ইরাকে শত শত বিক্ষোভকারী কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে দেশটির পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েছেন।
খবর বিবিসির।
দেশটির শিয়া নেতা মুক্তাদা আল-সদরের প্রতিপক্ষকে প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়ার বিরোধিতা করে তাঁর (সদর) সমর্থকেরা গতকাল বুধবার এ কাজ করেন।
গত অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচনে অধিকাংশ আসন পায় সদরের রাজনৈতিক জোট। কিন্তু রাজনৈতিক অচলাবস্থার কারণে এই জোট ক্ষমতায় যেতে পারেনি।
ইরাকের পার্লামেন্ট ভবনটি রাজধানী বাগদাদের সুরক্ষিত গ্রিন জোনে অবস্থিত। গ্রিন জোনে ইরাক সরকারের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা রয়েছে। আছে বিভিন্ন দেশের দূতাবাস।
গতকাল বিক্ষোভকারীরা সুরক্ষিত গ্রিন জোনের ঢুকে পড়ে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ও জলকামান ব্যবহার করে পুলিশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি।
অবশ্য বিক্ষোভকারীরা যখন পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েন, তখন সেখানে কোনো আইনপ্রণেতা ছিলেন না।
ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর একটি সূত্র বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানায়, তারা প্রাথমিকভাবে বিক্ষোভকারীদের আটকাতে সমর্থ হয়েছিল। কিন্তু পরে বিক্ষোভকারীরা পার্লামেন্ট ভবনে ঢুকে পড়েন।
দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফা আল কাদিমি বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্ট ভবন ত্যাগ করার আহ্বান জানান। কিন্তু বিক্ষোভকারীদের পার্লামেন্ট ভবনে অবস্থান নিয়ে গাইতে ও নাচতে দেখা যায়।
ইরাকের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে চরম বিরোধ বিরাজ করছে। এ কারণে দেশটিতে নয় মাসেও একটি নতুন সরকার গঠন করা যায়নি। এই অচলাবস্থার ধারাবাহিকতায় এখন দেশটিতে অস্থিরতা শুরু হলো।
ইরাকে মার্কিন আগ্রাসনের জোর বিরোধিতাকারী হিসেবে পরিচিত সদর। অক্টোবরের নির্বাচনে তাঁর জাতীয়তাবাদী স্যারুন মুভমেন্ট বিজয় দাবি করে।
কিন্তু নির্বাচনের পর একটি নতুন জোট সরকার গঠন করা অসম্ভব হয়ে পড়ে। কারণ সদর তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে কাজ করতে অস্বীকৃতি জানান।
সদর ও তাঁর সমর্থকেরা প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসেবে মোহাম্মদ আল-সুদানির বিরোধিতা করছেন। কারণ, তাঁদের মতে আল-সুদানি ইরানের ঘনিষ্ঠ।