যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন শহরে পানির সংকট

যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি অঙ্গরাজ্যে জ্যাকসন শহরের প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার মানুষ ভয়াবহ পানির সংকটে ভুগছে। অতিবৃষ্টির পর সৃষ্ট বন্যার পর এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

শহরটিতে সুপেয় পানিসহ দৈনন্দিন কাজে ব্যবহারের পানিরও সংকট তৈরি হয়েছে। এমনকি আগুন নেভানোর জন্যও পানির অভাব তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সপ্তাহের শেষ দিকে বাড়তে থাকা বন্যার পানি শহরের প্রধান পানি শোধনাগারে প্রবেশ করে। ফলে পুরো প্রক্রিয়াটি ধ্বংস হয়ে যায়। সংকট মোকাবিলায় ওই অঙ্গরাজ্যে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে। একই সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, রেস্তোরাঁ এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।

ওই অঙ্গরাজ্যের ওবি কার্টিস ওয়াটার প্ল্যান্টে সমস্যা শুরু হয়েছিল, যখন ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পার্ল নদীর পানি উপচে শহরের সড়কে উঠে পড়ে। মিসিসিপির সিটি হল গত সোমবার নিশ্চিত করেছে, শহরের প্রধান পানি শোধনাগার প্রতিদিন ৫ কোটি গ্যালন বা ১৯ কোটি লিটারের বেশি পানি শোধন করে।

জ্যাকসন শহর ও অঙ্গরাজ্য উভয়ই শহরের বাসিন্দাদের বোতলজাত পানীয়র পাশাপাশি ট্যাঙ্কার ট্রাকের মাধ্যমে টয়লেটের জন্য ব্যবহার্য পানি বিতরণ করছে। মিসিসিপির ন্যাশনাল গার্ড এ কাজে সাহায্য করছে।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন শহরে পানির সংকট

স্থানীয় সময় মঙ্গলবার বিকেলে জ্যাকসন শহরের মেয়র চোকওয়ে আন্তার লুমুম্বা বলেন, প্ল্যান্টটির অবস্থা ‘খুব নাজুক’। এর মাধ্যমে পানি সরবরাহ বন্ধ করা হবে না। তবে কর্মকর্তাদের পানি শোধনের জন্য আরও সময় প্রয়োজন। তিনি কর্মীদের ঘাটতির জন্য সিস্টেমের ব্যর্থতাকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সিস্টেম ব্যর্থ হবে কি না, এটা নিয়ে প্রশ্ন ছিল না, কিন্তু কখন হবে তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল।’

হোয়াইট হাউস বলেছে, তারা সংকটটিকে ‘নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ’ করছে এবং লুমুম্বার সঙ্গে ‘নিয়মিত যোগাযোগ’ করছে।

মিসিসিপির গভর্নর টেট রিভস গতকাল সোমবার রাতে একটি জরুরি ব্রিফিংয়ের সময় বলেছিলেন, প্ল্যান্টের প্রধান মোটর এবং ব্যাকআপ পাম্পগুলোও বিকল হওয়ায় শহরটি অনির্দিষ্টকালের জন্য ‘পরিশোধিত পানি’ ছাড়াই থাকবে।

যুক্তরাষ্ট্রের জ্যাকসন শহরে পানির সংকট

গভর্নর বলেন, এর মানে হচ্ছে শহরে আগুন নেভানোর পানি উৎপাদন করা যাবে না। এমনকি টয়লেটের ফ্লাশের জন্য এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজন মেটাতে পর্যাপ্ত পানিও উত্পাদন করা যাবে না।

সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো দ্বিতীয় উপায়ে উত্পাদন বাড়িয়েছে। তারা প্রতিদিন দুই থেকে তিন কোটি গ্যালন পানি পরিশোধন করছে। তবে সরবরাহের জন্য পানির চাপ কমে গেছে। জ্যাকসনের সব পাবলিক স্কুল মঙ্গলবার সংকটের মধ্যে ভার্চ্যুয়াল শিক্ষায় স্থানান্তরিত হয়েছে।

একই সময়ে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এবং রেস্তোরাঁগুলোয় বরফ এবং পানির জগ কেনার হিড়িক পড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণের এই অঙ্গরাজ্যের রাজধানীতে ৮০ শতাংশ মানুষ আফ্রিকান আমেরিকান।

 

 

 

যুক্তরাষ্ট্রের যুক্তরাষ্ট্রের 

 

মাহাথির করোনায় সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে

যে ‘অপরাধে’ ৪৫ বছর দণ্ডিত সৌদি নারী

Leave A Reply

Your email address will not be published.