করে যাত্রী পরিবহনের চিত্র আমরা দেখেছি। একই অবস্থা দেখা গেছে লঞ্চ ও ফেরিতে।
ভাড়া–নৈরাজ্য হতে পারে
একটা সময়ে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে ৬০ শতাংশ বাড়তি নেওয়ার শর্তে অর্ধেক আসন ফাঁকা রেখে বাস চালানোর সিদ্ধান্ত ছিল। এখন যত আসন, তত যাত্রী বহনের কারণে স্বভাবতই বাড়তি ভাড়া আদায় করা যাবে না। কিন্তু পরিবহন মালিকেরা বলছেন, অর্ধেক বাস চলাচল করলে তাঁদের আয় কমে যাবে। এ অবস্থায় নির্ধারিত ভাড়া হার মেনে সব পরিবহনের চলাচল নিশ্চিত করা কঠিন।
বিআরটিএ এ–সংক্রান্ত নির্দেশনা দিলেও সারা দেশে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না, তা দেখার মতো লোকবল বা অবকাঠামো নেই সংস্থাটির। ফলে সাধারণ যাত্রীদের ওপর বাড়তি ভাড়ার বোঝা চাপতে পারে। এই নিয়ে যাত্রী ও পরিবহনশ্রমিকদের বচসারও আশঙ্কা আছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হয়রানির আশঙ্কা
বিধিনিষেধে কিছু ক্ষেত্রে মাইক্রোবাস, ট্রাক, হিউম্যান হলার, মোটরসাইকেল ও ভ্যানে যাত্রী পরিবহন হয়েছে। এসব যানের মালিক-শ্রমিকদের কাছ থেকে চাঁদা নিয়ে চলাচল নির্বিঘ্ন করার অভিযোগ আছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে।
বিধিনিষেধের মধ্যে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চৌকি বসিয়ে যানবাহনে বিধি ভঙ্গ করে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে কি না, তা দেখে পুলিশ
বিশৃঙ্খল ব্যবস্থার কারণে অর্ধেক গণপরিবহন হিসাব করার আসলে কোনো বাস্তবসম্মত ব্যবস্থা নেই। ফলে রাস্তায় নামানোর পর যেকোনো বাস আটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী হয়রানি করতে পারে। এতে চাঁদাবাজির সুযোগ তৈরি হবে।
পরিবহন ব্যবস্থাই এমন যে অর্ধেক চালু রাখা কঠিন
রাজধানী ঢাকাসহ বড় শহর এবং দূরপাল্লার পথে প্রায় এক লাখ বাস-মিনিবাস চলাচল করে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নেওয়া সর্বশেষ সিদ্ধান্তের বিষয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন খোদ সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। গত সোমবার তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন,অর্ধেক বাস চলবে, আর অর্ধেক চলবে না, এটার নিশ্চয়তা দেবে কে? বিষয়টি আমাদের মন্ত্রণালয়, বিআরটিএর সঙ্গে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু আলোচনা করে নিলে ভালো হতো। বিষয়টি এখন জেলা প্রশাসন ও পুলিশের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছে। তারা যদি সরকারের এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে পারে, ভালো কথা। এটা আমাদের এখতিয়ার নয়।
সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার এই প্রতিক্রিয়া বলে দেয়, যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সমন্বয়হীনতা প্রকট। ফলে এর বাস্তবায়ন মাঠ প্রশাসনের ইচ্ছা-অনিচ্ছার ওপর নির্ভরশীল। এতে সরকারের লাভ-ক্ষতি যা-ই হোক, ভোগান্তির শিকার হতে হয়, খরচের বোঝা বাড়ে সাধারণ মানুষের। পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, সাধারণ মানুষের সুবিধা–অসুবিধার বিষয়টি নীতিনির্ধারকদের বিবেচনায় কমই থাকে।
বাংলাদেশ থেকে বেশি পাচার হচ্ছে ইয়াবা। অন্যদিকে এ দেশে আসছে এলএসডি, খাট, আইসের মতো নতুন মাদক।
কুরিয়ারে বাংলাদেশ থেকে যাচ্ছে মাদক, আসছেও
তৈরি পোশাকের আড়ালে গত বছর অস্ট্রেলিয়ায় ইয়াবা তৈরির কাঁচামাল অ্যামফিটামিন পাচার করছিল একটি চক্র। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজ থেকে ১২ কেজি অ্যামফিটামিন উদ্ধারের পর পাচারের সহযোগিতা করায় একটি বহুজাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের তিন কর্মকর্তাসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।
পরে অধিদপ্তরের তদন্তেই এই আসামিদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে তাঁদের সবাইকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আদালতে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রে এ-ও বলা হয়, মাদক পাচারে কুরিয়ার সার্ভিসের দায় নেই।
অবশ্য মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে মাদক পাচারের ঘটনা ঘটে। ১২ কেজি অ্যামফিটামিন উদ্ধারের ঘটনায় কুরিয়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ কোনো ধরনের স্ক্যানিং ছাড়াই পার্সেলের চালান বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এ ঘটনায় যাঁদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে, তাঁরাই কুরিয়ারে করে মাদকের চালান পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন। এ বিষয়টি এ মামলার অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।
কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে বিদেশে মাদক পাচার যেমন হচ্ছে, তেমনি একইভাবে বিদেশ থেকে এ দেশে মাদক আসছে। পাচারকারীরা বাংলাদেশকে রুট হিসেবে ব্যবহার করছে।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, কুরিয়ারে নতুন নতুন মাদক দেশে আসছে। সর্বশেষ দেশে আসা নতুন মাদক এলএসডি এসেছে একটি আন্তর্জাতিক কুরিয়ারে। আরও দুটি মাদকদ্রব্য খাট ও আইস বা ক্রিস্টাল মেথও একইভাবে দেশে আসে। কুরিয়ার সার্ভিসে মাদক পাচারের অভিযোগে গত এক বছরে ২০টি মামলা করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। এগুলোর মধ্যে সাতটি মামলা বিচারাধীন। অন্য মামলাগুলোর তদন্ত এখনো শেষ হয়নি।
বাংলাদেশ থেকে বেশি পাচার হচ্ছে ইয়াবা। অন্যদিকে এ দেশে আসছে এলএসডি, খাট, আইসের মতো নতুন মাদক।
মামলাগুলোর তদন্ত করতে গিয়ে ডিএনসি জানতে পেরেছে, কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মাদক পাচার হচ্ছে। বিভিন্ন কুরিয়ার সার্ভিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী মাদক চক্রে জড়িয়ে দেশি-বিদেশি পাচারকারীদের সহায়তা করছেন।
