গ্র্যামি-পুরস্কারে সমৃদ্ধ গায়িকা ডাফি। জীবনের এক কালো অধ্যায়ের কথা শেয়ার করলেন ইনস্টাগ্রামে। দীর্ঘদিন ধরেই দর্শকের চোখের আড়ালে রয়েছেন তিনি। কিন্তু কেন? নিজেকে গুছিয়ে ফের একবার গানের জগতে, দর্শকের মাঝে নিয়ে আসতে সময় নিয়েছেন তিনি।
কারণ, তার শরীরকে পণ্য হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে বলেই দাবি গায়িকার। দীর্ঘদিন তাকে আটকে রেখে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন গায়িকা।
ইনস্টাগ্রামে নিজের ছবি-সহ দীর্ঘ পোস্টে ডাফি ফ্যানেদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন। মঙ্গলবার পোস্ট করে ডাফি ফিরে আসার জন্য তার সময় নেওয়ার কারণ বর্ণনা করেছেন।
তিনি লিখেছেন, এক দশক আগে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে জোর করে মদ খাইয়ে ধর্ষণ করা হয়েছিল। এরপর ধর্ষকেরা তাকে কয়েক দিন বেঁধে ফেলে রেখেছিল। ৩৫ বছর বয়সী এই ইংরেজ তারকা জানান, সেই শারীরিক ও মানসিক ক্ষত কাটিয়ে উঠতে তার দীর্ঘদিন সময় লেগে গেল। আর এ জন্যই তিনি হঠাৎ ধূমকেতুর মতো জ্বলে উঠে, বিশ্বসংগীতে আলোড়ন ফেলে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন।
ডাফি আরও লেখেন, ‘আমি দীর্ঘদিন আড়ালে ছিলাম। পৃথিবীর আর সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলাম। চিন্তা করবেন না, আমি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ আর ভালো আছি। আমাকে মাদকাসক্ত করে ধর্ষণ করে কয়েক দিন বেঁধে ফেলে রাখা হয়। আমি বেঁচে ফিরেছি। সবকিছু কাটিয়ে উঠতে সময় লেগেছে।’
২০০৮ সালে ডাফির প্রথম অ্যালবাম প্রকাশ হয় ‘রকফেরি’। ওই বছরে কেবল ইংল্যান্ডে ১৬ লাখ ৮০ হাজার ও বিশ্বব্যাপী ৭০ লাখ কপি বিক্রির রেকর্ড করে এই অ্যালবাম। পায় ৭টি প্লাটিনাম। ৫১তম গ্র্যামির আসরে জিতে নেয় সেরা পপ অ্যালবামের পুরস্কার।
তার গান ‘মার্সি’ অসম্ভব জনপ্রিয়তা পায়। এর পর ২০১০-এ প্রকাশিত হয় অ্যালবাম ‘এন্ডলেসলি’। যদিও তার পর থেকেই তিনি আর গান গাননি। যদিও ধীরে ধীরে নিজেকে সামলাতে চেয়েছেন তিনি।