গত বছর সরকারবিরোধী বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ৩৮১ জনকে কারাদণ্ড দিয়েছে কিউবার আদালত। এর মধ্যে কারও কারও ২৫ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে।
রাষ্ট্রদ্রোহ, শৃঙ্খলাভঙ্গ, হামলা বা ডাকাতির অপরাধের জন্য ২৯৭ জনকে কারাদণ্ড দেওয়ার কথা দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।
দেশটির সরকারি কৌঁসুলির কার্যালয় থেকে সোমবার দেওয়া ওই তালিকা অনুযায়ী, দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ১৬ জন কিশোর আছে, যাদের বয়স ১৬ থেকে ১৮ বছর।
গত বছরের মাঝামাঝিতে কমিউনিস্ট-শাসিত দ্বীপরাষ্ট্রটির হাজার হাজার মানুষের দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ থেকে ‘স্বাধীনতার’ স্লোগানও দেওয়া হয়েছিল।
চরম অর্থনৈতিক সংকটের মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি এবং খাদ্য ও ওষুধের সংকটে কয়েক দশকের মধ্যে সর্ববৃহৎ বিক্ষোভে নেমেছিলেন কিউবার নাগরিকেরা।
কিউবায় অনুমতি ছাড়া জনসমাগম বেআইনি। এ জন্য এক হাজারের বেশি মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশিত ছবিতেও দেখা যায়, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা মানুষজনকে আটক ও তাঁদের মারধর করছেন। এমনকি বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে মরিচের গুঁড়া ছিটাতে দেখা যায় পুলিশকে।
সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে দায়ী করেন কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল দিয়াজ ক্যানেল। তিনি দাবি করেন, বিক্ষোভকারীরা মূলত ভাড়াটে সেনা। কিউবাকে অস্থিতিশীল করার জন্য তাঁদের রাস্তায় নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় নেমে বিক্ষোভকারীদের প্রতিহত করে বিপ্লবকে রক্ষা করার আহ্বানও জানান তিনি।
তবে গত বছরের সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জন্য দণ্ডের ঘটনা এটাই প্রথম নয়। গত মার্চে শতাধিক বিক্ষোভকারীকে ৬ থেকে ৩০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তখন বিচারের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। একই সঙ্গে দণ্ডপ্রাপ্ত মানুষজনকে ছেড়ে দেওয়ার আহ্বানও জানানো হয়।