কুরিয়ারে মাদক পাচারের ঘটনায় ২০ মামলা। ৭টি বিচারাধীন, বাকিগুলোর তদন্ত চলছে। ১৭টি মামলাই হয়েছে ইয়াবা পাচার নিয়ে। বাংলাদেশি ও বিদেশি নাগরিকেরা জড়িত। কুরিয়ার সার্ভিসের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয় না।
যে ২০টি মামলা হয়েছে, তার মধ্যে ১৭টি মামলা করা হয়েছে ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায়। এর মধ্যে একই চক্রের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা রয়েছে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায়। গত বছরের জুনের শুরুতে সৌদি আরবে পাঠানোর সময় এক হাজার ইয়াবা এবং পরে একই মাসে এই চক্রের ২ হাজার ৩০০ এবং ১ হাজার ২৫০টি ইয়াবার দুটি চালান ধরা পড়ে। এতে চক্রের মূল হোতা শাহ আলম এবং তাঁর দুই সহযোগী ইউসুফ মোল্লা ও সাদ্দাম হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবদুস সবুর মণ্ডল বলেন, কুরিয়ার সার্ভিসে মাদকের চোরাচালান রোধে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পার্সেলে মাদক শনাক্তে কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মীদের প্রশিক্ষণের আওতায় আনা হচ্ছে। কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবহার করে মাদক পাচারে জড়িত পুরো নেটওয়ার্ক শনাক্তে কাজ চলছে।
পাচারের পেছনে যে কুরিয়ারের কর্মীরাও জড়িত, এর প্রমাণও রয়েছে ডিএনসির হাতে। গত বছরের ১০ আগস্ট আরেকটি বহুজাতিক কুরিয়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউস থেকে ছয়টি ট্রাভেল ব্যাগভর্তি ৩ হাজার ৫০০ ইয়াবা উদ্ধার করে সংস্থাটি। এই চালান সৌদি আরবে পাঠানো হচ্ছিল। এই ঘটনায় দেশীয় একটি কুরিয়ার সার্ভিসের কিশোরগঞ্জ শাখার ম্যানেজার মোস্তাফিজুর রহমান, তাঁর দুই সহযোগী আবু দারদা ও মোজাম্মেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তদন্তের পর জানা যায়, মোস্তাফিজ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ইয়াবা সৌদি আরবে পাচার করছিলেন।
অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা জানান, কুরিয়ার সার্ভিসের প্রতিটি শাখায় ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা স্থাপন ও ফুটেজ সংরক্ষণের জন্য বলা হয়েছে। প্রতিটি বুকিং সেন্টারে স্ক্যানার স্থাপনের কথাও বলা হয়েছে।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের স্বত্বাধিকারী ও কুরিয়ার সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি হাফিজুর রহমান একেটিভিকে বলেন, অধিকাংশ কুরিয়ার সার্ভিসের লাইসেন্স নেই। যাঁরা নিয়ম মেনে কুরিয়ার সার্ভিস পরিচালনা করছেন, তাঁরা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা মেনেই কাজ করছেন। মাদক পাচারে জড়িত ব্যক্তিদের ধরিয়েও দেওয়া হচ্ছে।
কুরিয়ার সার্ভিসের দায় পায়নি ডিএনসি
কয়েকটি মামলার তদন্তে মাদক পাচারে কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলেও কুরিয়ার সার্ভিসের কোনো দায় বা অবহেলা এখন পর্যন্ত পায়নি ডিএনসি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে বিমানবন্দরে কার্গো ভিলেজে ১২ কেজি অ্যামফিটামিন উদ্ধারের যে ঘটনা ঘটেছিল, তখন প্রশ্ন উঠেছিল স্ক্যানিং ছাড়া কীভাবে কার্গো ভিলেজে পার্সেল গেল।
তদন্তে উঠে আসে, এই চালানের গন্তব্য ছিল অস্ট্রেলিয়া। জুনায়েদ আহমেদ সিদ্দিকী নামে এক ব্যক্তি ও তাঁর স্ত্রী ফাতেমা তুজ জোহরা এই চালানের পেছনের মূল ভূমিকা রাখেন। তাঁদের সঙ্গে সতীশ কুমার সিলভারাজ নামের ভারতীয় এক নাগরিকও ছিলেন। এই ঘটনায় সংঘবদ্ধ চক্রের সাতজনকে শনাক্ত করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে তদন্তে কুরিয়ার সার্ভিসের কোনো দায় খুঁজে পাননি তিনি।
বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে বাংলাদেশ থেকে
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিএনসির পরিদর্শক ফজলুল হক খান বলেন, কুরিয়ার সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানটির স্ক্যানার ছিল না। ম্যানুয়ালি (সনাতন পদ্ধতিতে) তাদের পরীক্ষা করার কথা। তদন্তে ওই মাদক পাচারের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি।
কুরিয়ার সার্ভিসের কর্মীদের এজাহারে কেন আসামি করা হয়েছিল, জানতে চাইলে মামলার বাদী পরিদর্শক হোসেন মিয়া একেটিভিকে বলেন, বিমানবন্দরের অন্য একটি সংস্থা আসামিদের আটক করে আমাদের কাছে হস্তান্তর করেছিল। এ কারণে তাদের নামে মামলা হয়েছিল।
২০০০ সালে গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টার মামলায় ১০ জনকে বিচারিক আদালতের দেয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে হাইকোর্টের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশ হয়েছে।
বাংলায় দেয়া এ রায় সোমবার প্রকাশিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ।
চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি এই রায় দেন বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিম ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হিসেবে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ড. মো. বশির উল্লাহ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এ মোহাম্মদ শাহীন মৃধা। পলাতক আসামিপক্ষের রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী ছিলেন অমূল্য কুমার সরকার। আসামিপক্ষে ছিলেন আইনজীবী এসএম শাহজাহান, মোহাম্মদ আহাসান, ইমাদুল হক ও নাসির উদ্দিন।
এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ওয়াসিম আক্তার ওরফে তারেক ওরফে মারফত আলী, রাশেদ ড্রাইভার ওরফে আবুল কালাম ওরফে রাশেদুজ্জামান ওরফে শিমন খান, ইউসুফ ওরফে মোসাহাব মোড়ল ওরফে আবু মুসা হারুন, শেখ ফরিদ ওরফে মাওলানা শওকত ওসমান, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, মাওলানা আবু বকর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, হাফেজ মাওলানা ইয়াহিয়া, মুফতি শফিকুর রহমান, মুফতি আব্দুল হাই ও মাওলানা আব্দুর রউফ ওরফে আব্দুর রাজ্জাক ওরফে ওমর।
