চীনে করোনা ভাইরাস প্রায় নিয়ন্ত্রণে চলে এসেছে। কিন্তু চীনের বাইরে অন্যান্য দেমে ব্যাপক আকারে বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। এতে বিশ্বব্যাপী তৈরি হয়েছে আতঙ্ক ও ভয়ের। করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘণ্টায় বিশ্বজুড়ে ৫১৫ জনসহ মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৩৯ জনের। শুধু চীনেই মৃতের সংখ্যা ৩ হাজার ১৯৯। চীনের বাইরে মারা গেছে ২ হাজার ৬৪০ জন।
এ ভাইরাসে বিশ্বজুড়ে মোট আক্রান্ত হয়েছে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৭৪৫। এর মধ্যে ৭৫ হাজার ৯৩৬ জন সুস্থ হয়েছে বাড়ি ফিরেছেন। এছাড়া চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ হাজার ৮২৪। চীনের বাইরে ৭৫ হাজার ৭০৫ মানুষ।
বর্তমানে ৭৪ হাজার ৭৭৫ জন আক্রান্ত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৬৮ হাজার ৭৮৭ জনের অবস্থা স্থিতিশীল অথবা উন্নতির দিকে এবং বাকি ৫ হাজার ৮৮৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, করোনা ভাইরাস বয়স্ক ব্যক্তি এবং আগে থেকেই অসুস্থ এমন ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এখন পর্যন্ত যারা মারা গেছেন তাদের অধিকাংশই বয়স্ক লোকজন।
ভাইরাস সংক্রমণের কারণে চীনসহ অধিক আক্রান্ত দেশ ভ্রমণে সতর্কতা, নিষেধাজ্ঞা এবং কড়াকড়ি আরোপ করেছে প্রায় সকল দেশ। ভাইরাসের কারণে, বিশ্বের অনেক দেশ তাদের নাগরিকদের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। অধিকাংশ বিমান সংস্থার ফ্লাইট বাতিল করা হচ্ছে।
চীনে উদ্ভূত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত বিশ্বের ১৫১টি দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে।
যেসব দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে-
নিহত হওয়া দেশগুলোর মধ্যে চীনে ৩ হাজার ১৯৯, ইটালিতে ১ হাজার ৪৪১, ইরানে ৬১১, দক্ষিণ কোরিয়ায় ৭৫, যুক্তরাষ্ট্র ৫৭, ফ্রান্স ৯১, স্পেন ১৯৬, জাপান ২২, ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে ৭, ইরাক ১০, হংকং ৪, অস্ট্রেলিয়া ৩, যুক্তরাজ্য ২১, নেদারল্যান্ড ১২, জার্মানি ৯, ইন্দোনেশিয়া ৫, বেলজিয়াম ৪, সুইজারল্যান্ড ১৩, সান ম্যারিনো ৫, লেবানন ৩, ফিলিপাইন ৮, মিশর ২, আর্জেন্টিনা ২, পোলান্ড ৩, আয়ারল্যান্ড ২, ভারত ২, নরওয়ে ৩, সুইডেন ২, বুলগেরিয়া ২, আলজেরিয়া ৩, গ্রীস ৩, পানামা, স্লোভেনিয়া, মরক্কো, থাইল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, কানাডা, লুক্সেমবার্গ, আলবেনিয়া, পানামা, পানামা, ইকুয়েডর, আজারবাইজান, ডেনমার্ক, মরক্কো, ইউক্রেন, সুদান, গায়ানা ও তাইওয়ানে ১ জন করে।