এক সময় দুদককে নিয়ে মানুষ ব্যঙ্গ করতো। সে জায়গায় এখন পরিবর্তন এসেছে। দুদক যে ইমেজ সংকটে ভুগছিল, সেটা কাটিয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের কমিশনার ড. মো. মোজাম্মেল হক খান।
দুদক কমিশনার বলেন, এইতো কিছুদিন আগেও মানুষ দুদককে নিয়ে ব্যঙ্গ করতো। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়েছে। ভবিষ্যতে দেখবেন মায়েরা বাচ্চাকে ঘুম পাড়ানোর সময় দুদকের গল্প শোনাবে। তবে আমরা সেটা চাই না। দুদক মানুষের ভীতির কারণ হতে চায় না। দুদক চায় প্রীতির কারণ হতে।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে দুদক-সিটিটিসি’র উদ্যোগে সপ্তাহব্যাপী যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, যদি আপনাদের চোখের সামনে কেউ হঠাৎ আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে যায়। বুঝবেন এটা কোন স্বাভাবিক কারণ নয়, এর পেছনে অবৈধ দুর্নীতি জড়িত। আমরা সেই দুর্নীতি মুছে ফেলতে চাই। একটা দেশের উন্নয়নের পথে দুর্নীতি ও অবৈধ টাকা অনেক বড় প্রতিবন্ধকতা।
ড. মোজাম্মেল হক খান বলেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। এখানে কেউ কথা বলবে, কেউ কথা বলবে না এমন হয়না। এই আন্দোলনে যদি পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করে, তাহলে আমাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি হবে। আমরা সাহসীকতার সঙ্গে তখন এগিয়ে যেতে পারি।
তরুণ সমাজের উদ্দেশ্যে দুদক কমিশনার বলেন, এখনকার ছেলেমেয়েদের বিসিএস ক্যাডারে সাবজেক্ট পছন্দে পরিবর্তন এসেছে। কোনও কোনও বিশেষ ক্যাডারের প্রতি তাদের আগ্রহ অনেক বেশি। নির্দিষ্ট ওই কয়েকটি ক্যাডার আছে। যার দিকে তাকিয়ে থাকে সবাই। আমি কোনও নাম বলতে চাচ্ছি না। তবে সেগুলো ভালো উদ্দেশ্যে তারা পছন্দ করেনা।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম, সিটিটিসি প্রধান ও ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলামসহ পুলিশ ও দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।