আসামি মেহেদী হাসান ওরফে আব্দুল ওয়াদুদ ওরফে গাজী খানকে বিচারিক আদালতের দেয়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ১৪ বছরের দণ্ডিত আসামি আনিসুল ইসলামের দণ্ড বহাল রেখেছেন উচ্চ আদালত।
তবে ১৪ বছরের দণ্ডিত মহিবুল্লাহ ওরফে মফিজুর রহমানের দণ্ড বহাল রেখে আদালত বলেন, দেখা যাচ্ছে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোর পর থেকে তার ১৪ বছর দণ্ড ভোগ করা হয়ে গেছে। তাকে বিচারিক আদালত ১৪ বছর দণ্ডের পাশাপাশি ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। সুতরাং জেল কোড অনুসারে এ আসামি তার ওপরে প্রদত্ত দণ্ড যদি ভোগ করে থাকেন, তবে তাকে মুক্তি দিতে (যদি অন্য কোনো মামলা না থাকে) নির্দেশ দেয়া হচ্ছে।
এছাড়া ১৪ বছরের অপর দণ্ডিত আসামি সারোয়ার হোসেন মিয়াকে খালাস দিয়েছেন উচ্চ আদালত। যদি অন্য মামলা না থাকে, তাহলে তাকে মুক্তির নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর এ আপিল শুনানি শুরু হয়। গত ১ ফেব্রুয়ারি শুনানি শেষে রায়ের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছিল। সে অনুসারে রায় ঘোষণা করা হয়।
২০০০ সালে শেখ হাসিনার কোটালীপাড়ায় সফর ছিলো
২০০০ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরের অংশ হিসেবে কোটালীপাড়ার শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ মাঠে ভাষণ দেয়ার কথা ছিল। সমাবেশের দু’দিন আগে ২০ জুলাই কলেজ প্রাঙ্গণে জনসভার প্যান্ডেল তৈরির সময় শক্তিশালী বোমার অস্তিত্ব পাওয়া যায়।
পরে ওই কলেজের উত্তর পাশে সন্তোষ সাধুর দোকানঘরের সামনে থেকে সেনাবাহিনীর একটি দল ৭৬ কেজি ওজনের বোমাটি উদ্ধার করে। পরদিন ২১ জুলাই গোপালগঞ্জ সদর থেকে ৮০ কেজি ওজনের আরও একটি শক্তিশালী বোমা উদ্ধার করা হয়।
এসব ঘটনায় আলাদা দু’টি মামলা দায়ের করা হয়। ২০১০ সালে মামলা দু’টি ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। জঙ্গি নেতা মুফতি আব্দুল হান্নানের অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এ মামলা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়।
২০১৭ সালের ২০ আগস্ট দুই মামলার একটিতে ১০ আসামিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এছাড়া একজন আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও তিনজনের ১৪ বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার ২ নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মমতাজ বেগম।
রায় ঘোষণার এক সপ্তাহের মাথায় ২৭ আগস্ট বিচারিক আদালত থেকে পাঠানো ডেথ রেফারেন্স, রায় ও মামলার নথিপত্র হাইকোর্টে পাঠানো হয়।
এরপর নিয়ম অনুসারে প্রয়োজনীয় কাজ সম্পন্নের পর এ ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন সেলিমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসে। শুনানি শেষে ১৭ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট।
শুভেচ্ছা কার্ড ছাড়া মিলছে না টিকা
চট্টগ্রাম মহানগরীতে গণটিকার ব্যাপক অনিয়ম চোখে পড়েছে। সারাদেশ ব্যাপি গণটিকাদান কর্মসূচির প্রথম দিন মহানগরীতে নানা অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে নিজেদের অনুসারী ও পছন্দের লোকজনকে গত দু’দিন আগে থেকে শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ করেছেন বেশিরভাগ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ফলে নিবন্ধন করেও সকাল থেকে ওয়ার্ডের টিকাকেন্দ্র থেকে টিকা না নিয়ে, লাঞ্চিত হয়েই ফিরে যেতে হয়েছে টিকা নিতে আসা সাধারণ জনগনকে।
ফেসবুকে মাসুদ করিম টিটু নামে এক বূক্তভোগি লিখেছেন, নিবন্ধন এর পর ম্যাসেজ তারপর টিকা গ্রহণ একটা সুন্দর প্রক্রিয়ায় ছিল। সময় লাগলেও সুন্দরভাবে হচ্ছিলো। চেয়ারম্যানের চামচা আর কাছের মানুষ দুই-চারশ’ জনকে টিকা দেয়ার প্রক্রিয়াকে গণটিকা কর্মসূচি নাম দিয়ে আওয়ামী লীগকে আমজনতার গালিগালাজ শােনানাে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার দেশপ্রেম এবং গণমুখী কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করা ছাড়া আর কিছুই না।
দেশ রূপান্তর পত্রিকার ফটো সাংবাদিক আকমল হোসেন ফেসবুকে লিখেছেন, এক মহিলা জনপ্রতিনিধির মেয়ে, ছেলেসহ কত কর্মী যে টিকা নিয়েছে তার হিসেব নাই। কিন্তু ভোর ৪টায় লাইনে দাঁড়ানো মানুষগুলোর জন্য উনি একবার নেমে এসে সহযোগিতা করলো না। এভাবে গণটিকা না দিয়ে বলে দিলেই হত যে টিকা জনপ্রতিনিধিরা তাদের সন্তান, বিশেষজন ও কর্মীদের দেয়ার পর অবশিষ্ট থাকলে সাধারণ মানুষ পাবে। এভাবে মানুষকে হয়রানি করার অর্থ নেই। মানুষের কান্না এবং দুর্দশার অভিশাপ লেগে যাবে।
ফেসবুকে এস এম সাব্বির লিখেছেন, গণটিকা হােক যাই হােক একটি বিষয়ে সাধারণ মানুষের মনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া করবে। আপনার আরবান কমিউনিটি টিম যেটি সেটি করা উচিত ছিল, রাজনৈতিক দলীয় নেতা-কর্মীদের বাদ দিয়ে। এখানে যারা টিকাদান কমিটি যাদের নেতৃত্বে টিকাদান চলবে ওনারা স্বজনপ্রীতিকে প্রাধান্য দিবে সেটি শতভাগ।
অনেকে আবার হাস্যরসের মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছেন এই টিকা কার্যক্রমের স্বচ্ছতা নিয়ে। আবু রায়হান তানিন লিখেছেন, তৃণমূল পর্যায়ে গণভোগান্তি কর্মসূচি। ধন্যবাদ সংশ্লিষ্ট সকলকে।
চট্টগ্রাম নগরের ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডের বাসিন্দা রোকেয়া বেগম বলেন, আমি গতকাল যখন ভোটার আইডি কার্ড নিয়ে এসেছিলাম তখন বারবার জিজ্ঞেস করেছি আর কিছু লাগবে কি না। তারা বলেছিলেন না লাগবে না। কিন্তু আজকে টিকা নিতে আসার পর তারা আমার কাছে শুভেচ্ছা কার্ড খুঁজে। এমন কোনো কার্ডই আমাকে দেওয়া হয়নি তাহলে আমি পাবো কোথা থেকে। গতকাল ভেবেছিলাম হয়তো টিকাটা দিতে পারবো। কিন্তু তা আর হলো না। বাসায় চলে যাচ্ছি।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ১৭নং পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম একেটিভিকে বলেন, আমার ওয়ার্ডে খুব সুন্দরভাবেই গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। বয়োজ্যেষ্ঠ, প্রতিবন্ধী এদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
