চার মামলার দুটির বিচার এখনো শুরুই হয়নি

প্রায় তিন বছর আগে মাদকসহ গ্রেপ্তার হওয়া সেলিম প্রধান ওরফে ক্যাসিনো সেলিমের বিরুদ্ধে করা চার মামলার বিচার ততটা এগোয়নি। দুইটি মামলা সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে আছে। বাকি দুইটি রয়েছে অভিযোগ গঠনের শুনানির অপেক্ষায়।

ক্যাসিনো সেলিমের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অর্থপাচার মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬–এ বিচারাধীন। নয়জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে। অপরদিকে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) করা মাদক মামলাটি ঢাকার চতুর্থ যুগ্ম দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। এ মামলায় একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়েছে।

মামলার

 

র‍্যাবের করা অর্থ পাচার মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০–এ বিচারাধীন। ৩০ জুন মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানির দিন ধার্য রয়েছে। আর বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলাটি ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন। আগামী ৭ জুলাই মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি হবে। বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ক্যাসিনো সেলিম জামিনে আছেন। বাকি তিনটি মামলায় জামিন পাননি।

রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি ওবায়দুল হক চৌধুরী ও মাহাবুব আলম প্রথম আলোকে বলেন, ক্যাসিনো সেলিমের বিরুদ্ধে করা মামলার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষ তৎপর। সেলিম প্রধানের আইনজীবী শাহীনুর ইসলাম বলেন, সেলিম প্রধান আদালতের কাছ থেকে ন্যায়বিচার পাবেন বলে তিনি আশা করেন।

মামলার

আদালতে জমা দেওয়া সিআইডির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৯ জুলাই ক্যাসিনো সেলিম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এরপর তাঁকে সেখান থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাছ থেকে জাতীয় পরিচয়পত্রসহ নানা কাগজপত্র নিয়ে প্রথমে তাঁদের নামে ব্যাংক হিসাব খোলেন। পরে অনলাইনে জুয়া খেলার টাকা তাঁর স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে রাখেন।

সেলিমের পি-টোয়েন্টিফোর গেমিং কোম্পানিসহ তাঁর তিনটি প্রতিষ্ঠানের নামে ১৩ কোটি টাকা জমা হয়। ক্যাসিনো ব্যবসায় সহযোগিতা করেন দক্ষিণ কোরিয়ার এক নাগরিক। কোম্পানি ব্যবসার আড়ালে তিনি অনলাইন ক্যাসিনোর প্রশিক্ষক হিসেবে কাজ করতেন

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করার পর তাঁর গুলশান ও বনানীর বাসা এবং অফিসে অভিযান চালিয়ে ২৯ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা, ৭৭ লাখ ৬৩ হাজার টাকার সমপরিমাণ ২৩টি দেশের মুদ্রা, ১২টি পাসপোর্ট, ১৩টি ব্যাংকের ৩২টি চেক, ৪৮ বোতল বিদেশি মদ, একটি বড় সার্ভার, চারটি ল্যাপটপ ও দুটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়।

 

প্রেম ভেঙে গেছে আবার

ইমামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকেছে পুলিশ

Leave A Reply

Your email address will not be published.