ইউক্রেনের খাদ্যশস্য সরবরাহে অবরোধ ও নিজেদের পণ্য রপ্তানিতে বিধিনিষেধ দিয়ে রাশিয়া বিশ্বকে দুর্ভিক্ষের ঝুঁকিতে ফেলেছে বলে মনে করছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
স্থানীয় সময় শনিবার এমন মন্তব্য করেন ইইউর পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল।
আগামী সোমবার লুক্সেমবার্গে ইইউর পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বৈঠকে বসবেন। বৈঠকে খাদ্য নিরাপত্তা ও ইউক্রেনে যুদ্ধের ফলে রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করবেন তাঁরা।
শনিবার নিজের ব্লগে প্রকাশিত নিবন্ধে বোরেল বলেন, ‘বিশ্ব খাদ্য নিরাপত্তায় অনাকাঙ্ক্ষিত যেকোনো প্রভাব মোকাবিলায় জাতিসংঘ ও অন্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে আমরা প্রস্তুত।’
বোরেল বলেন, ‘শস্য রপ্তানিকে অস্ত্র বানিয়ে যারা ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বিরোধিতা করছে তাদের বিরুদ্ধ হুমকিস্বরূপ একে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে রাশিয়ার রাজনৈতিক নেতৃত্ব।’
তিনি বলেন, ‘কৃষ্ণ সাগরকে যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন থেকে খাদ্যশস্য ও সার সরবরাহ করতে দিচ্ছে না। রুশ পণ্যবাহী জাহাজও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ ছাড়া নিজেদের খাদ্যশস্য রপ্তানিতে কোটা ও অতিরিক্ত করারোপ করেছে রাশিয়া। এতে বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে।’
তিনি দাবি করেন, ‘ইউক্রেনে যুদ্ধের প্রতিবাদে রাশিয়ার ওপর ইইউ যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে তা রাশিয়ার কৃষিপণ্য রপ্তানি ও রপ্তানি হওয়া কৃষিপণ্যের মূল্য পরিশোধে কোনো প্রভাব ফেলছে না।’
বোরেল বলেন, ‘এসব বিষয় নিয়ে আমরা জাতিসংঘের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছি। ইইউ ও অন্য সদস্য দেশগুলো এই লক্ষ্য অর্জনে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে প্রস্তুত রয়েছে।’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আগামী দিনগুলোতে এ নিয়ে একটি সমাধানে পৌঁছানো যাবে বলে আমরা আশা করছি। সমাধান না আসলে বিশ্বজুড়ে খাদ্য বিপর্যয় শুরু হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হবে।’