রেজিষ্ট্রেশন ফর্ম পূরণ করেও টিকা নিতে না পারার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এসব মিথ্যা অভিযোগ। কতজন কত অভিযোগ করবে।
শুভেচ্ছা কার্ড
শুভেচ্ছা কার্ড বিতরণ করে টিকাদান প্রসঙ্গে কাউন্সিলর মোহাম্মদ শহিদুল আলম বলেন, শৃঙ্খলা বজায় রেখে টিকা দেওয়ার জন্য আমি শুভেচ্ছা কার্ডের মাধ্যমে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। না হলে কম্পিউটারের দোকানে যে কেউ নিবন্ধন স্লিপ বের করে লাইন ধরবে। এসব যাতে না হয় তাই আমার এই প্রচেষ্টা।
এদিকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পঞ্চাশের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠী, নারী ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা দেওয়ার কথা থাকলেও নগরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে কাউন্সিলরের সরবরাহ করা বিশেষ টোকেন ছাড়া করোনার টিকা মিলেনি বলে অভিযোগ আছে। ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টোকেন না থাকায় হতাশ হয়ে ফিরে গেছেন অসংখ্য সাধারণ মানুষ।
চট্টগ্রাম সিটিতে মডার্নার টিকা দেওয়ার জন্য ৪১টি ওয়ার্ডের ১২৩টি কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়। সরেজমিন নগরের ১৬ নং চকবাজার, ১৭ নং পশ্চিম বাকলিয়া, ২৯ নং পশ্চিম মাদারবাড়ী, ৩৭ নং উত্তর মধ্যম হালিশহর ওয়ার্ড ঘুরে দেখা যায়, ছাত্রলীগের স্থানীয় কর্মীরা নিয়ন্ত্রণ করছেন টিকাদান কার্যক্রম। এসব ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের কর্মীদের সঙ্গে টিকা নিতে আসা সাধারণ মানুষকে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হতেও দেখা যায়।
সব বিষয় অবহিত করে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের কাছে জানতে চাইলে তিনি একেটিভিকে বলেন, আপনার এসব প্রশ্নের জবাব আমি দিতে পারবো না। কিছু জানার থাকলে আপনি প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করুন।
চসিকের স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান ডা. সেলিম আকতার চৌধুরীর নাম্বারে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি সাড়া দেননি।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি একেটিভিকে বলেন, আসলে এটা আমাদের একটা টেস্ট কেইস ছিল। সব ভুল-ত্রুটির অভিজ্ঞতা নিয়েই আমরা পরের ক্যাম্পেইন করবো। ১৪ আগস্ট আমাদের নেক্সট ক্যাম্পেইন। আশা করি, সেসময় আমরা এসব ভুল-ত্রুটি শোধরাতে পারবো।
এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেইসবুকে অনেক সাধারণ মানুষ টিকা নিতে গিয়ে নিজের তিক্ত অভিজ্ঞতা ও ভোগান্তির কথা শেয়ার করেছেন।
বাপ্পী নীল নামে একজন লিখেছেন, ভ্যাক্সিন দিতে গিয়ে ইতিমধ্যে খারাপ আচরণের শিকার হয়েছে আজ এলাকার এক বয়স্ক মানুষ। আগামীতে আরও কী অপেক্ষা করছে সেটাই দেখার জন্য অপেক্ষা। ভ্যাক্সিন দিচ্ছে নেত্রী আর স্ট্যাটাস দিচ্ছে অমুক ভাই তমুক ভাইয়ের নির্দেশনায়।
সর্বশেষ টিকা নিয়েও হচ্ছে দূর্নীতি, অনিয়ম গণটিকা নিতে আসা জনগন দূর্ভোগে পড়েছে। চট্টগ্রামে ভ্যাক্সিনের জন্য এমন আহাজারি যেন দেখার কেউ নেই। নগরের কয়েকটি ওয়ার্ডে গণটিকার কর্মসুচির নামে দেখা গেছে শুভেচ্ছা কার্ড। যা সরকারের সাধারন মানুষের জন্য যে গণটিকাদান কর্মসুচি সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রচেষ্টা।
মাত্র ৪৭ হাজার টাকায় নতুন বাইক, লিটারে মাইলেজ ৯০ কি.মি
উৎসবের মৌসুমে অতিরিক্ত বেশ কয়েকটি নতুন ফিচারসহ বাজারে এসেছে বাজাজে’র সিটি ১০০-এর নতুন মডেল। নতুন মডেলের নাম রাখা হয়েছে সিটি ১০০ কেএস।
এতে ৮টি নতুন ফিচার যোগ হয়েছে। আর মিলবে ৪৭ হাজার টাকারও কম দামে।
নতুন এই বাইকের সামনের সাসপেন্সর আগের থেকে আরামদায়ক এবং উন্নত করা হয়েছে। ফুয়েল মিটারে এমন প্রযুক্তি ব্যবহার হয়েছে যা বাইকে ঠিক কতটা পরিমান জ্বালানি রয়েছে তার সঠিক মাপ দেখাবে।
হ্যান্ডেলবারে ব্যবহার করা হয়েছে ক্রসটিউব, যা আরও বেশি স্টেবিলিটি দেবে। আরও আরামদায়ক সিট থাকছে নতুন মডেলে। এছাড়াও বেশ কিছু নতুন ফিচার যোগ হয়েছে বাইকটিতে।
৪৬ হাজার ৪৩২ টাকায় নতুন বাইক
গ্লস ইবনি ব্ল্যাকের সঙ্গে নীলের ছোঁয়া, ম্যাট অলিভ গ্রিনের সঙ্গে হলুদ এবং গ্লস ফ্লেম রেড এই তিনটি রঙে পাওয়া যাচ্ছে বাজাজের সিটি ১০০ কেএস এই বাইকটি। দিল্লিতে এক্স শোরুমে দাম রাখা হয়েছে ৪৬ হাজার ৪৩২ টাকা।
বাজাজ অটো লিমিটেডের মার্কেটিং হেড নারায়ণ সুন্দর রমন জানিয়েছেন, সিটি ব্র্যান্ডের সব মডেলই এর শক্তিশালী এবং সাশ্রয়কারী গুণের জন্য পরিচিত। এই মডেলটিও ক্রেতাদের মন কাড়বে বলে দাবি
করেছেন তিনি।
মাত্র ৯০০ টাকা সহজ কিস্তিতে লোন
আবাসন খাতে জমি বা ফ্ল্যাট কেনা ও বাড়ি নির্মাণ বা মেরামতে দীর্ঘমেয়াদী ঋণ দিচ্ছে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন। ৯ শতাংশ সরল সুদে এই ঋণ পরিশোধ করা যাবে সর্বোচ্চ ২০ বছরে। আর প্রতি লাখে মাসিক কিস্তি দিতে হবে মাত্র ৯০০ টাকা।
বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশনের এমন ঋণ কার্যক্রম নিয়ে কর্পোরশনের ডিজিএম মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম জানান, পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।
লো লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন
লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন
নগর এলাকায় যারা জমি বা প্লট কিনতে চান তাদের জন্য নগর বন্ধু, জেলা পর্যায়ে যারা ঋণ নিতে চান তাদের জন্য পল্লীমা, দেশের বাইরে থাকা যেসব প্রবাসীরা ঋণ নিতে চান তাদের জন্য প্রবাস বন্ধু, যারা নিজেদের স্থাপনা আরো ভালো করতে চান তাদের জন্য আবাসন উন্নয়ন আর সবশেষে যারা নিজেদের স্থাপনা মেরামত করতে চান তাদের জন্য আবাসন মেরামত নামের পাঁচটি প্যাকেজ রয়েছে।
৫ বছর মেয়াদী ঋণের জন্য প্রতি মাসে দুই হাজার ৭৬ টাকা, ১০ বছরে মাসিক ১ হাজার ২৬৮ টাকা, ১৫ বছরের জন্য মাসিক ১ হাজার ১৪ টাকা আর ২০ বছরের জন্য প্রতি মাসে কিস্তি আসবে সর্বনিম্ন ৯০০ টাকা।
