প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ এখন বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার ধারণ করেছে। সংক্রমিত হয়েছে বাংলাদেশও। অব্যবস্থাপনা আর ভুল সিদ্ধান্তের কারণে বাংলাদেশেও মহামারি আকার ধারণ করার আগেই দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষনা করার দাবি জানান মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে।
সোমবার (১৬ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে ‘করোনাভাইরাস : জনসচেতনতায় আমরা’ আয়োজিত মানববন্ধনে এমন দাবি জানান বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম (বোয়াফ) সভাপতি কবীর চৌধুরী তন্ময়।
কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, করোনাভাইরাসে চীনের পরেই সবচেয়ে বেশি ইতালিতে একদিনে ৩৬৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর বাংলাদেশও সংক্রমিত হয়েছে ইতালিফেরত বাংলাদেশি নাগরিকের মাধ্যমে। ৯ বছরের কম শিশুদের ক্ষেত্রে ঝুঁকি বেশি না থাকলেও অভিভাবকবৃন্দ, শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যেমন এই ঝুঁকির মধ্যে আছে আবার তাদের মাধ্যমেও করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি শতভাগ এবং তারা কেউই জনসমাগমের বাইরে নয়।
বোয়াফ সভাপতি আরও বলেন, করোনারভাইরাস প্রাদুর্ভাবে সরকারের উচিত হবে কোনও কালক্ষেপণ না করে, বাংলাদেশব্যাপী সংক্রমিত হওয়ার আগেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে প্রয়োজনে ডিজিটাল পদ্ধতিতে যেমন- অনলাইন বা ফেসবুক লাইভ ভিডিও ক্লাস, টেলিভিশন, মোবাইল, ইন্টারনেটে যুক্ত করেও পাঠদান করাতে পারে। অথবা গৃহশিক্ষা পদ্ধতিকে এই সময়ের জন্য কাজে লাগাতে পারে।
করোনাভাইরাসে সংক্রমিত বিশ্বের সকল দেশের সাথে বাংলাদেশের যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন করার পাশাপাশি বাংলাদেশের নাগরিকদের কভিট-১৯ মুক্ত রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণও করেন মানববন্ধন কর্মসূচী থেকে।
আখতার হোসাইন ফারুকীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য করেন ইসলামি চিন্তাবিদ মাওলানা সোলেয়মান নোমানী, হাফেজ মাওলানা রবিউল ইসলাম, মুফতি আলমগীর হোসেন, মাওলানা আসাদুজ্জামান, হাফেজ মাওলানা হাফিজুর রহমান, হাফেজ মাওলানা শফিকুল ইসলাম, হাফেজ মাওলানা তোফায়েল, বাংলাদেশ জনতা ফ্রন্টের চেয়ারম্যান-আবু আহাদ আল মামুন দীপু মীরসহ নানা শ্রেণিপেশার ব্যক্তিবর্গ।