বাংলায় স্পেস ফিকশন। সাসপেন্সের মোড়কে বড় পর্দায় আসছে ২৫তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত ও প্রশংসিত ছবি ‘দিন রাত্রির গল্প’। দর্শক প্রথমবার এক বঙ্গতনয়ার মঙ্গল অভিযানের সাক্ষী হবেন।
দিন ও রাতের দুটি পৃথক গল্পকে একত্র করে পরিচালক প্রসেনজিৎ চৌধুরী এবং তার সহধর্মিনী সুপ্রীতি কাহিনী বুনেছেন। পেশায় চিকিৎসক প্রসেনজিৎ নেশায় ছবি পরিচালক। স্পেস ফিকশনের মতো বিষয় নিয়ে স্বল্প বাজেটে ছবি তৈরি রীতিমতো চ্যালেঞ্জিং তা মানছেন পরিচালক।
জানালেন, ‘তিন বছর আগে চিত্রনাট্য লেখা সম্পূর্ণ হলেও কোনও প্রযোজক রাজি হননি। বাধ্য হয়ে নিজেই ছবিটা করব ঠিক করি। স্পেসশিপ ডিজাইন করতে আট মাস লেগেছিল।’
ছবির কাহিনী দাঁড়িয়ে রয়েছে এক সন্ন্যাসিনীর দুটি স্বীকারোক্তির ওপর। তারই জীবনের দুটি ঘটনা-একটা দিনের, অন্যটা রাতের। বাঙালি মেয়ে অরুণিমা নাসায় চাকরি পায়। হঠাৎ একদিন নিরুদ্দেশ হয় সে। সাতদিন পরে একটা ফোন কল এবং একদল লোকের বাড়িতে আগমন। তাদের অদ্ভুত কথাবার্তা থেকে জানা যায় অরুণিমা মঙ্গল অভিযানে গিয়েছে। কেন এই গোপন অভিযান?
গল্পের অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন প্রদীপ মুখোপাধ্যায়, রুমকি চট্টোপাধ্যায়, সৌরভ চক্রবর্তী, দেবেশ রায়চৌধুরী প্রমুখ।
দ্বিতীয় গল্পে এক বৃষ্টির রাতে সন্ন্যাসিনী সুজানের সঙ্গে এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেখা হয়। বিপদে পড়া সুজানকে বাড়িতে আশ্রয় দেয় সে। কিন্তু অস্বস্তিতে পড়ে সুজান। কারণ মানুষটি মৃত্যু বিলাসী। কে সে? এই গল্পের কাণ্ডারি রজতাভ দত্ত।
বলছেন, ‘চরিত্রটা খুব লোভনীয়। আমার দায়িত্ব ছিল চরিত্রটাকে রহস্যময় ও অস্বস্তিকর করে গড়ে তোলা।’ ‘দিন রাত্রির গল্প’-এর যোগসূত্র সন্ন্যাসিনী সুজান। অভিনয় করেছেন সুপ্রীতি চৌধুরী, যিনি আবার এই ছবির প্রযোজকও।