খায়রুল ইসলাম বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান দেশের একমাত্র রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান যেটি আর্থিক খাতে ঋণ দেয়। এক সংখ্যার অংকে সরল সুদে ঋণ দেয়া হয়। মোট পাঁচটি ক্যাটাগরিতে ফ্ল্যাটের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৮০ লাখ আর জমির ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশি নাগরিকরা সর্বোচ্চ ২০ বছরে এবং যারা প্রবাসে আছেন তারা সর্বোচ্চ ২৫ বছরে মাসিক কিস্তিতে এই ঋণ পরিশোধ করতে পারবেন। ১৮ থেকে ৬৫ বছর বয়সী বাংলাদেশের যেকোন নাগরিক শর্ত সাপেক্ষে এই ঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।
ব্যাংকের তুলনায় কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেওয়া সুবিধা ও লাভজনক উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটির এই কর্মকর্তা বলেন, যেহেতু এটা একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান তাই এটির সুধ সরকার কর্তৃক নির্ধারিত হয়। গ্রাহক প্রতি মাসে যে কিস্তি পরিশোধ করবেন সেটি থেকে আসলের অংকও নিয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানটি।
এছাড়াও ব্যাংক সাধারণত দুই অঙ্কের সংখ্যার সুদে ঋণ দেয়। তাই ব্যাংকের তুলনায় তাদের থেকে ঋণ নেওয়া লাভজনক।
অন্যদিকে ব্যাংকে সাধারণত তিন মাস কিস্তি বকেয়া পড়লেই কর্তৃপক্ষ মামলা-মোকদ্দমা বা অন্যান্য আইনানুগ পদক্ষেপে চলে যায়। কিন্তু এখানে সর্বোচ্চ ২৪ কিস্তি পর্যন্ত বকেয়ার সুবিধা দেওয়া হয় গ্রাহকদের।
তাই তুলনামূলকভাবে বিচার করলে হাউজ বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন থেকে ঋণ নেওয়া সুবিধার ও লাভজনক।
খায়রুল ইসলাম আরো বলেন, অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা ঋণ দেয় কিন্তু প্রপার্টি কিনতে হবে তাদের পছন্দনীয় জায়গা থেকে। আমাদের এখানে এ ধরনের বাধ্যবাধকতা নেই, আমরা শুধু অর্থ ঋণ দিয়ে থাকি।
গ্রাহকের যেখানে সুবিধা মনে হবে তিনি এই অর্থ দিয়ে সেখানেই প্রপার্টি কিনতে পারবেন।
কম সুদে লোন পাবেন যেসব ব্যাংকে
দেশের ৫৭টি তফসিলি ব্যাংকের মধ্যে বর্তমানে ৩৭টি ব্যাংকের ঋণের সুদহার ১০ শতাংশের নিচে। যার মধ্যে ১০ ব্যাংকের ঋণের সুদহার ৮ শতাংশের নিচে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ২০১৬-১৭ অর্থবছরের মে শেষে ঋণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর গড় সুদহার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। ঋণের ক্ষেত্রে সবচেয়ে কম সুদ নিচ্ছে বিদেশি ব্যাংক। ঋণের ক্ষেত্রে বিদেশি ব্যাংকগুলোর গড় সুদহার ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
বিশেষায়িত ব্যাংকের সুদহার ৯ দশমিক ৭ শতাংশ। তবে বেসরকারি অনেক ব্যাংকে এখনো ঋণের সুদহার ১০ শতাংশের উপরে রয়েছে। ঋণের ক্ষেত্রে ৮ শতাংশের নিচে সুদ নেওয়া ব্যাংকগুলো হলো- রাষ্ট্রায়ত্ত বেসিক ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক।
বিদেশি হাবিব ব্যাংক, সিটি ব্যাংক এনএ, কমার্শিয়াল ব্যাংক অব সিলন, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ওয়ারি ব্যাংক, এইসএসবিসি এবং ব্যাংক আলফালাহ লিমিটেড। এছাড়া বেসরকারি আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
এছাড়া ১০ শতাংশের নিচে ঋণ দিচ্ছে ইসলামী ব্যাংক, দ্য সিটি ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক, সীমান্ত ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, এনসিসি ব্যাংক, প্রাইম ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, আল আরাফা ইসলামী ব্যাংক, ডাচ-বাংলা ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক, স্টান্ডার্ড ব্যাংক, বিসিবিএল, ব্যাংক এশিয়া, ট্রাস্ট ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক, যমুনা ব্যাংক এবং আইসিবি ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড।
৬% সুদে ঋণ পাবেন ছোট উদ্যোক্তারা
মহামারী করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে ছোট উদ্যোক্তারা ছয় শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে দুই শতাংশ সুদে ঋণ নিয়ে ছোট উদ্যোক্তাদের এই ঋণ দেবে ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ।
সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কুটির, মাইক্রো, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা অক্ষুন্ন রাখা এবং কর্মসংস্থান বৃদ্ধির লক্ষ্যে সিএমএসএমই খাতে চলতি মূলধন ঋণের পাশাপাশি মেয়াদি ঋণপ্রবাহ বাড়াতে সরকার এবং এডিবির যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত এসএমইডিপি-২ প্রকল্পের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল বিষয়ে কয়েকটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ঋণের সুদ হার অংশগ্রহণকারী ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে দুই এবং গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ছয় শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।
পুনঃনির্ধারিত সুদ হার এ তহবিলের আওতায় সকল ঋণের ক্ষেত্রে এ বছরের ১৮ নভেম্বর থেকে কার্যকর হবে। তহবিলের অন্য শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বাস্তবায়নাধীন এই পুনঃঅর্থায়ন তহবিলটি ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার বাইরে সুবিধাবঞ্চিত কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প উদ্যোক্তাদের স্বল্প সুদে এবং সহজ শর্তে ঋণ বিতরণের লক্ষ্যে গঠন করা হয়।
এ প্রকল্পের আওতায় অক্টোবর ২০২০ পর্যন্ত প্রায় তিন হাজার এসএমই প্রতিষ্ঠানকে এক হাজার কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তহবিলের আওতায় এ পর্যন্ত মোট ৩৩টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান চুক্তিবদ্ধ রয়েছে।
গত এপ্রিল থেকে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদের হার নয় শতাংশ করা হয়েছে। তবে সরকার ও এডিবির অর্থায়নে পরিচালিত এই তহবিল থেকে ঋণ নিলে উদ্যোক্তাদের ছয় শতাংশ সুদ দিতে হবে।
