রাশিয়ার গোলাবর্ষণের কারণে মারিউপোল শহরের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার পরিকল্পনা নসাৎ হয়ে গেছে। যুদ্ধবিরতি কার্যকর না হওয়ায় নিরাপদ আশ্রয় প্রত্যাশী মানুষজন আবার তাদের বাড়িঘরে ফিরে আসতে বাধ্য হয়েছে। ভলনোভাখা শহরের বেসামরিক বাসিন্দারও শহর ছাড়তে পারেননি বলে এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
এদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন হুঁশিয়ার করেছেন, ইউক্রেনের আকাশ সীমায় কোন দেশ বিমান চলাচল নিষিদ্ধ করলে তা হবে এই যুদ্ধে যোগদানের সামিল।
রাশিয়া বলেছে, কিয়েভের সরকার কিংবা ইউক্রেনের উগ্র জাতীয়তাবাদী শক্তির সাথে ব্রিটিশ সহযোগিতার কথাটি রাশিয়া ভুলে যাবেনা। কিয়েভের উত্তর-পশ্চিমের শহর ইরপিনে ভারী গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
খারাপের মধ্যেও ভালো খবর হচ্ছে, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে খারকিভের সেই আহত এবং কঠিন রোগে আক্রান্ত শিশুদের চিকিৎসার জন্য স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে শুক্রবার রাতে। বিশেষ মেডিক্যাল ট্রেনে ১২ জন শিশু এবং তাদের অভিভাবকদের আনা হলো পোল্যান্ড সীমান্তে।
এই উদ্দেশ্যে রাতারাতি একটি সাধারণ ট্রেনে আপত্কালীন চিকিৎসার কিছু বন্দোবস্ত করা হয়েছিল। যাত্রী হিসেবে ছিলেন খারকিভের বিশিষ্ট শিশুচিকিৎসক ইউজেনিয়া সুজকিউইচ-সহ কয়েক জন ডাক্তার এবং স্বাস্হ্যকর্মী।
ইউক্রেন সরকার সূত্রের খবর, ঐ শিশুদের চিকিৎসার জন্য পোল্যান্ড নিয়ে যাওয়া হয়েছে।