চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ছাত্রলীগের সংঘর্ষের জেরে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে ক্যাম্পাসে হেলমেটধারীদের টহল দেখা গেছে। আজ ভোর পাঁচটা থেকে সশস্ত্র অবস্থায় হলুদ হেলমেট পরা ১৫-২০ জনের একটি দল বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বরে অবস্থান করছে।
হেলমেটধারী ওই তরুণদের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২টি বিভাগের কোনো শিক্ষার্থী ক্লাসে যেতে পারছেন না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, স্বাধীনতা চত্বরের আশপাশে অবস্থাকারী ওই তরুণদের হাতে রামদা ও লাঠিসোঁটা দেখা গেছে। তরুণদের দলটি ক্যাম্পাসে কাউকে দেখলেই হামলার জন্য তেড়ে যাচ্ছেন। এর আগে সকাল ছয়টায় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহনের বাস চট্টগ্রাম শহরের উদ্দেশে রওনা দিলে হেলমেটধারীরা বাসগুলো আটকে পুনরায় গ্যারেজে ফেরত পাঠিয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় ২০ শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আজ সকাল আটটা থেকে তাঁরা ক্লাসে যাওয়ার জন্য ক্যাম্পাসে যান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাধীনতা চত্বর এলাকা থেকে তাঁদের ফিরে আসতে হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক রেজাউল করিম হেলমেটধারীদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি। তিনি বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো শ্রেণি কার্যক্রম শুরুর জন্য চট্টগ্রাম শহর থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের আনতে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাতটি বাস ছেড়ে গিয়েছিল। তবে বাসগুলো স্বাধীনতা চত্বরে পৌঁছানোর পর কয়েক তরুণ বাসগুলো ফিরিয়ে দিয়েছেন। এরা কারা, সেটা আমার জানা নেই। তবে এরা ড. কুদরত-ই-খুদা হলের দিক থেকে এসেছে বলে আমি জানতে পেরেছি।’
হেলমেটধারীদের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আনাস মৃধা বলেন, তিনি ঘুম থেকে উঠে ক্যাম্পাসে শোরগোল শুনেছেন। তবে হেলমেটধারীদের পরিচয় তিনি জানেন না বলে দাবি করেন।
এর আগে গত শনিবার শহরে বাস থামানোকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের দুটি পক্ষ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ে পক্ষ দুটি আ জ ম নাছির উদ্দীন ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসানের অনুসারী বলে পরিচিত। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত দুজন সাধারণ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।