গত মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর সরকার এ পর্যন্ত মোট সোয়া লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে অন্যতম ছিল সিএমএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা। তবে বার বার তাগাদা এবং সময় বাড়িয়ে এ ঋণ বিতরণে কাঙ্ক্ষিত সুফল পাওয়া যাচ্ছে না।
এই তহবিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা নয় শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। তবে ব্যাংকগুলোকে চার দশমিক পাঁচ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে, বাকি সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে।
লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন
লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন লোন
হেলেনা জাহাঙ্গীরের উত্থান যেভাবে
ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের উত্থান হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে। রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পাশাপাশি নানা কারণে তিনি বেশ কিছুদিন ধরে আলোচনায়।
ফেসবুকে ২০ লাখের বেশি ফলোয়ার হেলেনা জাহাঙ্গীরের। বেশ কয়েক বছর ধরে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এই ব্যবসায়ী ও নারী উদ্যোক্তা, যিনি যুক্ত রাজনীতির সঙ্গেও।
সম্প্রতি ‘চাকরিজীবী লীগ’ নামে একটি সংগঠনের সূত্র ধরে তিনি আবারও আলোচনার কেন্দ্রে চলে এসেছেন। ভুঁইফোড় এ সংগঠনের সভাপতি হিসেবে তার নাম এসেছে। যদিও তিনি বলেছেন, তিনি ওই পদ এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করেননি।
ব্যবসায়ী ও শিল্পোদ্যোক্তা হিসেবে হেলেনা জাহাঙ্গীরের উত্থান হয়েছে অল্প সময়ের মধ্যে। অষ্টম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বিয়ে হয়ে যায় তার। নামের সঙ্গে যুক্ত হয় জাহাঙ্গীর।
স্বামীর সংসারে পড়াশোনা অব্যাহত রাখেন; শেষ করেন স্নাতকোত্তর। এরপর শুরু করেন তার উদ্যোক্তা জীবন।
তিনি একাধারে প্রিন্টিং, অ্যামব্রয়ডারি, প্যাকেজিং, স্টিকার এবং ওভেন গার্মেন্টস প্রতিষ্ঠানের কর্ণধার। জয়যাত্রা গ্রুপের আওতায় এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি। সব মিলিয়ে ১২ হাজার কর্মী কাজ করছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
হেলেনা জাহাঙ্গীর ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অফ বাংলাদেশ চেম্বার্স অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের (এফবিসিসিআই) সদস্য ও নির্বাচিত পরিচালক। এ ছাড়া তৈরি পোশাক শিল্প মালিকদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএরও সক্রিয় সদস্য তিনি।
এফবিসিসিআইয়ের সদস্যপদ পাওয়ার এক মাসের মাথায় নির্বাচনে নেমে ও পরিচালক নির্বাচিত হয়ে আলোচনার জন্ম দেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। জয়যাত্রা নামে একটি স্যাটেলাইট টেলিভিশনেরও মালিক তিনি। প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক পুরস্কৃতও হয়েছেন রোটারি ক্লাবের একজন ডোনার হিসেবে।
রাজনৈতিক অঙ্গনে রয়েছে তার দাপুটে উত্থান ও পদচারণা। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক উপকমিটির সদস্য ছিলেন। সাম্প্রতিক ঘটনার পর তাকে ওই কমিটি থেকে বাদ দেয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
তবে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেছেন, তাকে এ ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক চিঠি বা নোটিশ দেয়া হয়নি। এ ছাড়া তিনি কুমিল্লা জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন; হয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কয়েকটি বিদেশযাত্রার সফরসঙ্গীও।
এখন আওয়ামী রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হলেও এর আগে তার জাতীয় পার্টিতে এবং তারও আগে বিএনপির রাজনীতিতে সংশ্লিষ্টতার খবর পাওয়া যায়। গণমাধ্যমে ওই দুটি দলের প্রধান খালেদা জিয়া ও হুসেইন মোহাম্মদ এরশাদের সঙ্গে ছবিও প্রকাশ পেয়েছে।
প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে ২০১৫ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচন করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন হেলেনা জাহাঙ্গীর। তখন দাবি করতেন, তার কোনো রাজনৈতিক দল নেই। তিনি স্বতন্ত্র রাজনীতি করতে চান। যদিও পরে তিনি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান।
বাংলাদেশ আওয়ামী চাকরিজীবী লীগ গঠনের ঘোষণা দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন হেলেনা জাহাঙ্গীরশুধু রাজনৈতিকভাবেই নয়, বিভিন্ন সামাজিক ও জনকল্যাণমুলক সংগঠনগুলোর সঙ্গেও হেলেনা জাহাঙ্গীরের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তিনি প্রায় এক ডজন সামাজিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয় দায়িত্বে রয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচিত ও বিতর্কিত ব্যক্তিত্ব সেফায়েতুল্লাহ সেফুর (সেফুদা) সঙ্গে তার বিতর্কিত কথোপকথন সম্পর্কিত একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। একটি গণমাধ্যমের মালিকের সঙ্গে তিনি গান গাওয়ার প্রস্তাব পেয়েছেন এমন দাবি সম্পর্কিত ফেসবুক স্ট্যাটাস এবং এ বিষয়ে ওই গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বের পাল্টা কঠোর প্রতিবাদ ফলোয়ারদের মধ্যে তুমুল আলোচনার খোড়াক জোগায়। ফেসবুকেও প্রায়শ তার নানা ধরনের পোস্ট ও লাইভ নানাভাবে আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে।
হেলেনা জাহাঙ্গীরের জন্ম ১৯৭৪ সালের ২৯ আগস্ট ঢাকার তেজগাঁওয়ে। উইকি ফ্যাক্টসাইডার নামের একটি ওয়েবসাইটে তার পেশা হিসেবে অ্যাংকর বা উপস্থাপক উল্লেখ করা হয়েছে।
