শুধু বাড়ানো নয়, সক্ষমতা দ্বিগুণ পর্যায়ে নিয়ে যাওয়াই চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। স্বাধীনতার ৫০ বছর পর দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের পরিধি বাড়তে থাকায় প্রয়োজন হয়ে পড়েছে রেল-সড়ক এবং নৌপথ সুবিধা সংবলিত বিকল্প বন্দর গড়ে তোলা। এ ক্ষেত্রে বে-টার্মিনালকে বিকল্প হিসেবে চিন্তা করা হলেও রহস্যজনক কারণে থমকে আছে তা বাস্তবায়নের কাজ।
চট্টগ্রাম বন্দরের ইতিহাস ১৩৫ বছরের হলেও কনটেইনার হ্যান্ডলিংয়ের ইতিহাস তেমন পুরোনো নয়। ১৯৮৭ সালে মাত্র ৬টি নিয়ে যাত্রা শুরু করা এ বন্দর গত বছরই ছাড়িয়ে গেছে ৩২ লাখ কনটেইনার। বাল্ক পণ্য হ্যান্ডলিংয়ে রেকর্ড ছাড়িয়েছে, যার পরিমাণ ১১ কোটি মেট্রিক টনের বেশি। প্রতিবছরই প্রবৃদ্ধি ১১-১৪ শতাংশ হারে বাড়লেও বাড়ছে না বন্দরের পরিধি।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক বলেন, ‘আমাদের মূল চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আমদানি-রফতানির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা।’
বিজিএমইএর প্রথম সহ-সভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের জরুরি ভিত্তিতে এখন দুটি জিনিসের প্রয়োজন। একটি হচ্ছে বে-টার্মিনাল, অন্যটি মাতারবাড়ি।’
পতেঙ্গা এলাকায় প্রস্তাবিত বে-টার্মিনাল চট্টগ্রাম বন্দরের বিকল্প হিসেবে গত এক দশক ধরেই আলোচনায় আছে। কিন্তু ভূমি অধিগ্রহণ শেষ হলেও এর স্থাপনের কাজে ধীরগতি নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। অথচ বছরে ৫০ লাখ টিইইউএস কনটেইনার হ্যান্ডলিং লক্ষ্যমাত্রা ধরেই এ বন্দর তৈরির কাজ শুরু হয়। চট্টগ্রাম বন্দরে সাড়ে ৯ মিটার গভীরতার বেশি জাহাজের অনুমতি না থাকলেও বে-টার্মিনাল এলাকায় যেকোনো গভীরতার জাহাজ ঢুকতে পারবে। আর প্রস্তাবিত বন্দরের সঙ্গে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশের সব যোগাযোগের সুযোগ রয়েছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ‘২০২৪ সালের মধ্যে বে-টার্মিনাল-১ যেভাবেই হোক নির্মাণ করতে হবে। না হলে আমদানি-রফতানি উভয় খাতে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
বাংলাদেশ শিপিং এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ আরিফ বলেন, ‘বে-টার্মিনাল নির্মাণ হলে বন্দরে বড় জাহাজ আসতে পারবে। এতে আমদানি-রফতানিতে সক্ষমতা আসবে।
তবে আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ২০২৬ সালের মধ্যে বে-টার্মিনাল সীমিত আকারে হলেও অপারেশনে যাবে বলে আশা বন্দর চেয়ারম্যানের। এর তিনটি অংশের মধ্যে দুটি বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও বাকি অংশ পরিচালনা করবে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ।
চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়াল অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান বলেন, ‘বে-টার্মিনালের কাজ চলমান আছে। আশা করছি, আগামী ৩ বছরের মধ্যে আমরা বে-টার্মিনালের প্রাথমিক কার্যক্রম শুরু করতে পারব।
২০০৯ সালে বিশ্বের ১০০টি বন্দরের মধ্যে ৯৮তম স্থান নিয়ে লয়’ডসের তালিকায় ঢোকে চট্টগ্রাম বন্দর। বর্তমানে এ বন্দরের অবস্থান ৬৪।
বিকল্প বিকল্প বিকল্প
রেল স্টেশনে দীর্ঘ লাইন, বিক্রি হচ্ছে ২৯ এপ্রিলের টিকিট
ইভ্যালি রাসেল চেক প্রতারণার ৯ মামলায় জামিন পেলেন