ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বেড়েছে তিস্তার পানি, ১৫ গ্রামে বন্যা

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে নীলফামারী জেলায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় নদীর পানি বিপৎসীমা ছুঁয়ে প্রবাহিত হয়ে দুপুর ১২টা পর্যন্ত তা অব্যাহত ছিল।

নদীর পানি বাড়ায় ডিমলা উপজেলার তিস্তাবেষ্টিত পূর্ব ছাতনাই, টেপাখড়িবাড়ি, খগাখড়িবাড়ি, খালিশাচাপানী, ঝুনাগাছ চাপানী ও গয়াবাড়ি ইউনিয়নের প্রায় ১৫টি গ্রাম ও চরের তিন সহস্রাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে।

 

তিস্তা

 

উপজেলার পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবদুল লতিফ খান বলেন, সকাল থেকে

তিস্তার পানি বাড়তে শুরু করে।

এতে ইউনিয়নের ঝাড়সিংহেরস্বর, পূর্ব ছাতনাই ও খোকার চরের পাঁচ শতাধিক পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়ে। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে।

 

বন্যা

 

এর আগে রোববার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে তিস্তাবেষ্টিত গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। এ সময়  পানি বিপৎসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা বলেন, কয়েক দিনের বর্ষণ ও উজানের পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। এতে চরাঞ্চলের গ্রামগুলো প্লাবিত হয়।

 

বন্যা

 

টেপাখাড়িবাড়ির ইউপি চেয়ারম্যান মো. ময়নুল হক বলেন, ইউনিয়নের প্রায় এক হাজার পরিবারের বাড়িঘরে বন্যার পানি ঢুকে পড়েছে। সকালে স্বপন বাঁধের প্রায় ৫০ মিটার অংশ ভেঙে মসজিদ পাড়ার ১৪০টি পরিবারের বাড়িঘর বন্যাকবলিত হয়।

জানতে চাইলে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফাউদ্দৌলা বলেন,  নদীর পানি বৃহস্পতিবার বিপৎসীমা ছুঁয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। এ কারণে ব্যারাজের সব কটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে রাখা হয়েছে। বর্তমানে পানিপ্রবাহ স্বাভাবিক রয়েছে।

 

বর্ষণ

বেতন পেয়েছেন বিএম কনটেইনার ডিপোর শ্রমিক-কর্মচারীরা

পদ্মা সেতু চালু হলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ আর অবহেলিত থাকবে না: প্রধানমন্ত্রী

Leave A Reply

Your email address will not be published.