হেলেনার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম একজন ব্যবসায়ী। ১৯৯০ সালে তারা বিয়ে করেন। তিনি তিন সন্তানের জননী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হেলেনা জাহাঙ্গীরের বাবা মরহুম আবদুল হক শরীফ ছিলেন জাহাজের ক্যাপ্টেন। সেই সূত্রে জন্ম কুমিল্লায় হলেও হেলেনা জাহাঙ্গীরের বেড়ে ওঠা চট্টগ্রামের হালিশহরের মাদারবাড়ী, সদরঘাট এলাকায়। পড়াশোনা স্থানীয় কৃষ্ণচূড়া স্কুলে।
চাকুরি সূত্রে তার বাবা প্রমোশনাল প্রস্তাব পেয়ে রাশিয়ায় চলে গেলে মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়ি ফিরে যান হেলেনা।
এফবিসিসিআই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একাধিক গণমাধ্যমকে হেলেনা জাহাঙ্গীরের দেয়া সাক্ষাৎকার সূত্রে জানা যায়, বিয়ের সময় স্বামী জাহাঙ্গীর আলম নারায়ণগঞ্জের একটি প্রতিষ্ঠিত পোশাক কারখানার জিএম পদে চাকরি করতেন। পাশাপাশি সিএন্ডএফ এজেন্ট ব্যবসার সঙ্গেও সংশ্লিষ্টতা ছিল।
তবে গৃহিণী হিসেবে বসে না থেকে পড়াশোনা শেষ করে হেলেনা জাহাঙ্গীর শুরুতে চাকরির চেষ্টা করেন। বিভিন্ন জায়গায় চাকরির জন্য ইন্টারভিউও দিয়েছেন তিনি। একদিন চাকরি খোঁজার সূত্র ধরে চলে যান স্বামী জাহাঙ্গীর আলমের অফিসে। সেখানে স্বামীর অফিস কক্ষ দেখে তিনি ঠিক করেন নিজেই উদ্যোক্তা হওয়ার। স্ত্রীর প্রস্তাবে রাজি হয়ে যান স্বামী জাহাঙ্গীর আলম।
বিয়ের ছয় বছর পর ১৯৯৬ সালে রাজধানীর মিরপুর ১১ তে একটি ভবনের দুটি ফ্লোর নিয়ে তিনি শুরু করেন প্রিন্টিং ও অ্যামব্রয়ডারি ব্যবসা। পোশাক শিল্পের ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ হিসেবে নানান ধরনের পণ্যের জন্য লোগো ও স্টিকার প্রিন্ট করে এ প্রতিষ্ঠান। নিট কনসার্ন প্রিন্টিং ইউনিট লিমিটেড দিয়ে শুরু করে জয়যাত্রা গ্রুপের আওতায় একে একে হেলেনা গড়ে তোলেন জয় অটো গার্মেন্টস লিমিটেড, জেসি এমব্রয়ডারি অ্যান্ড প্রিন্টিং এবং হুমায়রা স্টিকার লিমিটেড, যার সবকটিরই ব্যবস্থাপনা পরিচালক তিনি।
হেলেনা জাহাঙ্গীর গুলশান ক্লাব, গুলশান নর্থ ক্লাব, বারিধারা ক্লাব, কুমিল্লা ক্লাব, গলফ ক্লাব, গুলশান অল কমিউনিটি ক্লাব, বিজিএমইএ অ্যাপারেল ক্লাব, বোট ক্লাব, গুলশান লেডিস ক্লাব, উত্তরা লেডিস ক্লাব, গুলশান ক্যাপিটাল ক্লাব, গুলশান সোসাইটি, বনানী সোসাইটি, গুলশান জগার্স সোসাইটি ও গুলশান হেলথ ক্লাবের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
যা বললেন হেলেনা জাহাঙ্গীর
তাকে নিয়ে আলোচনার কারণ জানতে চাইলে হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমাকে ঘিরে রংচং মাখিয়ে যেসব কথাবার্তা বলা হচ্ছে, এর সবই অসত্য। এর কোনো ভিত্তি নেই। মূলত আমাকে ঘিরে স্বার্থান্বেষী মহল এক ধরনের ষড়যন্ত্র লিপ্ত। নানাভাবে তারা আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায়। আমি যেখানে যে কাজে সম্পৃক্ত নই, সেখানেও আমাকে জড়িয়ে দেয়।’
হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘স্বার্থান্বেষীরা করোনা পরীক্ষা ইস্যুতে সাহেদ-সাবরিনা কেলেঙ্কারিতেও আমাকে জড়িয়েছে। এফবিসিসিআইএ নির্বাচনেও আমাকে ঘিরে অপপ্রচার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হয়ে বিদেশযাত্রার আগে-পরেও আমাকে নিয়ে জল ঘোলা করা হয়েছে।’
আমি যা নই, আমাকে নিয়ে তা বলা হচ্ছে। আবার আমার সম্পর্কে ভাল কিছু উঠে আসলে তা নিয়ে তাদের গাত্রদাহ হয়।
হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার অবস্থানে আমি পরিষ্কার। আমি অন্যায় কোনো কিছু করি না, তাই আমাকে নিয়ে যা হচ্ছে, সেগুলোর পরোয়াও আমি করি না। আমার বুকে সৎ সাহস আছে। আজকের হেলেনা জাহাঙ্গীর এমনি এমনি তৈরি হয়নি। অদম্য সাহস, সংসারের লোকদের ত্যাগ-তিতিক্ষা আর স্বামীর নিরবচ্ছিন্ন সমর্থন ও সহযোগিতার ওপর দাঁড়িয়ে আমি আজকের হেলেনা জাহাঙ্গীর।’
চাকরিজীবী লীগ করার উদ্যোগের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি জীবনে অনেক কিছু পেয়েছি। যা পেয়েছি, তাতে আমি অনেক অনেক তৃপ্ত। নতুন করে পাওয়ার কিছু নেই, দেয়া ছাড়া। আমি চাকরিজীবী লীগ করতে যাইনি। আমাকে জড়ানো হয়েছে। ফাঁসানো হয়েছে। যার কারণে আমার নাম এখানে জড়িয়েছে, আমি তার নামে মামলা করেছি। চলতি সপ্তার মধ্যে প্রেস ব্রিফ করার ইচ্ছা আছে।’
জাতীয় পার্টি ও বিএনপিতে সংশ্লিষ্টতার হেলেনা জাহাঙ্গীর বলেন, ‘আমার বয়সই বা কত। বায়োগ্রাফি দেখুন, এতো অল্প সময়ে তিনটি রাজনৈতিক দল পরিবর্তন করা যায় কিনা বা এসব দলের প্রধানদের সংস্পর্শে যাওয়া সম্ভব হয় কিনা। আসলে দেশে একটা দল ছাড়া তো আর কোনো দল নেই। সেটা হচ্ছে আওয়ামী লীগ। আমি এই আওয়ামী লীগেই আছি। বেশ ভালভাবেই আছি। আগামীতেও থাকব।’
তিনি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেশ ও সমাজের জন্য কিছু করব, সমাজে নিজের একটি অবস্থান তৈরি করব, এমন একটি স্বপ্ন মনের মধ্যে পুষে রাখতাম। আর এই স্বপ্নের অনুপ্রেরণা ছিলেন আমার বাবা। পরবর্তীতে আমার স্বপ্নের বাস্তব রূপায়নে কার্যকর সহায়তা করেছেন আমার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম।
‘তার অনুপ্রেরণা ও সান্নিধ্য আমাকে এতদূর নিয়ে এসেছে। জীবনে যা অর্জন করেছি, তা পেয়েছি কষ্টসাধ্য পরিশ্রম, ত্যাগ, স্বামীর সূত্রে পাওয়া বিনিয়োগ এবং স্থির পরিকল্পনায় মেধা খাটিয়ে। কারো দয়ায় নয়।’
আরো পড়ুন: নারী দেহের যে ৫টি অঙ্গ বড় হলে সৌভাগ্যবতী হিসেবে ভাবা হয়
জীবননগরে পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় নারী, গাছে বেঁধে নির্যাতন…
জনবল নিয়োগ দিবে একে টেলিভিশন
বদলে যাচ্ছে চাকরির বাজার এবং বাড়ছে ডিজিটাল কন্টেন্টের চাহিদা। সময় পরিবর্তনের সঙ্গে মিল রেখে একে টেলিভিশন এর ডিজিটাল বিভাগে তিন ক্যাটাগরিতে জনবল নিয়োগ করা হবে।
পদের নাম:
১. ডিজিটাল কন্টেন্ট এক্সিকিউটিভ
কাজের প্রকৃতি : ডেস্ক জব
কাজের ধরণ : ফুলটাইম
বেতন : ১৪ হাজার থেকে ১৬ হাজার
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:
*ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ার কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও জ্ঞান
*ফটোশপের বেসিক ধারণা
*এসইও সম্পর্কে জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা
*কাজের চাপ নেবার ইতিবাচক মানসিকতা
