মরণব্যাধী করোনা ভাইরাসে চীনে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১৩ জনে। এছাড়া এ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৯০০০ ছড়িয়ে গেছে। হুবেই প্রদেশ স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার আরও ৪২ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা ভাইরাসটির কেন্দ্রস্থল উহান শহরে মৃতের সংখ্যা ২০৪ জনে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে এই ভারাস দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়তে থাকায় গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
বৃহস্পতিবার (৩০ ডিসেম্বর) রাতে দেশটির স্থানীয় সময়ে এক সংভাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষায়িত সংস্থাটির প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস।
তিনি বলেন, ‘এই ঘোষণার মাধ্যমে দুর্বল স্বাস্থ্য সেবার দেশগুলোকে সুরক্ষা দেওয়া এবং তাদের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হবে’।
ইতোমধ্যে চীনের সবগুলো প্রদেশ ছাড়াও অন্তত ২০টি দেশে শনাক্ত হয়েছে করোনা ভাইরাস। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার নাগাদ ২১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত হয়েছে ৯ হাজার জন। গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি ঘোষণা করলেও ভাইরাস মোকাবিলায় চীনের গৃহীত পদক্ষেপ নিয়ে বৃহস্পতিবার প্রশংসা করেছেন ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস অ্যাডানোম গ্রেবিয়াসিস।
প্রসঙ্গত, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘গ্লোবাল হেলথ ইমার্জেন্সি’ আইনগতভাবে বাধ্য কোনও ঘোষণা নয়। তবে একে জনস্বাস্থ্য সংকটের আন্তর্জাতিক উদ্বেগ হিসেবে দেখা হয়। এর মাধ্যমে জাতিসংঘের সদস্য দেশগুলোকে জানিয়ে দেওয়া হয় যে,পরিস্থিতিকে মারাত্মক হিসেবে বিবেচনা করছে স্বাস্থ্য বিষয়ক বিশ্বের শীর্ষ পরামর্শক সংস্থাটি।