খুলনায় মহিলা শ্রমিক লীগের বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক সাদিয়া আক্তার মুক্তাকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) মহানগর হাকিম আমিরুল ইসলাম এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে গত ৯ মার্চ রাতে নগরীর হরিণটানা এলাকার নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় পুলিশ ওই বাড়ি থেকে ১২ ভরি সোনা ও নগদ দুই লাখ ৮২ হাজার টাকা উদ্ধার করে।
জানা যায়, স্থানীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে কেন্দ্র থেকে খুলনা মহানগর মহিলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বাগিয়ে এনেছিলেন সাদিয়া মুক্তা। রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার পর তিনি আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন। পরে দলীয় পদ-পদবি ব্যবহার করে অপরাধী চক্রের সাথে জড়িয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যান।
তার বাবা আলতাফ সরদার একসময় নগরীর সোনাডাঙ্গা এলাকায় মুদি দোকানের ব্যবসা করতেন। স্বামী শুকুর আলী প্লট ও জমির ব্যবসা করতেন। সেই অবস্থা থেকে সাদিয়া খুলনায় বহুতল ভবন, বিলাশ বহুল ফ্লাট ও রেস্টুরেন্টের মালিক হয়েছেন। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এসব তথ্য জানা গেছে। তবে নানা অভিযোগের পর ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই তাকে দলীয় পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু জানান, গত ২৪ জানুয়ারি নগরীর বাবু খান সড়কের কাজী মঞ্জুরুল ইসলামের বাড়ি থেকে প্রায় ৫০ ভরি স্বর্ণালংকার, নগদ অর্থসহ প্রায় ২৯ লাখ টাকার মালামাল চুরি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ চোর সিন্ডিকেটের কয়েকজনকে গ্রেফতার করলে তারাই চোরাচালানের হোতা হিসেবে সাদিয়ার নাম বলে। পরে তার বাড়ি থেকে চুরি যাওয়া স্বর্ণালংকার উদ্ধার করা হয়।
কেএমপির অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ এহসান শাহ বলেন, সাদিয়া গ্রেফতারের পর থেকেই তার স্বামী পলাতক রয়েছে। তবে পুলিশ চক্রটির সব সদস্যকে গ্রেফতারের চেষ্টা চালাচ্ছে।