বর্তমানে আলোচিত নারী পাপিয়া, এই পাপিয়ার অবৈধ সম্পদের বিষয়ে অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সচিব মোহাম্মদ দিলোয়ার বখত।
বুধবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর সেগুনবাগিচার দুর্নীতি দমন কমিশনের নিজ কার্যালয়ে কমিশন সচিব সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
মোহাম্মদ দিলোয়ার বখত বলেন, ‘পাপিয়ার আশেপাশে যারা ছিল তাদের দিকেও গোয়েন্দা নজর রাখা হচ্ছে। তার সহযোগীরাও আইনের আওতায় আসবে। পাপিয়ার সম্পদ, তার উৎস, ক্ষমতা, বিদেশে অর্থ পাচার সবকিছুই অনুসন্ধানের আওতায় আছে। দুর্নীতি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। বড় বড় দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাছে যে নিউজগুলো আছে। অর্থাৎ যে সকল তথ্য আমরা পাই, সেগুলো আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় যাচাই-বাছাই কমিটির কাছে পাঠিয়ে দেন। এবং সেখান থেকেই আমাদের অনুসন্ধান কার্যক্রম শুরু করি। এবং সুনির্দিষ্ট যে বিষয় গুলো আছে সেগুলো নিয়ে অবশ্যই তদন্ত করা হবে।’
উল্লেখ, গত ২২ ফেব্রুয়ারি দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জাল টাকা বহন ও টাকা পাচারের অভিযোগে পাপিয়াসহ চারজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। বাকিরা হলো পাপিয়ার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮), সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২)।
র্যাব অভিযান চালিয়ে ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি পিস্তলের ম্যাগজিন, ২০টি পিস্তলের গুলি, ৫ বোতল দামি বিদেশি মদ, ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা, ৫টি পাসপোর্ট, ৩টি চেকবই, কিছু বিদেশি মুদ্রা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১০টি ভিসা ও এটিএম কার্ড উদ্ধার করে।
র্যাব জানায়, পাপিয়া ও তার স্বামীর মালিকানায় ইন্দিরা রোডে ২টি ফ্ল্যাট, নরসিংদীতে ২টি ফ্ল্যাট ও ২ কোটি টাকা দামের ২টি প্লট, তেজগাঁওয়ে এফডিসি ফটকের কাছে গাড়ির শোরুমে ১ কোটি টাকার বিনিয়োগ ও নরসিংদী জেলায় একটি প্রতিষ্ঠানে ৪০ লাখ টাকার বিনিয়োগ আছে।
এই শামীমা নূর পাপিয়া হচ্ছেন নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক। পাপিয়া ২০১০ সালে নরসিংদী শহর ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন।