যশোরের মণিরামপুর উপজেলার মোড়ল পাড়ার দাখিল মাদ্রাসার দুই শিক্ষক দাখিল পরীক্ষার্থীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। এর মধ্যে এক শিক্ষককে শিক্ষার্থীরা গণধোলাই দিয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ধর্ষণের অভিযুক্ত মাদ্রাসার ফিকাহ শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও কৃষি বিষয়ক শিক্ষক তরিকুল ইসলাম এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। নজরুল ইসলাম ঝাপা গ্রামের এবং তরিকুল ইসলাম উপজেলার খানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
শিক্ষার্থীরা এবং এলাকাবাসী জানায়, সামনে দাখিল পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য পরীক্ষার্থীদের রাত ১১টা পর্যন্ত মাদ্রাসার মধ্যে কোচিং করানো হচ্ছে। প্রতিরাতে মাদ্রাসার দুইজন শিক্ষক এ কোচিং এর দায়িত্ব পালন করেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর মাদ্রাসার শিক্ষক নজরুল ইসলাম ও শিক্ষক তরিকুল ইসলাম কোচিং এর দায়িত্বে ছিলেন। ওই দিন রাত ১০টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই পরীক্ষার্থী বাথরুমে গেলে লম্পট শিক্ষকরা বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেয়। এ সময় ওই পরীক্ষার্থীকে মুখে কাপড় দিয়ে বাথরুমের পাশে বাঁশ বাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে। এতে সে জ্ঞান হারালে তাকে বাঁশবাগানে ফেলে ওই দুই শিক্ষক চলে আসে।
দুই শিক্ষক কোচিং এর ভেতরে ঢুকে ওই পরীক্ষার্থী সম্পর্কে জানতে চাইলে সহপাঠীরা বাথরুমে গেছে বলে জানালে তাকে খোঁজ করার নির্দেশ দেয়। এ সময় সহপাঠীরা বাথরুমের পাশে বাঁশ বাগান থেকে অচেতন অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কোচিং এ নিয়ে আসে। তার শরীর থেকে প্রচণ্ড আকারে রক্ত ঝরলে ওই শিক্ষক জানান, জিনে কিছু একটা করেছে। অন্যান্য পরীক্ষার্থীকে তার পরিবারের লোকজনকে সংবাদ দিতে বলেন। মাদ্রাসার পাশে ওই পরীক্ষার্থীর বাড়ি হওয়ায় পরিবারের লোকজন ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে যশোরে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।
বুধবার (২ অক্টোবর) ওই পরীক্ষার্থীকে বাড়ি নিয়ে গেলে ঘটনা ফাঁস হয়ে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) সকালে পরীক্ষার্থী মাদ্রাসায় গেলে তার সহপাঠী, স্থানীয়রা মিলে শিক্ষক নজরুল ইসলামকে গণপিটুনি দিয়ে বেঁধে রাখে। কিছু সময় পর সে কৌশলে পালিয়ে যায়। গণধোলাইয়ের সংবাদ পেয়ে অপর শিক্ষক তরিকুল ইসলাম আজ মাদ্রাসায় আসেননি।
মণিরামপুর থানার ওসি রফিকুল ইসলাম জানান, ধর্ষণের শিকার ওই পরীক্ষার্থীর বাবা দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের সত্যতা পেয়েছি। তাদের আটকের জন্য অভিযান চলছে।