বিচারকের নজরে আনা হয়েছে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র

স্ত্রী মাহমুদা খানম হত্যা মামলায় সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারসহ সাতজনের বিরুদ্ধে দেওয়া পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) অভিযোগপত্র আদালতের নজরে আনা হয়েছে।

বুধবার অভিযোগপত্রটি চট্টগ্রামের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আবদুল হালিমের নজরে আনা হয়। এর আগে গতকাল আদালতে অভিযোগপত্রটি জমা দেয় পিবিআই।

বিচারকের নজরে আনা হয়েছে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র

চট্গ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) কামরুল হাসান বলেন, আগামী ১০ অক্টোবর মাহমুদা হত্যা মামলার পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। এর আগে নিয়ম অনুযায়ী অভিযোগপত্রটি বিচারকের নজরে আনা হয়েছে।

পরবর্তী শুনানির দিন অভিযোগপত্রটি যাচাই–বাছাই করে বিচারিক আদালতে পাঠানো হতে পারে।

২০১৬ সালের ৫ জুন ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রাম নগরের জিইসি এলাকায় মাহমুদাকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। পরদিন ৬ জুন বাবুল নিজে বাদী হয়ে নগরের পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত শেষে পিবিআই গত বছরের ১২ মে এ মামলায় চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়।

একই দিন বাবুলের শ্বশুর সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলায় বাবুলসহ আটজনকে আসামি করা হয়। মোশাররফের মামলায় পিবিআই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দিলে, আদালত তা গ্রহণ করেন। অন্যদিকে বাবুলের করা মামলাটির চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালত গ্রহণ করেননি। আদালতের নির্দেশে মামলাটি তদন্ত করে গত মঙ্গলবার অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পিবিআই। অভিযোগপত্রে বাবুলসহ সাতজনকে আসামি ও ৯৭ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, অন্য নারীর সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক ছিল। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় স্ত্রী মাহমুদাকে খুন করা হয়েছে। এ জন্য বাবুল তাঁর সোর্সের (তথ্যদাতা) মাধ্যমে তিন লাখ টাকায় খুনি ভাড়া করেন। পিবিআইয়ের তদন্তে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

বিচারকের নজরে আনা হয়েছে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্র

অভিযোগপত্রে সাবেক এসপি বাবুলকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। যদিও তিনি ছিলেন এ মামলার বাদী। অভিযোগপত্রভুক্ত বাকি ছয় আসামি হলেন মো. কামরুল ইসলাম শিকদার ওরফে মুসা, এহতেশামুল হক ওরফে ভোলা, মো. মোতালেব মিয়া ওরফে ওয়াসিম, মো. আনোয়ার হোসেন, মো. খাইরুল ইসলাম ওরফে কালু ও শাহজাহান মিয়া। সাত আসামির মধ্যে কারাগারে আছেন বাবুল, ওয়াসিম, শাহজাহান ও আনোয়ার। জামিনে আছেন এহতেশামুল। মুসা ও কালু শুরু থেকে পলাতক।

চারজনকে মামলা থেকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে পিবিআইয়ের অভিযোগপত্রে। তাঁরা হলেন সাইদুল ইসলাম শিকদার ওরফে সাক্কু, নুরুন্নবী, মো. রাশেদ ও আবু নাছের। এর মধ্যে রাশেদ ও নুরুন্নবী ঘটনার পরের সপ্তাহে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ২০১৩ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত বাবুল কক্সবাজার জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। সেখানে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের নারী কর্মকর্তার সঙ্গে বাবুলের সম্পর্ক হয়। এ সম্পর্কের জেরে বাবুলের পরিকল্পনায় মাহমুদাকে খুন করা হয়।

 

 

বিচারকের বিচারকের  বিচারকের 

আমরা অনেক প্রশ্নের সম্মুখীন: ইসি

ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলন বিকেলে

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.