সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বাহিনীর অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বাহিনীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নির্দেশে গতকাল মঙ্গলবার এ হামলা চালানো হয়।

তবে এতে হতাহত হওয়ার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। খবর সিএনএনের।

উত্তর-পূর্ব সিরিয়ায় অবস্থানরত মার্কিন সেনাদের ঘাঁটির কাছে এক সপ্তাহেরও আগে কয়েকটি রকেট হামলা চালানো হয়। ওই হামলার জবাবে পাল্টা হামলার নির্দেশ দেন বাইডেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ডের (সেন্টকম) এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিরিয়ার দেইর এজ-জোর এলাকায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর অবস্থান লক্ষ্য করে এ হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী।

সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বাহিনীর অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

সেন্টকমের মুখপাত্র কর্নেল জো বুচিনো বিবৃতিতে বলেন, ‘ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) সঙ্গে যুক্ত গোষ্ঠীগুলোর স্থাপনা লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়।’

জো বুচিনো বলেন, প্রেসিডেন্ট বাইডেনের নির্দেশনায় মার্কিন সামরিক বাহিনী সিরিয়ার দেইর এজ-জোরে মঙ্গলবার সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালিয়েছে। ১৫ আগস্ট মার্কিন সেনাদের ওপর ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো হামলা চালায়। এ ধরনের হামলাগুলো থেকে মার্কিন বাহিনীর আত্মরক্ষা ও সুরক্ষার উদ্দেশ্যে এই সুনির্দিষ্ট বিমান হামলা চালানো হয়।

গত সপ্তাহে ইরাক সীমান্তের ‘গ্রিন ভিলেজ’ ঘাঁটির কাছে ওই হামলা চালানো হয়। ওই হামলায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বা হতাহত হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি।

বুচিনো সিএনএনকে বলেন, সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোর গোলাবারুদের মজুত ও সরঞ্জাম রাখার কাজে ব্যবহৃত বেশ কিছু বাংকারকে লক্ষ্যবস্তু হিসেবে স্থির করে যুক্তরাষ্ট্র। একই কমপ্লেক্সে অবস্থিত ১৩টি বাংকারের মধ্যে ৯টিতে হামলা চালানো হয়।

সিরিয়ায় ইরান-সমর্থিত বাহিনীর অবস্থানে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলা

 

বুচিনো জানান, দুটি বাংকারে কোনো লোকজন আছে কি না, সেটা নিশ্চিত হতে না পারায় এবং বাকি দুটি বাংকারের আশপাশ লোকজন থাকায় সেগুলোয় হামলা চালানো হয়নি। হামলার উদ্দেশ্য ছিল বাংকার ধ্বংস করা। প্রাথমিক মূল্যায়ন অনুযায়ী হামলায় কেউ নিহত হয়নি।

এদিকে, ইরানের আধা সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছে, সিরিয়ায় আইআরজিসির স্থলবাহিনীর জেনারেল আবুলফজল আলিজানি নিহত হয়েছেন। তিনি দেশটিতে ‘সামরিক উপদেষ্টা’ হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন।

জেনারেল আলিজানি গত সোমবার নিহত হন বলে বার্তা সংস্থাটি জানিয়েছে। তিনি কোথায় এবং কীভাবে নিহত হয়েছেন, প্রতিবেদনে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রের হামলার সঙ্গে তাঁর নিহত হওয়ার কোনো যোগসূত্র আছে কি না, সেটাও স্পষ্ট নয়।

সিরিয়ায় প্রায় ৯০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছেন। আত-তানফ ঘাঁটি আর দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় তেলক্ষেত্রগুলোয় তাঁরা মোতায়েন রয়েছেন।

 

দারিয়া হত্যা জঘন্য-নিষ্ঠুর অপরাধ: পুতিন

পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন অ্যান্থনি ফাউসি

Leave A Reply

Your email address will not be published.