স্ত্রীকে গ্যাসের চুলায় ফেলে পুড়িয়ে মারেন স্বামী, ১৭ বছর পর হলো মৃত্যুদণ্ড

১৭ বছর আগে রাজধানীর ডেমরায় এক গৃহবধূকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার মামলায় তাঁর স্বামীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩–এর বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত আজ রোববার এই রায় দেন। মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি হলেন আমিন ওরফে ফকির আমিন। রায় ঘোষণার পর তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়।

গ্যাসের চুলায় ফেলে পুড়িয়ে মারেন

 

ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহামুদা আক্তার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য অনুযায়ী, যৌতুকের জন্য গৃহবধূ সাবানা বেগমকে ২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ডেমরা থানায় মামলা হয়। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৬ সালের ১২ মার্চ আসামি ফকির আমিনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় ডেমরা থানা–পুলিশ।

গ্যাসের চুলায় ফেলে পুড়িয়ে মারেন

অভিযোগপত্রে বলা হয়, ১৯৯৩ সালে গৃহবধূ সাবানা বেগমের সঙ্গে আমিন ওরফে ফকির আমিনের বিয়ে হয়। এই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে। ২০০৫ সালের ১১ নভেম্বর গৃহবধূ সাবানা বেগমকে ধাক্কা দিয়ে গ্যাসের চুলায় ফেলে দেন আসামি ফকির আমিন। মৃত্যুর আগে সাবানা বেগম জবানবন্দি দেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, গ্যাসের চুলায় ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়ার পরও তাঁর স্বামী তাঁকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেননি।

এ মামলার বিচারে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে ১১ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করা হয়।

 

 

 

বন্দরের নিরাপত্তা দেখতে আসছে যুক্তরাষ্ট্র কোস্টগার্ড

শিশুদের জন্য ফাইজারের বিশেষ টিকা এল

Leave A Reply

Your email address will not be published.