তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে আঙ্কারার সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে সম্প্রতি নেওয়া পদক্ষেপের কারণে ফিলিস্তিনের প্রতি দেশটির সমর্থন দুর্বল হবে না।
মঙ্গলবার আঙ্কারায় সফররত ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৈঠকের পর এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন এরদোয়ান। খবর আল–জাজিরার।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরানোর সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গাজায় বিক্ষোভ চলার সময় ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। এর প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করেছিল তুরস্ক। পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলও তুর্কি রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কার করে। এ ঘটনার চার বছর পর গত সপ্তাহে তুরস্ক ও ইসরায়েল বলেছে, আবারও দুই দেশে পরস্পরের রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দেওয়া হবে।
এর মধ্যেই তুরস্কে তিন দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শুরু করেছেন ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। মঙ্গলবার তিনি এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এরদোয়ান বলেন, ফিলিস্তিনের প্রতি আঙ্কারার দীর্ঘদিনের সংহতি দৃঢ়ভাবে বজায় থাকবে।
এরদোয়ান জানান, ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে শুরু থেকে স্বীকৃতি দিয়ে আসা দেশ তুরস্ক সব জায়গায় দ্বিরাষ্ট্র সমাধানের পক্ষে কথা বলে থাকে। তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি হামলা ও বেসামরিক মৃত্যুর ঘটনায় আমরা স্পষ্টভাবে জবাব দিয়েছি।’
এরদোয়ানের ভাষ্য, ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ইসরায়েলের সঙ্গে তুরস্কের সম্পর্ক স্বাভাবিক হওয়ার পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘পক্ষান্তরে আমাদের ফিলিস্তিনি ভাইয়েরা আশা প্রকাশ করেছেন, এ পদক্ষেপ ফিলিস্তিনি ইস্যু সমাধানে ভূমিকা রাখবে এবং ফিলিস্তিনি জনগণের পরিস্থিতির উন্নয়ন ঘটাবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আব্বাস এরদোয়ানকে তাঁর সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তিনি তাঁর বক্তব্যে তুরস্ক-ইসরায়েল সম্পর্কের কথা উল্লেখ করেননি।
আব্বাস বলেন, ‘আপনি আমাদের প্রতি যে নিবিড় মনোযোগ ও আতিথেয়তা দেখিয়েছেন, তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। তুরস্ক ও তুরস্কের সরকার ফিলিস্তিনের পক্ষে থাকায় আমি আবারও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
ইসরায়েলের ইসরায়েলের