ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, ইউক্রেনীয় সেনারা পুরো ফ্রন্ট বরাবর রুশ সেনাদের অবস্থান লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছেন। রুশ সেনাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা কয়েকটি অঞ্চল পুনরুদ্ধারে অগ্রসর হচ্ছেন সেনারা।
রাশিয়া রক্ষণাবেক্ষণের প্রয়োজন উল্লেখ করে জার্মানিতে একটি বড় পাইপলাইনের মাধ্যমে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার পর এমন তথ্য দিলেন জেলেনস্কি। খবর রয়টার্সের।
এ দিকে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষণকারী একটি দল কিয়েভ থেকে ইউক্রেনের দক্ষিণে জাপোরিঝঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের দিকে রওনা হয়েছে। ওই পারমানবিক কেন্দ্রের কাছাকাছি রুশ বাহিনীর গোলাবর্ষণের পর কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না, তা মূল্যায়ন করতে দলটি সেখানে যাবে।
পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অত্যাধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ইউক্রেনীয় সেনারা চলতি সপ্তাহে দেশটির দক্ষিণাঞ্চল পুনরুদ্ধারের জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছেন। রুশ সেনাদের নিজেদের জীবন বাঁচাতে পালিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেছেন জেলনস্কি। তিনি বলেছেন, পূর্বাঞ্চলেও তাঁর দেশের সেনারা আক্রমণ শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার রাতে এক ভাষণে জেলনস্কি বলেন, দনবাস, খারকিভসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সক্রিয় সামরিক তৎপরতা শুরু করেছে ইউক্রেনীয়রা।
প্রায় ছয় মাস ধরে চলা যুদ্ধের প্রথম সপ্তাহে কৃষ্ণ সাগরের উপকূলের কাছে দক্ষিণ ইউক্রেনের বড় অংশ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রাশিয়া। এর মধ্যে রাশিয়ার অধিভুক্ত ক্রিমিয়া উপদ্বীপের উত্তরে অবস্থিত খেরসন অঞ্চলও রয়েছে।
রয়টার্স বলছে, ইউক্রেনের অগ্রগতির বিষয়ে নিশ্চিত করা সম্ভব না হলেও অসমর্থিত প্রতিবেদন, ছবি ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, ইউক্রেন সেনারা কয়েকটি গ্রাম পুনর্দখল করেছেন এবং দক্ষিণাঞ্চলের দিকে কিছু রাশিয়ান লক্ষ্যবস্তু ধ্বংস করেছেন।
তবে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলেছে, তাদের সেনারা ইউক্রেনীয় বাহিনীকে পরাস্ত করেছেন। রুশ বিমানবাহিনী খেরসনের কাছে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘আমাদের সব লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে।’