আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ‘জঙ্গিরা অনেক ইসলামের কথা বলে কিন্তু এটা বলে না, হাশরের ময়দানে মায়ের নামে ডাকা হবে, বাপের নামে না। এ কথাটা তারা আস্তে চেপে যায়। যুদ্ধের সময় মেয়েদের বলে- গনিমতের মাল। আর হাশরের ময়দানে মায়ের নামে ডাকা হবে এই কথাটা বলে না।’
রবিবার (১ মার্চ) ঐতিহাসিক মুজিববর্ষে ‘শেখ হাসিনার নির্দেশ, নারী-শিশু নির্যাতনে, রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সমাবেশের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় ১৪ দল।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘ঢাকার অদূরে আশকোনায় যে অপারেশন হলো, সেখানে দেখেন কাকে তারা পাঠাইলো, এই জঙ্গিরা এত না বীর পুরুষ তোমার? সেখানে কাকে পাঠাইলা তোমরা? র্যাবের বার বার আহ্বানের পরে শাকিরা নামে একটা মেয়ে বাচ্চাসহ তাকে পাঠিয়েছে। জঙ্গিরা মেয়েদের ব্যবহার করে, তার বিরুদ্ধে লড়াই কে করবে? করবে, শেখ হাসিনা বাংলার মানুষকে নিয়ে, বাংলার নারীদেরকে নিয়ে, বাংলার জনগণকে নিয়ে।’
অগ্নিকন্যা বলেন, ‘আজকে আমরা পরিষ্কার করতে চাই- জঙ্গিবাদ মেয়েদের যে হাতকড়া পড়ায়, তার বিরুদ্ধে লড়াই শেখ হাসিনার মত কেউ করে নাই। শেখ হাসিনা বিএনপির নেত্রীর মত না, যে আমি প্রধানমন্ত্রী হলাম আর সবাই সবকিছু পেয়ে গেলো। মেয়েদের জন্য লড়াই, সংগ্রাম অধিকার প্রতিষ্ঠার আহ্বান এই মার্চ মাসে, শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা গনিমতের মাল হবো না, আমরা নুসরাত হবো না, আমরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তাঁর হাতকে শক্তিশালী করে, আইনকে শক্তিশালী করে, আমরা নুসরাতদেরকে বাঁচাবো। একইসঙ্গে গনিমতের মালের নাম থেকে আমাদের নাম কাটাবো।’
মায়ের নাম কোনদিন আমাদের ভোটার ফর্মে ছিল না। বাবার নামের সঙ্গে মায়ের নাম শেখ হাসিনাই প্রথম লিপিবদ্ধ করেন বলেও জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী।