চীনের গুয়াংশিতে ১৩২ আরোহী নিয়ে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় ব্ল্যাকবক্সের সন্ধান পেয়েছেন উদ্ধারকর্মীরা। খবর এনডিটিভির।
দুর্ঘটনাস্থলে আরোহীদের আইডি কার্ড মানিব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিস পাওয়া গেলেও লাশের কোনো অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, বিধ্বস্তের পর বিমানসহ আশপাশে আগুন ধরে যাওয়ায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মরদেহ।
চীনের গুয়াংশিতে বিমান বিধ্বস্তের তৃতীয় দিন বুধবারও চলে উদ্ধার অভিযান। দমকলকর্মীদের পাশাপাশি অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবকদের দুই হাজারের বেশি সদস্য। উদ্ধারকাজে ব্যবহার করা হয় ড্রোন ও কুকুর। তবে পাহাড়ি এলাকা ও বৃষ্টির কারণে উদ্ধার কাজে বেগ পেতে হয়। ভূমিধসের আশংকায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে দমকল কর্মীদের।
উদ্ধারকারীরা বলছেন, দুর্ঘটনাস্থল থেকে আরোহীদের বিভিন্ন আইডি কার্ড, মানিব্যাগসহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পেলেও মরদেহের কোনো চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাদের ধারণা, বিধ্বস্তের পর বিমানসহ আশপাশে আগুন ধরে যাওয়ায় পুড়ে ছাই হয়ে গেছে মরদেহ।
এখন পর্যন্ত দুর্ঘটনার কারণ জানাতে পারেনি চীনের সিভিল এভিয়েশন বিভাগ। উদ্ধারকৃত ব্ল্যাকবক্সের ডাটা বিশ্লেষণ করে জানা যাবে বিমান বিধ্বস্তের কারণ।
সিভিল এভিয়েশন বিভাগের কর্মকর্তা ঝু তাও বলেন, দুর্ঘটনায় বিমানটি পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে তদন্ত করা খুবই কঠিন। তারপরও আমরা অনুসন্ধান চালিয়ে যাচ্ছি। এখন পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে তার ভিত্তিতে দুর্ঘটনার কারণ বলা কঠিন। আশা করি, আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে দুর্ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হবেন।
এর আগে স্থানীয় সময় গত সোমবার দুপুরে কুনমিং থেকে গুয়াংজু যাওয়ার পথে গুয়াংশির পাহাড়ি এলাকায় গভীর জঙ্গলে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি। বোয়িং-৭৩৭ মডেলের বিমানটিতে ১২৩ যাত্রী ও ৯ জন ক্রু ছিলেন।
ইউক্রেনে শান্তিরক্ষী পাঠানো নিয়ে ন্যাটোকে রাশিয়ার কড়া হুঁশিয়ারি