চার লেন সড়কের মধ্যে খুঁটি, দুর্ঘটনার ঝুঁকি

রাজবাড়ী শহরে জেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের কাছে চার লেন সড়কের মধ্যে একটি বৈদ্যুতিক খুঁটি রেখেই কাজ শেষ করা হয়েছে। এতে দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

এ ছাড়া ওই এলাকায় সড়কের পাশে নালার (ড্রেন) মধ্যে অনেক বৈদ্যুতিক খুঁটি রয়েছে। এতে পানি ও বর্জ্যনিষ্কাশনে বাধার সৃষ্টি করছে।

পাঁচবার মেয়াদ বাড়ানোর পর সম্প্রতি চার লেন প্রকল্পের কাজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে বুঝিয়ে দিয়েছেন ঠিকাদার। যদিও এখনো সড়ক বিভাজকের কাজ পুরোপুরি শেষ হয়নি।

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততা উন্নীতকরণ প্রকল্পের (গোপালগঞ্জ অঞ্চল) আওতায় রাজবাড়ী-কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়।

সড়কের তিনটি অংশে ভিন্ন ভিন্নভাবে দরপত্র আহ্বান করা হয়। তিন অংশের মোট চুক্তিমূল্য ৩০২ কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা। সড়ক চওড়া হবে ৩৪ ফিট। তবে পৌরসভা এলাকার চার কিলোমিটার চার লেন হয়। রাস্তার মাঝখানে রাখা হয়েছে সড়ক বিভাজক।

রাজবাড়ী শহরের শ্রীপুর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে চরলক্ষ্মীপুর আহমদ আলী মৃধা কলেজ পর্যন্ত সড়ক চার লেনে উন্নীত করা হয়। এ কাজের দায়িত্ব পায় স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন। ২০১৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। চুক্তি অনুযায়ী, ২০১৯ সালের ২৬ জুন কাজ সম্পন্ন হওয়ার কথা ছিল। এ ছাড়া রাস্তার দুই পাশে নালা নির্মাণ করা হবে। নালা নির্মাণকাজের দায়িত্ব পায় স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন এবং ওয়েস্টার কনস্ট্রাকশন অ্যান্ড শিপিং ও রানা বিল্ডার্স। পুরো কাজের ব্যয় ধরা হয় ৬০ কোটি টাকা। রাস্তার কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে পাঁচবার।

সরেজমিন দেখা যায়, শহরের শ্রীপুর বাস টার্মিনাল থেকে বড়পুল মোড় পর্যন্ত দুই পাশে রাস্তার মূল কাজ সম্পন্ন হয়েছে। রাস্তার মাঝখানে সড়ক বিভাজক স্থাপনও সম্পন্ন হয়েছে। বড়পুল থেকে চরলক্ষ্মীপুর পর্যন্ত রাস্তায় বিভাজক এনে রাখা হয়েছে। স্টেডিয়াম এলাকায় বিভাজক সারি করে রাখা হয়েছে। তবে নতুন বাজার ও তার পরের অংশে কোথায়ও এক সারি আবার কোথায়ও দুই সারি বিভাজক রাখা হয়েছে। নালার কাজও কোথাও কোথাও করা হয়নি।

চার লেন সড়কের মধ্যে

প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের সামনে নালা থেকে অন্তত তিন ফুট ভেতরে সড়কে বিদ্যুতের একটি খুঁটি। এ ছাড়া বিদ্যুতের খুঁটি নালার ভেতরে, কোথায়ও নালার বাইরে বসানো হয়েছে।

স্পেকটা ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেড ও ওয়াহিদ কনস্ট্রাকশন স্থানীয় প্রতিনিধি আমজাদ হোসেন বলেন, ‘বিদ্যুতের খুঁটি ও বিভিন্ন স্থাপনা সরানোর দায়িত্ব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের নয়। কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে বিদ্যুতের খুঁটি রেখেই কাজ সম্পন্ন করতে হয়েছে। আর কিছু স্থানে রাস্তা কিছুটা সংকুচিত হওয়ার অভিযোগ সঠিক। এটার জন্যই আমরা দায়ী না। আমরা যতটুকু জায়গা পেয়েছি, সেভাবে রাস্তা করেছি।’

ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (ওজোপাডিকো) নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন অর রশিদ বলেন, খুঁটি পোতার জন্য সুনির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই।

চার লেন সড়কের মধ্যে

যেখানে জায়গা ছিল, সেখানেই খুঁটি পোতা হয়েছে। একটি খুঁটি রাস্তার দুই-তিন ফুট ভেতরে আছে। খুঁটিটি সরিয়ে দেওয়া হবে।

সওজের রাজবাড়ী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী নওয়াজিস রহমান বিশ্বাস বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী বৈদ্যুতিক খুঁটি রাস্তার নালার বাইরে স্থাপন করার কথা। এ জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। খুঁটি স্থানান্তরের জন্য টাকা ওজোপাডিকোকে দিয়েছি। অনেকবার যোগাযোগ করেছি। কিন্তু একটি খুঁটি কেন সরানো হলো না, তা বুঝতে পারছি না।’

 

 

গ্যাসের বিকল্পের খোঁজে নাইজেরিয়ায় চোখ ইইউর

নবাব সাকিব এবার হকার রূপে!

Leave A Reply

Your email address will not be published.