ভারতের বাজারে ব্যবসা সম্প্রসারণ করে চলেছে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় আসবাবের ব্র্যান্ড হাতিল। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার দেশটির আসাম রাজ্যের সবচেয়ে বড় শহর গুয়াহাটিতে নতুন বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে তারা। এটি ভারতে হাতিলের ২৬তম বিক্রয়কেন্দ্র।
গুয়াহাটিতে হাতিলের বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারতের অভিনেত্রী, চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সমাজকর্মী অ্যামি বড়ুয়া। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন হাতিল কমপ্লেক্সের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম এইচ রহমান, পরিচালক (অর্থ ও হিসাব) মিজানুর রহমান প্রমুখ। হাতিলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গুয়াহাটি বিক্রয়কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা অংশীদার কেইশাম রঞ্জন সিং ও দিপক রঞ্জন সিং।
গুয়াহাটিতে ৪ হাজার ৫০০ বর্গফুট আয়তনের এ বিক্রয়কেন্দ্রে হাতিলের বাংলাদেশের কারখানায় উৎপাদিত শোবার, খাবার ও বসার ঘরের আধুনিক ও নান্দনিক নকশার আসবাবের বিশাল সংগ্রহ রয়েছে। বিক্রয়কেন্দ্রটির ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশীদার কে থ্রি হরাইজন। নতুন বিক্রয়কেন্দ্র উদ্বোধনের দিনেই বিপুলসংখ্যক ক্রেতার আগমন ঘটে। অধিকাংশ ক্রেতাই আগ্রহ নিয়ে ঘুরে ঘুরে হাতিলের বিভিন্ন আসবাব দেখেন। প্রথম দিনেই প্রায় চার লাখ রুপির আসবাব বিক্রি হয়েছে বলে জানায় হাতিল।
অনুষ্ঠানে হাতিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম এইচ রহমান বলেন, ভারত বিশ্বের বৃহত্তম আসবাব বাজারগুলোর একটি। প্রতিযোগিতাও বেশি। স্থানীয় প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি ইতালি, চীন, ভিয়েতনাম ও কম্বোডিয়ার ব্র্যান্ডগুলো বাজারে শক্ত অবস্থানে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার যদি আসবাব খাতে শুল্কমুক্ত সুবিধায় কাঁচামাল আমদানিতে বন্ডেড ওয়্যারহাউস সুবিধা, কাঁচামালের আমদানি শুল্ক যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনা এবং ব্যবসার খরচ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়, তাহলে আসবাব উৎপাদনকারী দেশগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতামূলক অবস্থানে থাকবে।
হাতিলের কারখানায় বর্তমানে স্বয়ংক্রিয় রোবোটিক পদ্ধতিসহ আধুনিক যন্ত্রপাতি দিয়ে আসবাব তৈরি হয়। বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় তাদের ৭২টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এখন পর্যন্ত ভারতের মিজোরাম, মণিপুর, পশ্চিমবঙ্গ, ঝাড়খন্ড, মহারাষ্ট্র, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড়, জম্মু, কাশ্মীরসহ বিভিন্ন রাজ্যে ২৬টি বিক্রয়কেন্দ্র চালু করেছে তারা। ভুটানের থিম্পুতে দুটি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এ ছাড়া হাতিল তাদের পণ্য কানাডা, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে রপ্তানি করে।