রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়ল ইউক্রেনীয় সেনারা

রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডি আর কঙ্গো) জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন ছেড়ে দেশে ফিরেছেন ইউক্রেনের ২৫০ সেনা। খবর বিবিসির।

মার্চে ইউক্রেনের এই বিমান শাখা প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। এতে জাতিসংঘের ওই মিশনে মারাত্মক হেলিকপ্টার স্বল্পতা দেখা দিতে পারে বলে কূটনীতিকেরা সতর্ক করেছিলেন।

ডি আর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় ঘন অরণ্যে থাকা বিভিন্ন বিদ্রোহী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এসব হেলিকপ্টার গুরুত্বপূর্ণ। সেখানে জাতিসংঘ বহরের এক-তৃতীয়াংশই আটটি ইউক্রেনীয় হেলিকপ্টার দিয়ে গঠিত।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়ল ইউক্রেনীয় সেনারা

গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে হামলা চালায় রাশিয়া। এরপর জাতিসংঘের অন্যান্য মিশনে মোতায়েন করা সেনাদের ইতিমধ্যেই ফিরিয়ে নিয়েছে ইউক্রেন। ডি আর কঙ্গোর সংসদীয় প্রতিরক্ষা কমিটির দায়িত্বে থাকা জ্যাকস এনজোলি বলেন, এই প্রত্যাহার তুলনামূলকভাবে গুরুতর বিষয়। তবে তিনি বলেন, দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনা প্রাথমিকভাবে কঙ্গো সেনাবাহিনীরই দায়িত্ব।

ইউক্রেনীয় সেনাদের মিশন ছেড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর ব্রাজিলিয়ান কমান্ডার জেনারেল মারকোস দা কস্তা বলেন, তাঁদের ১০ বছরের অসামান্য অবদান ‘ব্যাপকভাবে প্রশংসিত হয়েছে’।

রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়তে শান্তিরক্ষা মিশন ছাড়ল ইউক্রেনীয় সেনারা

 

এমনিতেই ডি আর কঙ্গোতে জাতিসংঘ মিশন মোনুস্কো চাপের মধ্যে রয়েছে। পূর্বাঞ্চলে শান্তি পুনঃপ্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট ভূমিকা পালনে ব্যর্থতার জন্য এই মিশন ব্যাপকভাবে সমালোচিত। এই অঞ্চলে বহু বিদ্রোহী গোষ্ঠী তিন দশক ধরে সক্রিয়। তারা খুন, ধর্ষণ, স্বর্ণ, হীরাসহ ওই অঞ্চলের খনিজসম্পদ লুটপাটে জড়িত।

গত জুলাইতে ডি আর কঙ্গোর পূর্বাঞ্চলীয় শহরগুলোতে জাতিসংঘের ভবনগুলোতে ভাঙচুর চালান বিক্ষোভকারীরা। ওই সহিংস ঘটনায় চার শান্তিরক্ষীসহ ৩৪ জন নিহত হন।

দেশটিতে ২২ বছর ধরে চলা মিশনটি বন্ধ হওয়ার কথা রয়েছে। তবে কবে নাগাদ এর কার্যক্রম শেষ হবে, সে তারিখ এখনো ঠিক হয়নি। জাতিসংঘের ১২টি শান্তিরক্ষা মিশনের মধ্যে এই মিশন অন্যতম বৃহৎ ও ব্যয়বহুল।

 

বিরুদ্ধে

৪৪টি ফিলিস্তিনি বাড়ি ভেঙে দিয়েছে ইসরাইল

Leave A Reply

Your email address will not be published.