ঘুষ ও দুর্নীতির অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েক নেতার বিরুদ্ধে মামলা চলছে।
এ দুর্নীতি কাণ্ডে নিয়ে তাই দলটির অনেক নেতা সমালোচনা করছেন। নেতাদের অনেকেই মনে করছেন, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল দুর্নীতি কাণ্ডে জড়িয়ে দলের ভাবমূর্তি অনেকটাই ক্ষুণ্ন করেছেন। মানুষের কাছে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে এখন প্রতিদিন। ফলে তৃণমূলের ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় ভারতের লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের অনেকটাই বেগ পেতে হতে পারে।
তৃণমূলের রাজ্য সভার সদস্য জহর সরকার গত সোমবার দুর্নীতি কাণ্ডে নেতাদের জড়ানো নিয়ে গণমাধ্যমে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অনুব্রত মণ্ডলের গ্রেপ্তারের পর দলে অস্বস্তি নিয়ে তাঁকে থাকতে হচ্ছে। দলের একটি দিক পচে গেছে। এমন দল নিয়ে ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা সম্ভব হবে না।
জহর সরকার আরও বলেন, ‘বাড়ির লোকজন এবং বন্ধু বান্ধবরা আমাকে রাজনীতি ছাড়তে বলেছেন। একপাশে পচা শরীর নিয়ে ২০২৪ সালে লড়াই করা মুশকিল। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে দেখেছি। তাঁর সঙ্গে কথাও বলেছি অনেকবার। টিভিতে তাঁর দুর্নীতির খবর দেখে বিশ্বাস হচ্ছিল না! তিনি কার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছেন সে ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই। তবে দুর্নীতির টাকা দিয়ে তাঁকে অলংকৃত করলে মেনে নেওয়া যায় না। রাজনৈতিক দলে মোহর লাগিয়ে যত ইচ্ছে টাকা বানাব, বান্ধবীর নামে ফ্ল্যাট বানাব, গাড়ির পর গাড়ি কিনব, এগুলো মানতে পারছি না।’
জহর সরকারের মন্তব্যের জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের সংসদ সদস্য সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, ‘জহর সরকার কোনো দিন তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেননি। তাঁকে দল রাজ্যসভার সংসদ সদস্য করেছিল। তিনি কিনা প্রকাশ্যে দল বিরোধী মন্তব্য করলেন। এটা অত্যন্ত লজ্জার কথা। তাঁর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা উচিত। তাঁর ভালো না লাগে তবে পদটা ছেড়ে দিন।’
জহর সরকার বলেন, ‘আত্মসম্মান যদি না রাখতে পারি তবে সংসদ সদস্য পদ ছেড়ে দেব।’