দুর্নীতির মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য পুরান ঢাকার কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের নতুন কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর আদালত স্থানান্তরে জারি করা প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের শুনানি আজ।
সোমবার (২৭ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ শুনানির জন্য মঙ্গলবার ( ২৮ মে) দিন ধার্য করেন। একইসঙ্গে রিটে দুর্নীতি দমন কমিশনকে পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দেন আদালত।
আদালতে খালেদার পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের পক্ষে ছিলেন খুরশিদ আলম খান। আদালতে আইনজীবী খুরশিদ আলম খান দুদককে পক্ষভুক্ত করার আবেদন জানান।
এর আগে রবিবার (২৬ মে) খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী ব্যারিস্টার কায়সার কামাল বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটি উপস্থাপন করলে আদালত শুনানির জন্য সোমবার (২৭ মে) দিন ধার্য করেছিলেন।
গেল সপ্তাহে রেজিস্ট্রি ডাকযোগে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল আইন সচিবকে লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করেন। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় এ রিটটি দায়ের করা হয় বলে জানান তিনি।
কায়সার কামাল বলেন, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরাতন ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপন খালেদা জিয়া ও আমরা বেআইনী বলে মনে করি। কারণ, সংবিধানের৩৫ অনুচ্ছেদের স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে কোন বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে।
কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারেনা। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী। একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে দেয়া আছে। ফৌজদারী কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারী আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে।