কড়াইল বস্তিতে খুনোখুনির নেপথ্যে কমিটি ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ: ডিবি

রাজধানীর কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন, চাঁদাবাজি ও আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে প্রতিবছরই খুনের ঘটনা ঘটছে।

স্থানীয় দুটি গ্রুপ বস্তিকেন্দ্রিক ৪০ হাজার ঘরের ভাড়া তোলা, চাঁদাবাজি, অবৈধ বিদ্যুৎ ও গ্যাসের সংযোগ নিয়ন্ত্রণ করে। ডিবি বলছে, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুল কাদের খান ও স্থানীয় ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মফিজুর রহমান গ্রুপ দুটি নিয়ন্ত্রণ করেন।

গত বুধবার বনানীর কড়াইল বস্তিতে আওয়ামী লীগের কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনায় যুবলীগ কর্মী আল আমিন নিহত হওয়ার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। গত সোম ও মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

কড়াইল বস্তিতে খুনোখুনির নেপথ্যে কমিটি ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ: ডিবি

গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানাতে আজ বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেছেন, বস্তির প্রতিটি ঘর থেকে আট থেকে দশ হাজার টাকা ভাড়া তোলা হয়। ফ্রিজ ও শীতাতপনিয়ন্ত্রিত যন্ত্র ব্যবহার করার জন্য আলাদা টাকা দিতে হয়। এ সবকিছুই বস্তির দুটি গ্রুপ নিয়ন্ত্রণ করে।

সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘এই নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই প্রতিবছর সেখানে খুনের ঘটনা ঘটে। আমরা আগের খুনের ঘটনাগুলো পুনরায় তদন্ত করে দেখব। যারই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে, তাকেই আইনের আওতায় আনা হবে। এ ক্ষেত্রে কারও রাজনৈতিক পরিচয় বিবেচনায় নেওয়া হবে না।’

কড়াইল বস্তিতে খুনোখুনির নেপথ্যে কমিটি ও চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণ: ডিবি

ডিবি জানায়, গত ৩০ জুলাই কড়াইল বস্তির এক নম্বর ইউনিটের কমিটি ঘোষণা করা হয়। কমিটিতে আবদুল কাদের খানের অনুসারী মোহাম্মদ আলী ও নুর গ্রুপের লোকজন গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। অন্যদিকে, মফিজুর রহমানের অনুসারী জুয়েল ও রিপন গ্রুপের লোকজন কম গুরুত্বপূর্ণ পদ পান। এ কমিটি দেওয়াকে কেন্দ্র করেই বস্তির এরশাদ মাঠ এবং নুরানি মসজিদ এলাকায় নুরু, কবির, আলীসহ কয়েকজনের সঙ্গে রিপন-জুয়েল-শুভদের মারামারির ঘটনায় আল আমিন নিহত হন।

বস্তির নিয়ন্ত্রণ প্রসঙ্গে স্থানীয় কাউন্সিলর মফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার কোনো গ্রুপ নেই। সবাই আমার লোক। বস্তিতে এ ধরনের সমস্যা ছিল না। কিন্তু আবদুল কাদের খান কমিটি দিতে এসে এ সমস্যা তৈরি করেছেন।’

এ প্রসঙ্গে আবদুল কাদের খানের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।

 

 

কড়াইল

চিত্রনায়িকা পরীমনির মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণ পিছিয়েছে

এশিয়া কাপে হংকংয়ের বিপক্ষে খেলবে ভারত-পাকিস্তান

 

Leave A Reply

Your email address will not be published.