চুয়াডাঙ্গা উপজেলার দামুড়হুদায় ৭ বছর বয়সী শিশু সুমাইয়াকে ধর্ষণ শেষে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার দুপুরে বাড়ির সামনে থেকে কৌশলে ওই শিশুকে নিয়ে হত্যা করা হয়। হত্যার পর তার মরদেহ লুকিয়ে রাখা হয় শিম ক্ষেতে। হত্যার পর অভিযুক্ত পাশের পুকুর থেকে গোসল শেষে নিজ বাড়িতে অন্য দশজনের মতোই ঘুমিয়ে ছিল। তবে শেষ রক্ষা হয়নি তার।
নিহত সুমাইয়া পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কাঠুরে নাসির উদ্দিনের মেয়ে এবং ছয়ঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। তার মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। ওই ঘটনায় দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন নিহত সুমাইয়ার পিতা নাসির উদ্দিন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর গ্রামের কৃষক নাসির উদ্দীনের দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে সুমাইয়া ছোট। সে স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। শনিবার দুুপরে স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর থেকে নিখোঁজ হয় সে। পরিবারের সদস্যরা সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পায়নি। বিকালে আশপাশের গ্রামগুলোতে মাইকিং করা হয়। সন্ধ্যার পরও শিশু সুমাইয়ার সন্ধান না পাওয়ায় রাতে খবর দেয়া হয় দামুড়হুদা থানা পুলিশকে।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকুমার বিশ্বাস জানান, খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে রাত ১১টার দিকে সুমাইয়ার বাড়ির অদূরে একটি শিম ক্ষেতে লাশটি পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে ছুটে যায় পুলিশ। শিশু সুমাইয়ার লাশের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয় একটি খালি শ্যাম্পুর প্যাকেট।
দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু রাসেল জানান, লাশের পাশে পড়ে থাকা খালি শ্যাম্পুর প্যাকেজের সূত্র ধরেই পুলিশের বেশ কয়েকটি ইউনিট অনুসন্ধানে নামে। রাতভর অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে ভোরে হত্যার মোটিভ উদ্ধারে সক্ষম হন দামুড়হুদা থানার ওসি সুকুমার বিশ্বাস। আটক করা হয় শিশু সুমাইয়ার প্রতিবেশী মোমিনুলকে