*প্রয়োজনে নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহ
*বাংলা ও ইংরেজিতে দ্রুত টাইপ করার ক্ষমতা
*সংবাদ সম্পাদনা সম্পর্কে জ্ঞান
*বাংলা শুদ্ধ বানান জানা
দায়িত্বসমূহ:
*দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার যে কোনো সময়ে (রোস্টার/শিডিউলের ভিত্তিতে) কাজ করার মানসিকতা
*ফেসবুক ও ইউটিউব -এর কন্টেন্ট নিয়ে সৃজনশীলতা প্রদর্শন এবং নতুন নতুন পরিকল্পনা ও ভালো ফলাফল আনার মানসিকতা
*প্রতিযোগিতাপূর্ণ অনলাইন প্ল্যাটফর্মের নতুন নতুন ফিচার ও আপডেট সম্পর্কে অবগত থাকা
শিক্ষাগত যোগ্যতা
স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক সম্পন্ন (সাংবাদিকতা এবং মার্কেটিং অভিজ্ঞদের অগ্রাধিকার)
প্রয়োজনীয় দক্ষতা
*ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম সম্পর্কে অভিজ্ঞতা
*একসঙ্গে একাধিক কাজ করার ইতিবাচক মানসিকতা
পদের নাম:
২. ভিডিও এডিটর
কাজের প্রকৃতি : প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং ও আফটার ইফেক্টস এ দক্ষতা
কাজের ধরণ : ফুলটাইম
বেতন : ১৮ থেকে ২০ হাজার
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:
*ইউটিউবসহ সোশ্যাল মিডিয়ার কপিরাইট পলিসি সম্পর্কে সম্যক ধারণা ও জ্ঞান
*ফটোশপের বেসিক ধারণা
*কাজের চাপ নেবার ইতিবাচক মানসিকতা
*প্রয়োজনে নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহ
*বাংলা শুদ্ধ বানান জানা
দায়িত্বসমূহ:
*দিন-রাত ২৪ ঘণ্টার যে কোনো সময়ে (রোস্টার/শিডিউলের ভিত্তিতে) কাজ করার মানসিকতা
*ফেসবুক ও ইউটিউব -এর কন্টেন্ট নিয়ে সৃজনশীলতা প্রদর্শন এবং নতুন নতুন পরিকল্পনা ও ভালো ফলাফল আনার মানসিকতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
স্বীকৃত প্রতিষ্ঠান থেকে ন্যূনতম এইচএসসি পাশ
প্রয়োজনীয় দক্ষতা:
*ইউটিউব, ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম এর ভিডিও সম্পর্কে ধারণা
*একসঙ্গে একাধিক কাজ করার ইতিবাচক মানসিকতা
পদের নাম
৩. স্ক্রিপ্ট রাইটার কাম প্রেজেন্টার:
কাজের প্রকৃতি : স্ক্রিপ্ট তৈরি এবং সমসাময়িক বিষয়ের উপর উপস্থাপনা
কাজের ধরণ : ফুলটাইম অথবা পার্ট টাইম
বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে
প্রয়োজনীয় যোগ্যতা:
* বাংলায় শুদ্ধ উচ্চারণ
* সুন্দর বাচনভঙ্গি
*প্রয়োজনে নতুন কিছু শেখার প্রতি আগ্রহ
*একসঙ্গে একাধিক কাজ করার ইতিবাচক মানসিকতা
দায়িত্বসমূহ:
* প্রয়োজনে যে কোনো সময়ে (রোস্টার/শিডিউলের ভিত্তিতে) কাজ করার মানসিকতা
*ফেসবুক ও ইউটিউব -এর কন্টেন্ট নিয়ে সৃজনশীলতা প্রদর্শন এবং নতুন নতুন পরিকল্পনা ও ভালো ফলাফল আনার মানসিকতা
শিক্ষাগত যোগ্যতা:
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী (জার্নালিজমের স্টুডেন্ট বা প্রেজেন্টেশন কোর্স সম্পন্নদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে)
আগ্রহীদের উপরের শর্তাদি পূরণ করে info@aktvbd.com ইমেইলে অথবা সরাসরি আবেদন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। আবেদনে অবশ্যই পদের নাম উল্লেখ করতে হবে। আবেদন করতে নিচের লিংক অথবা ছবিতে ক্লিক করুন….
সরাসরি যোগাযোগ:
একে টেলিভিশন
বাড়ি-১১, সড়ক-১১, ব্লক-ডি, মিরপুর-১২, ঢাকা-১২১৬
মুঠোফোন: ০১৯১৫-৫৪৭৬৬৬
web: www.aktvbd.com
লাফালাফি করলে আবার ভিডিও ভাইরাল হবে -অভিনেত্রী কেয়া
পরিচিতির কারণে এখন সেভাবে বাইরে ঘুরতে পারেন না। তারপরও বিধিনিষেধের আগে ইচ্ছামতো সময়গুলো কাটানোর চেষ্টা করেছেন। এখন বাসায় নিজের নাটকগুলো দেখছেন।
পায়েল বলেন, ঈদ নিয়ে এখন আর আগের মতো উৎসব–উৎসব ভাব পাই না। আগে পরিকল্পনা করে শপিং করতাম। ঈদের সাত দিন পেরিয়ে গেলেও ঈদ ফুরাত না। বন্ধু আর কাজিনদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম।
এখনো আড্ডা হয়। কিন্তু অভিনয়ের জন্য নিজের স্বাধীনতা কমে গেছে। বিরতিতে চেষ্টা করছি নিজের মতো করে সময় কাটানোর।

ঈদে পায়েলের ২০টি নাটক বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেল ও অনলাইনে প্রচারিত হচ্ছে। তাঁর অভিনীত রাফাত মজুমদারের স্বপ্নের নায়িকা, মিজানুর রহমান আরিয়ানের শুভ প্লাস নিলা, মাহমুদুর রহমানের কাবিননামাসহ একাধিক নাটক উল্লেখযোগ্য।
এখনো বেশ কিছু নাটক মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, ‘দর্শক আমাকে চিনছেন, আমার নাটক দেখে মন্তব্য ও সমালোচনা করছেন, এগুলোই বড় পাওয়া। আমি যদি একটুও খ্যাতি পেয়ে থাকি, সেটা ধরে রাখাই আমার কাছে বড় কথা। আমি নিয়মিত অভিনয় শিখছি। এই শেখা আমি সব সময় চালিয়ে যেতে চাই।
এবার ঈদের নাটক নিয়ে পায়েলের মন খারাপ। অনেকগুলো কাজে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর কঠোর বিধিনিষেধের কারণে কিছু নাটকের শুটিং করতে পারেননি।
তা ছাড়া শুটিং হাউসের বাইরে বা রাস্তায় শুটিং করতে হবে, এমন গল্পে নাম লেখাননি তিনি।
পায়েল বলেন, এবার ঈদুল ফিতরের চেয়ে বেশি নাটক মুক্তির সম্ভাবনা ছিল। বিধিনিষেধে বেশ কিছু কাজ হলো না। তা ছাড়া তৌসিফ ভাইয়ের করোনা হলো।
এ ছাড়া বাইরে অনেক ভালো কিছু গল্পের চিত্রনাট্য ছিল, সেগুলো করোনা সতর্কতার কারণে করতে রাজি হইনি। সেসব গল্পের জন্য আফসোস হচ্ছে। তবে ঈদের পর এগুলোর শুটিং করব।
অতিরিক্ত পড়ুন…
করোনার আরও ভয়ঙ্কর রূপ প্রকাশ, শুধু ফুসফুস নয় বিকল করে দিচ্ছে কিডনিও!
হযরত নূহ (আ.) এর জীবনী, আল্লাহ’র নির্দেশে বানানো সেই নৌকার ইতিকথা
এনআইডি ছাড়া যেভাবে টিকা পাওয়া যেতে পারে
৮৫ টাকার জুয়া খেলে জিতলো ৬ কোটি টাকা
শিল্পার স্বামীর পর্নো ব্যবসার জাল কলকাতা পর্যন্ত ছড়ানো
আমি দুঃখিত, লজ্জিত, বিব্রত এবং অনুতপ্ত
ভারতে ২০ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ
অগ্রিম ৩৩৯ কোটি টাকার হদিস নেই, মামলার সুপারিশ ইভ্যালির বিরুদ্ধে
দেখা মিললো সাকিবের ছেলের
মাহমুদউল্লাহর অবসর নিয়ে তোলপাড়; যা বললেন আশরাফুল
বলিউড তারকা শিল্পা শেঠি ফেঁসে যাচ্ছেন!
এক গানে তিন কোটি রুপি
এবারের ঈদেও গান শোনাবেন ড. মাহফুজুর রহমান
মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র মেয়র