পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি উপজেলার উড়িয়া ইউনিয়নের উত্তর উড়িয়া, কাবিলপুর, গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারী, গলনা, ফুলছড়ি ইউনিয়নের দেলুয়াবাড়ী, ফজলুপুর ইউনিয়নের পূর্ব খাটিয়ামারী, উজালডাঙ্গা, বাজে তেলকুপি, এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের হরিচন্ডি, জিগাবাড়ী, সন্যাসীর চর এবং সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর, কাপাসিয়া ও শ্রীপুর ইউনিয়নের বেশকিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।
গত এক সপ্তাহে এসব এলাকার চার শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। এছাড়া বিলীন হয়েছে চারটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। পাঠদান বন্ধ রয়েছে ২৩৭ টিতে।
নদীতে গ্রাস হওয়া বিদ্যালয়গুলো হলো, ফুলছড়ি উপজেলার এরেন্ডাবাড়ী ইউনিয়নের ধলিপাটা ধোওয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফজলুপুরে হারডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফুলছড়ি ইউনিয়নে জামিরা প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং সদর উপজেলার চিথুলিয়ার চর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় নদীতে বিলিন হয়ে গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসেন আলী মুঠোফোনে জানান, বন্যার কারণে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ওইসব এলাকার রাস্তাগুলো তলিয়ে যাওয়ায় কোমলমতি শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা যাওয়া নিরাপদ নয়। তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় নিয়ে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোখলেছুর রহমান মুঠোফোনে জানান, নদীর পানি যে হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে ঘাঘট, ব্রহ্মপুত্র ও যমুনা নদীর বাঁধ হুমকির মুখে পড়বে। ঝুঁকিপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে ভাঙন ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
তিনি বলেন,গত ১২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ১৮ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৮৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ঘাঘট নদীর পানি গাইবান্ধা শহর পয়েন্টে ১৩ সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি কাউনিয়া পয়েন্টে ২ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
গাইবান্ধার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক রোখসানা বেগম বলেন, সাঘাটা, ফুলছড়ি, গাইবান্ধা সদর ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় ২৪০ মেট্রিক টন চাল নগদ দুই লাখ টাকা ও দুই হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শনিবার থেকে বিতরণ শুরু হয়েছে। এ ছাড়া পানিবন্দি মানুষের জন্য ৬৩টি আশ্রয়ণ কেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে।