সারাদেশের সর্বশেষ করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি, শনাক্ত রোগী, মৃত্যুসহ এ সংক্রান্ত সবকিছুর তথ্য নিয়মিত ভিত্তিতে প্রকাশ করছে সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনির্ণয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান- আইইডিসিআর। কিন্তু এ সংস্থার ওয়েবসাইটে সারসংক্ষেপ ক্যাটাগরিতে উল্লেখিত মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা ও জেলাভিত্তিক করোনা শনাক্তের সংখ্যার হিসেবে ১ হাজার ৮৫২ রোগীর গরমিল দেখা যাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে সর্বশেষ অনলাইন ব্রিফিংয়ে আইইডিসিআর জানায়, দেশে শেষ ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে ৭০৯ জনের। সব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট ১৩ হাজার ১৩৪ জনের করোনা শনাক্ত হলো। এর আগের দিন, বৃহস্পতিবারের ব্রিফিংয়ে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা বলা হয় ১২ হাজার ৪২৫। এরপরপরই ওয়েবসাইটে ওই সংখ্যা হালনাগাদ করার কথা আইইডিসিআর-এর।
কিন্তু সেই হালনাগাদেই যত গণ্ডগোল। ওয়েবসাইটের সারসংক্ষেপ অংশে ওই তথ্য হালনাগাদ করা হলেও জেলাভিত্তিক রোগীর ক্ষেত্রে তা করা হয়নি। শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আইইডিসিআর-এর হালনাগাদ তালিকা অনুসারে, জেলাভিত্তিক করোনা শনাক্তের সংখ্যা যোগ করলে দাঁড়ায় মোট ১০ হাজার ৫৭৩ জন। অর্থাৎ, এখানে বৃহস্পতিবারের জানানো সর্বশেষ শনাক্ত রোগীর সংখ্যাটি (১২ হাজার ৪২৫) হালনাগাদ করা হয়নি। আর এতে করেই ১ হাজার ৮৫২ রোগীর সংখ্যা কম দেখাচ্ছে। রোগীর সংখ্যা হালনাগাদের এই গরমিলের ব্যাপারে জানতে আইইডিসিআর’র পরিচালক ডা. মো. সেলিমুজ্জামানকে ফোন দিলেও পাওয়া যায়নি।
আইইডিসিআর-এর তথ্যমতে, দেশে এখন পর্যন্ত শনাক্ত করোনা রোগীর মধ্যে ৬৮ শতাংশই পুরুষ। নারী বাদবাকি ৩২ শতাংশ। মৃত্যুর হারে পুরুষের সংখ্যা আরও বেশি, ৭৩ শতাংশ। নারীদের ক্ষেত্রে যা ২৩ শতাংশ। বয়স বিবেচনায় মৃত্যুর হার বেশি ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তিদের মধ্যে। এ হার ৪২ শতাংশ। এর বাইরে ৫১ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের মৃত্যুর হার ২৭ শতাংশ, ৪১ থেকে ৫০ বছর বয়সীদের ১৯ শতাংশ, ৩১ থেকে ৪০ বছর বয়সীদের ৭ শতাংশ, ২১ থেকে ৩০ বছর বয়সীদের ৩ শতাংশ। আর ১০ বছরের নিচে মৃত্যুর হার ২ দুই শতাংশ। ১১ থেকে ২০ বছর বয়সীদের মধ্যে মৃত্যুহার এখন পর্যন্ত শূন্য।
আইইডিসিআর জানায়, সরকারি হিসেবে দেশে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্তের হয়ে মারা গেছেন ২০৬ জন। এদের মধ্যে চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিকও আছেন। পেশাগত দিক থেকে এ তিন খাতের লোকজনের মধ্যে আক্রান্তের হারও তুলনামূলক বেশি। এদিকে জেলাভিত্তিক রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় ঢাকা বিভাগের ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সিগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, নরসিংদীর পরিস্থিতি ভয়াবহ।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম বিভাগে চট্টগ্রাম ও কুমিল্লায় রোগীর সংখ্যা দেড়শ’ ছাড়িয়ে গেছে। সিলেট বিভাগের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত হবিগঞ্জ জেলায়। রংপুর বিভাগের রংপুর জেলায় শনাক্ত রোগী ১শ’ ছুঁইছুঁই। ময়মনসিংহ বিভাগের মধ্যে ময়মনসিংহ ও জামালপুরের অবস্থা তুলনামূলক বেশি খারাপ। এ দুই জেলাই আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষ দশ জেলার মধ্যে আছে। এছাড়া বরিশাল বিভাগের বরিশাল জেলা ও রাজশাহী বিভাগের জয়পুরহাটে করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিভাগের অন্যসব জেলার চেয়ে তুলনামূলক বেশি।
Sign in
Sign in
Recover your password.
A password will be e-mailed to you.
Next Post