চিকিৎসক, নার্স, কৃষক, দিনমজুরসহ করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত সবাইকে সরকারি সহায়তার আওতায় নিয়ে আসার জন্য কাজ করছে বর্তমান সরকার। ব্যাপকভাবে এই সহায়তা এবং প্রণোদনার কার্যক্রম শুধুমাত্র শেখ হাসিনার মতো একজন দুরদর্শী-সাহসী রাষ্ট্রনায়কের জন্যই সম্ভব হচ্ছে। এভাবেই আগামীতেও শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দ্রুত মানুষের কল্যাণে, মানুষের পাশে দাঁড়াবে।
করোনাভাইরাস সংকট মোকাবিলায় সরকার ও দলের কর্মকাণ্ড এবং করোনা পরবর্তী পরিস্থিতিতে সমাজ ও রাষ্ট্রের করণীয় ঠিক করতে এক অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব মন্তব্য করেন শিক্ষামন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি। মঙ্গলবার রাতে দলের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ‘করোনাভাইরাস সংকটে মানবিক সহায়তা’ শীর্ষক এই আলোচনা অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচারিত হয়।
এসময় ত্রাণ বিতরণ বা যেকোনো কাজে দলীয় নেতাকর্মীসহ সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলারও আহবান জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, সবাইকেই মনে রাখতে হবে মানুষের উপকার করতে গিয়ে যেনো অপকার না হয়। পাশাপাশি নিজেও যেনো ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেদিকেও নজর রাখতে হবে বলেও জানান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিপু মনি।
আলোচনায় শিক্ষামন্ত্রী ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদ মাইনুল হাসান খান নিখিল, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, কৃষকলীগের সভাপতি সমির চন্দ্র, সিনিয়র সাংবাদিক ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়, সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি শিপ্রা দাশ অংশ নেন।
এর আগে, গত ১৫ মে ‘করোনাভাইরাস মহামারি মোকাবিলায় জনসচেতনতা’ শীর্ষক প্রথম পর্বের আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষ সরাসরি তাদের প্রশ্ন তুলে ধরেন এবং নিজেদের মতামত সরাসরি পৌঁছে দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন এই আয়োজনের মাধ্যমে।
প্রথম পর্বের আলোচনায় অংশ নেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। আরও যুক্ত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম, মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এডুকেশন অ্যান্ড কাউন্সেলিং সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক মেহতাব খানম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. শাহনীলা ফেরদৌসী, একাত্তর টিভি’র সাংবাদিক ফারজানা রুপা, আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন নির্মাতা সংস্থা গ্রে-ইন্টারন্যাশনালের ঢাকা অফিসের ম্যানেজিং পার্টনার এবং ক্রিয়েটিভ চিফ সৈয়দ গাউসুল আলম শাওন এবং অভিনেতা রিয়াজ আহমেদ। এছাড়াও অনুষ্ঠানে ১০ জন শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকও উপস্থিত ছিলেন।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
Prev Post
Next Post